দেশে এখনও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা আসে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। আমি মনে করি, সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে।
বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কি বেড়ে গেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক, সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সব সময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। তাদের আস্তে আস্তে অনেক টাকা হয়ে গেলে সেটি কিন্তু রেকর্ড করতে পারছেন না, কারণ হুন্ডির টাকা রেকর্ড করতে পারছেন না। কখনও ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না।
মন্ত্রী আরও বলেন, সারাবিশ্বে অফিসিয়াল চ্যানেলে অর্থ আনা প্রাধান্য পায়, আমরাও সেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব সময় তাদের উৎসাহিত করতে বলেন। এই টাকা তাদের টাকা, পরবর্তীতে তারা যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে-তারা টাকা পেলো কোথায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে এখনও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পয়সা আসে। যাতে করে কম আসে সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি। প্রধানমন্ত্রীও সেটি করেছেন। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। রপ্তানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ।
হুন্ডিতে কী পরিমাণ টাকা আসে সেটির কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনা জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারণা নেই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে। আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি, কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেলে আনলে তো লস হচ্ছে না। তাদের জন্য প্রণোদনা না, স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধতা থাকবে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা তো আপনাদের সম্পর্কিত, অন্য রকম আইএমএফ আছে কিনা জানি না। একটা আইএমএফ আছে, তারা তো এ ধরনের কোনো প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। আপনারাই পত্রিকায় লিখছেন, এটা নিয়ে আমি জবাব দেবো না।
বিডি প্রতিদিন/০৩ আগস্ট, ২০২২/আরাফাত