অবকাঠমো উন্নয়ন ও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে বহুল আলোচিত বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট (ট্রানজিট) কার্যক্রম।
ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ইতোমধ্যে বুধবার (১৫ জুন) বিকেলে ভারতের কলকাতা ক্ষিদিরপুর নৌবন্দর থেকে এক হাজার টন স্টিলশিট ও রড নিয়ে এমভি নিউটেক-৬ নামে একটি জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করেছে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে এসব পণ্য আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) আশুগঞ্জ নৌবন্দর অফিস চত্বরে এক সুধী সমাবেশ শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনের পর জাহাজ থেকে স্টিলশিট ও রড আনলোড করে ট্রাকযোগে কড়া পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম উদ্দিন। পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান আনবিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আশুগঞ্জ বন্দরের ইনচার্জ এস.কে মাসুদ জানান, গত ৩ জুন কোলকাতা থেকে নদী পথে ১ হাজার ৪ মেট্রিক টন লৌহজাত পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয়। বুধবার বিকেলে জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার থেকে আগরতলায় পণ্য পরিবহন শুরু হবে।
এর আগে বিনা মাশুলে পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন পণ্য নেওয়ার পর এবারই প্রথম মাশুল দিয়ে ভারতীয় পণ্য ত্রিপুরা রাজ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট করা হবে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে কলকাতা থেকে ভারতীয় পণ্য দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে পৌঁছানো হবে। ইন্দো-বাংলা ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত প্রায় ৩৯ কিলোমিটার বহন করা হবে। প্রতিটন পণ্য পরিবহনে ভারতকে ট্রানজিট ফি পরিশোধ করতে হবে ১৯২.২২ টাকা। এরমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক ও সংশ্লিষ্ট চার্জ বাবদ পাবে ১৩০ টাকা। পণ্য পরিবহনে যদি কোন নিরাপত্তা (স্কট) প্রয়োজন হয় তার জন্য দিতে হবে ৫০ টাকা। বাকি ১২.২২ টাকা পাবে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণলায় এবং বিআইডব্লিউটিএ। গত বছরের নভেম্বরে ভারতের দিল্লিতে শিপিং সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ট্রানজিটের এ হার নির্ধারিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ