বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে উত্তোলনযোগ্য সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ২৭.৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত গ্যাসের উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৫.২২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি সময়ে উত্তোলনযোগ্য নীট মজুদের পরিমাণ ১২.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাপেক্সের ২০২১ সালের মধ্যে রূপকল্প ২০২১ এর আওতায় মোট ১০৮টি কূপ (৫৩টি অনুসন্ধান কূপ, ৩৫টি উন্নয়ন ও ২০টি কূপ ওয়ার্কওভার) খননের পরিকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স এর কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির গভীর কূপ খননের ক্ষমতা সম্পন্ন ৪টি আধুনিক রিগ ক্রয় করাসহ অনুসন্ধান কার্যক্রম প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) অনুযায়ী অগভীর সমুদ্রঞ্চল ব্লক স্যালো সি (এসএস)-১১ এ ২ডি সিসমিক সার্ভে ও ৩ডি সিসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। ব্লক এসএস-৪ এবং ব্লক এসএস-৯ এ ১ম ধাপে ২ডি মেরিন সিসমিক সার্ভে এবং ২য় ধাপে ২ডি ওবিসি (ওশান বেড ক্যাবল) সিসমিক সার্ভে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রের ডিপ সি (ডিএস)-১২ ব্লকে ২ডি সিসমিক সার্ভেসহ ডাটা ইন্টারপ্রিটেশন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী নভেম্বর নাগাদ ১০০০ বর্গ কিলোমিটার ৩ডি সিসমিক সার্ভের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার