রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিগত সরকারগুলো রেলকে অবজ্ঞা করে রেলকে বন্ধ করে দিয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে উন্নত সমৃদ্ধ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি জেলার সাথে আমরা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করছি’।
মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার ঠাকুর বাড়ি এলাকায় মাগুরা রেল স্টেশন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মুন্সি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু প্রমুখ।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে শেষ হবে বলে আশা রাখছি। এর মধ্য দিয়ে মাগুরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এ রেলপথ দিয়ে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা ও রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া হয়ে মংলা পর্যন্ত ও উত্তর বঙ্গে মাগুরাবাসী যাতায়াত করতে পারবে।
রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর যে ঘটনা ঘটে এটি আমরা কেউ কামনা করি না। দুর্ঘটনা রেলে হোক বা সড়কে হোক এর জন্য কে দায়ী সেটি নিয়ে আমরা বিতর্ক না করে, কিভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায় সে ব্যাপারে আমাদের চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না এড়াতে পারি তার জন্য যেখানে যতোটুকু দায়িত্ব পালন করা দরকার সেই দায়িত্বটুকু আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১২শ দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯.৯০ কিলোমিটার মেইন রেল লাইন মির্মাণ হচ্ছে। কামারখালী ও মাগুরা স্টেশন ইয়ার্ডে ৪.৯ কিলোমিটার পুল লাইন নির্মাণ, দুটি নতুন স্টেশন নির্মাণ (কামারখালী ও মাগুরা), ছোট বড় ২৮টি সেতু ও কালর্ভাট নির্মাণ কার্যক্রম চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল