ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তার পিতার যে স্বপ্ন সোনার বাংলার, আজ তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ আজকে এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আর কখনো পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না। আমাদের যেতে হবে বহুদূর এবং আমরা অনেক দূর চলেও এসেছি।
বুধবার দুপুরে ডিসি স্কোয়ারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ভূমি জরিপের পাইলটিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠোনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনের সরকারের আমলে ঢাকা কিংবা কিছু অঞ্চল কেন্দীক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের এ সরকারের আমলে সব জায়গায় সমান তালে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলের ভাগ্যের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ ও সুন্দর হয়ে গেছে। অথচ এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্রই পদ্মা সেতু নির্মাণ ঠেকাতে পারেনি।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশিরা এখন আমাদের সঙ্গে কথা বললে ভেবেচিন্তে বলেন। আগে আমরা বিদেশিদের কাছে হাত পেতে বসে থাকতাম। কখন টাকা এনে এদেশের উন্নয়ন কাজ করবো। কিন্তু আজ আমরা সেখানে নেই। আজ আমরা অনেক শক্ত অবস্থানে চলে গেছি। অথচ তারপরও বিরোধী দল বসে নেই। একটু কিছু হলেই তারা বলেন এ দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বিরোধীদল যা-ই বলুক, এ দেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমাদের রিজার্ভ এবং আমাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী। আমাদের আয় হচ্ছে এবং আমাদের রিজার্ভ আছে ৬ মাসের। আমরা দুর্বল অবস্থানে নেই। আমাদের ভিত অনেক মজবুত।
তিনি বলেন, জরিপ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে একটা খারাপ ধারণা ছিল। আর সেটা ছিল- যে জায়গায় হয় জরিপ, সেই জায়গার মানুষ হয় গরিব। নানা সমস্যার কারণে এগুলো হতো। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য বর্তমান সরকার পটুয়াখালী-বরগুনা এলাকায় একটা ডিজিটাল পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। একটা জরিপ শেষ করতে ২০/২৫ বছর সময়ও লেগেছে। তাই ডিজিটাল পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করা যাবে। পটুয়াখালী-বরগুনার এ মডেলটি সফল হলে সারা দেশে এ মডেল বাস্তবায়ন করা হবে।
পরে দরবার হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রকল্প পরিচালক এটিএম নাসির মিয়া ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) মো. ওয়াহেদুর রহমান প্রমুখ। সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অধিদপ্তর প্রকল্পের গৃহায়ণ সার্ভে লিমিটেডের সহযোগিতায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে ৪৯১ একর জমির বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) পাইলট প্রোগ্রাম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই