সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এক নারী পুলিশ। তখন তিনি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। অতঃপর কোমাতেই জন্ম দেন ফুটফুটে সন্তানের। সন্তান জন্মের চার মাস পর গত বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন অ্যামেলিয়া বান্নান (২৪) নামের ওই নারী। বোনের ছেলে মনে করে কোলে তুলে নেন নিজের সন্তানকে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দু'চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু।
২০১৬ সালের শেষ দিকে অ্যামেলিয়া গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। তখন থেকেই তিনি কোমায় ছিলেন।
অ্যামেলিয়ার ভাই চেসার জানান, চলতি বছরে এসে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কখনো কখনো তার বোন নড়াচড়া এমনকি বেশ কয়েকবার জেগে ওঠার চেষ্টা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ক্লিনিকে আমরা তাকে দেখতে যাই। এসময় আমরা শুনতে পাই কেউ একজন হ্যাঁ বলছে।
গত বছরের পহেলা নভেম্বরে অ্যামেলিয়া ও তার পুলিশ সহকর্মীরা ওই গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। ওই গাড়িতে অ্যামেলিয়ার স্বামীও ছিলেন। তিনিও একজন পুলিশ সদস্য। দুর্ঘটনায় অ্যামেলিয়া মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন।
পোসাদ শহরের একটি হাসপাতালে কোমায় থাকা অবস্থায় তার চিকিৎসা চলতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা পর সিজারের মাধ্যমে তার গর্ভের সন্তান বের করে আনেন চিকিৎসকরা। তার পর থেকে অ্যামেলিয়ার বোন নরমা ওই শিশুর দেখাশুনা করতে থাকেন। গত চারমাসে প্রত্যেকদিন তিনি সন্ধ্যা ছয়টায় অ্যামেলিয়ার কাছে বাচ্চাটি নিয়ে আসতেন। তারা ওই বাচ্চার নাম রেখেছেন সান্তিনো।
এভাবে কেটে গেছে প্রায় চারমাস। চার মাসে সান্তিনোও অনেকটা বেড়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার কোমা থেকে চেতনা ফিরে পাবার পর তিনি সান্তিনোকে তার বোনের ছেলে বলে মনে করেছিলেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে সুসংবাদ দেন, সুন্দর ওই বাচ্চাটি আর কেউ নয়; তারই গর্ভের সন্তান।
এরপর অ্যামেলিয়া তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই নির্মম দুর্ঘটনার স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করেন। প্রথমে অগোছালোভাবে কথা বললেও পরে তা ঠিক হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভাই চেসার।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ