নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে হবে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনে এখন জনগণের কোনো আস্থা নেই। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়।

শনিবার সন্ধ্যায় নগরের কাজীর দেউড়িস্থ নূর আহমদ সড়কে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বন্যাদুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো জন্য নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে হবে। জনগণের দুঃসময়ে বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে পাশে থাকতে হবে। জনগণকে নিয়ে গণঅভ্যূত্থান ঘটাতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের এই অবৈধ সরকারের শাসনে যে হারে দুর্নীতি হচ্ছে বিশ্বের আর কোথাও তা হচ্ছে না। ছোট-বড় সব ধরনের কাজে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে নিজেদের পেট ও পকেট পূর্তি করছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাদেরকে যারা অবৈধভাবে মদদ দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে তারাও পিছিয়ে নেই। সবাই এখন লুটেপুটে খাচ্ছে এদেশের গরীব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের দেওয়া রাজস্বের টাকা।

বিএনপির স্থায়ী সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিন্ন করতে যত ধরনের ষড়যন্ত্র পৃথিবীর রাজনীতির ইতিহাসে রয়েছে, তার সবগুলো করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তাদের লালিত প্রশাসনের কর্তারা। তারপরও বিএনপির কর্মী-সমর্থক একটুও কমছে না, বরং দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জোড়ালো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এদেশের গণতন্ত্রের মশাল তার হাতেই তুলে দিতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, চাচিং প্রু জেরী, এসএম ফজলুল হক, নূরুল আমিন, আবু সুফিয়ানসহ উত্তর দক্ষিণ জেলা ও মহানগরীর নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন