দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্যারালাইজড হয়ে পড়া ওমর আলী শেখকে গতকাল শনিবার রাতে রংপুর সিটি করপোরেশনের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঘটনায় পর দিন সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় নিউরো সার্জারি ওয়ার্ড থেকে ভিআইপি কেবিনে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার কোমর থেকে নিচের পুরো অংশই প্যরালাইজড হয়ে পড়েছে। কথা বলতে এবং খেতে পারলেও তিনি চলাচল করতে পারছেন না। আপাতত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। ঘটনার রাতে সন্ত্রাসীরা তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে তার স্পাইনাল কর্ডে মারাত্মক ইনজুরি হয়। সাধারণত এ ধরণের জটিলতায় চার হাত-পা অবশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো অংশ অবশ হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম/আবু জাফর