পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সফলতার পেছনে ছিলেন। বর্তমানে তাকে আড়াল থেকে আলোয় আনা হচ্ছে।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত “বঙ্গমাতা: ইতিহাসের সাহসী মানুষ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, শিক্ষাবিদ ও শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কাজ করি, তিনি তার মায়ের মতো কথা বলেন কেবিনেট মিটিংয়ে, মনের মতো কথা বলেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) লাকড়ি দিয়ে মায়ের সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় রান্না করার গল্প করেন, ছোটবেলায় আমার মাকেও দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, উপমহাদেশের আগের নেতৃত্ব ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড, আলীগড় নিদেনপক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ছিল। এই প্রথম আমরা আকাশ থেকে নামলাম। শেখ মুজিবকে নেতৃত্ব দিতে দেখলাম। যিনি বাংলার মাটি থেকে উঠে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু সফল হয়েছিলেন কারণ গ্রামের মানুষ, কৃষক, শ্রমিক এদের নিয়ে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও তার বাবার মতো গ্রাম-গঞ্জ নিয়ে ভাবেন।
মাহফুজা খানম বলেন, ঊনসত্তরে বঙ্গমাতার পদক্ষেপেই প্যারোলে মুক্তির পথ বন্ধ হয়ে যায়, পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিনা শর্তে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, কোনো অবস্থাতেই মুচলেকা দিয়ে প্যারোলে মুক্তি নেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনন্য। ছয় দফার আন্দোলনকে সফল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার সাক্ষী আমি নিজেই।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, রেণু নিজের জন্য কোনো খরচ করতন না, যা জমাতো সবই বঙ্গবন্ধুর হাত খরচ ও সংগঠনের জন্য করতেন। বঙ্গবন্ধু জেলে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মীদের রক্ষা করা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন। এসব করেছেন তিনি (ফজিলাতুন নেছা) পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও গোয়েন্দাদের উপেক্ষা করে।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরী একবার পত্রিকা বের করতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধুকে বললে তিনি টাকা নেওয়ার জন্য পরেরদিন দেখা করতে বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাতেই গ্রেফতার হয়ে জেলে চলে যান। গাফফার চৌধুরী যখন ঘোর দুশ্চিন্তায় তখন বঙ্গমাতা তাকে ডাকলেন পরেরদিন। টাকা দিয়ে বঙ্গমাতা বলেন, বঙ্গবন্ধু আপনাকে এ টাকা দিতে বলেছেন। এরকমই দায়িত্বশীল ছিলেন বঙ্গমাতা।
বিডি প্রতিদিন/এএ