২৪ জুন, ২০২১ ১৭:৪২

সত্য লুকিয়ে অসত্যের সাথে সখ্যতা বিএনপির পুরনো অভ্যাস : সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সত্য লুকিয়ে অসত্যের সাথে সখ্যতা বিএনপির পুরনো অভ্যাস : সেতুমন্ত্রী

ফাইল ছবি

সত্য লুকানো আর অসত্যের সাথে সখ্যতা বিএনপির পুরনো অভ্যাস জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ-বিদেশে যখন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করা হয় তখন বিএনপি কষ্ট পায়। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকসমূহ দেখুন, প্রতিটি সূচকে শেখ হাসিনা সরকারের অর্জনের ফলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। 

তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশ সরকারের কোনো বানানো সূচক নয়, এটা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার তৈরি সূচক।

বিদেশি বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস আর জনগণের সম্পদ ধ্বংসের রাজনীতি পরিত্যাগ করুন, তাহলেই বিনিয়োগকারীরা আরো উৎসাহি ও আস্থাশীল হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যখন করোনা অভিঘাত মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন নতুন করে বেড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, উন্নয়ন উৎপাদনে গতি হয়েছে মন্থর, এমন প্রতিকূলতার মাঝেও শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন মানুষের জীবনের সুরক্ষার পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে। 

অর্থনীতির গতিপ্রবাহ ধরে রেখে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার মতো চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এসব দেখতে পায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তারা ততটুকুই বলেন যতটুকু টেমস নদীর ওপার থেকে তাদের কাছে ফরমায়েশ আকারে ভেসে আসে।

ওবায়দুল কাদের মনে করেন রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে তাই বলে সাদাকে সাদা বলা যাবে না এমনটি নয়।  রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগকে শত্রুজ্ঞান করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিএনপিই নষ্ট করেছে।

বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন সার্কাসের ক্লাউনরা বক্তব্য রাখছে, ওবায়দুল কাদের তাদের এই নেতিবাচক ধারা এবং সার্কাসের ক্লাউনের ভূমিকা পালন থেকে কবে ফিরে আসবে, তা জানতে চান? এর আগে, ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। 

এসময় তিনি বলেন, নানান অনিশ্চয়তার দোলাচলে আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যেই ৪১টি স্প্যানের সবকটি সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৯৩ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ। নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৮৩ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ। 

প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৬ ভাগ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ পদ্মাসেতু নির্মাণ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ কাজের এ পর্যন্ত অগ্রগতি শতকরা ৭০ ভাগ বলেও জানান মন্ত্রী। 

বোর্ড সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিববৃন্দ।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর