মোট ঋণের ২ শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে একজন ঋণখেলাপি ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ পাবেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নীতিমালার কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই আদেশ আরও দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তবে এই সময়ে ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে প্রজ্ঞাপনের সুবিধাভোগী ঋণখেলাপিরা দুই মাস কোনো ঋণ পাবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। এ রিটের সঙ্গে সম্পূরক আবেদনে ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করে তা স্থগিতেরও আবেদন করা হয়।
গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর সার্কুলারের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য দেয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে, এ বিষয়ে আজ সোমবার আপিল বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
ডি-প্রতিদিন/০৮ জুলাই, ২০১৯/মাহবুব