মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণের সময় বুধবার ৬টা ২২ মিনিটে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে তিন টুকরো হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট। বিমানে একজন শিশুসহ ২৯ জন আরোহী, দুজন পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। এতে যাত্রীসহ সবাই কমবেশি আহত হন।
তবে পাইলট নিজে অনেক আহত হয়েও যেভাবে প্লেনটা সামলে সবাইকে বাঁচালেন সেটা একটা মিরাকল বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারে একটি আইটি কোম্পানির মালিক মুনিমউল ইসলাম।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে আগুন না ধরায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, তিন টুকরো এয়ারক্রাফটি ব্যবহারের উপযুক্ততা হারিয়েছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে মিয়ানমার থেকে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট। তবে এরমধ্যে ইয়াঙ্গুনে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া বিমানের কেউ নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর স্টেশন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম