বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার (২০ মে) ভোরে দেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে পাঠানো সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবহাওয়া অফিসের ঘোষণা অনুযায়ী যেসব এলাকায় ‘আম্ফান’ আঘাত হানার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে, সেসব এলাকার লোকজন যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পারলে শুকনো খাবার ও খাবার পানি সঙ্গে নিন। রাতে চলাচলের প্রয়োজনে ইলেকট্রনিক উপকরণ যেমন লাইট, ব্যাটারি সঙ্গে রাখুন। গৃহপালিত পশুপাখি যতটা সম্ভব নিরাপদ ও উঁচুস্থানে রাখুন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় চলাকালে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করবেন। ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গ্যাসের চুলা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখুন। জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজন পড়ে এমন অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী অবশ্যই পানি নিরোধী পলিথিন কিংবা শুকনো থাকবে এমন বস্তু দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে সংরক্ষণ করুন।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে তাই আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে ভুলবেন না। যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অবস্থানের চেষ্টা করুন। ঘূর্ণিঝড়ের পরে উদ্ধার অভিযানের রেসকিউ সামগ্রী ও রেসকিউ বোর্টের জন্য প্রয়োজন পড়তে পারে। এজন্য উদ্ধারের কাজে লাগতে পারে যেমন স্পিডবোট, রেসকিউ বোট, নৌকা, লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন।
ঘূর্ণিঝড় থেকে সুরক্ষিত থাকতে আশ্রয়কেন্দ্রে নিজে যান। অপরকেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এই ব্যাপারে যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক কিংবা পুলিশের সহায়তা নিন। যেকোনো প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশের স্থানীয় ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাকে যেকোনো তথ্য কিংবা ঘূর্ণিঝড় কারণে প্রয়োজন হতে পারে এমন যেকোনো সহযোগিতার জন্য সদা প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় পুলিশের সহায়তা নিন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, অপরকেও সুরক্ষিত রাখুন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ