দেশের মানুষকে একটু কষ্ট সহ্য করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘কিছুটা অসুবিধা হয়েছে বটে, কিন্তু হাহাকার হবে না। চরম সংকট হবে না। ইনশাআল্লাহ দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না’।
বরিশালে বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তেলজাতীয় ফসলের অন্তর্ভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বুধবার সকালে নগরীর বান্দ রোডের শিল্পকলা একাডেমীতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতি নিয়ে একটা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি সেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছে’।
এর আগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ৮১ টাকা কেজি দরের ইউরিয়া সার ১৬ টাকায় বিক্রি করেছে সরকার। এত ভর্তুকি এবং প্রণোদনা সরকার কীভাবে দেবে? ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি বন্ধ হয়, আবার যদি সারের দাম কমে যায়, সেদিন আমরাও সারের দাম কমিয়ে আনবো’।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল আহসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারসহ অন্যান্য।
কর্মশালায় বরিশাল বিভাগের তেলজাতীয় ফসলসহ কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কৃষি কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা