বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয় বেশি রফতানি হয় কম। তবে আগামী অর্থ-বছরে আমদানি ও রফতানিতে ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের সোমবারের বৈঠকে জাতীয় পার্টির এমপি মো. মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের বৈচিত্র্যের অভাবে রফতানি বাজার বড় হচ্ছে না। তবে, পণ্যে বৈচিত্র আনয়নের লক্ষ্যে সরকার বস্ত্রখাতে রফতানি বৃদ্ধির জন্য উচ্চ মূল্যের পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে, এগুলোর মধ্যে স্পোর্টসওয়্যার, মেডিকেল ইউনিফর্ম ও অন্যান্য। এসব পণ্য আমদানিকারকদের কাছে পরিচিত করা ও নতুন নতুন ক্রেতা তৈরির জন্য বাজার অন্বেষণে আন্তজার্তিক মেলায় অংশগ্রহন করা হচ্ছে।
এমপি দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, দেশের রফতানি বাণিজ্য নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরে মাত্র ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রফতানি করে ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার আয় হয়। আর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২০২টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি করে ৪১ হাজার ৭ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কির ডলার অর্জিত হয়েছে।
বাণিজ্য মেলা থেকে আয় ১৮ কোটি টাকা : মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, গত বছরে ঢাকা আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮ থেকে রাজস্ব আয় করেছে ১৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ১০০ টাকা, যা প্রায় ১৮ কোটির টাকার সমান।
রাজধানীর বাজার মনিটরে ১৪ টিম : এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রতিদিন ২টি করে মোট ১৪টি টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত। বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম