জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস সাক্ষ্য দিয়েছেন। দীপনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন এই চিকিৎসক।
আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
আজ আদালত আগামী ১৯ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে দীপন কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিনই তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এর আগে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকান্ডের আগে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
এ মামলার মোট ৮ আসামির মধ্যে ছয় কারাগারে আটক রয়েছে। কারাগারে আটক প্রত্যেক আসামি আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে। গত বছর ৮ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর গত বছরের ১৯ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত পলাতক দুই আসামি মেজর জিয়া ও আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ