৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আমি ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করেছি। তার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। মতিউরের মৃত্যুর পর সত্যিকার গণঅভ্যুত্থান শুরু হলো। মানুষ রাজপথে নেমে এলো। মানুষ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করলো। আমরা ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জনসভার ডাক দিলাম। সেই জনসভার পর ছাত্র আন্দোলন চলে এলো এক দফায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর জাতীয় সংসদে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা হয়।
এতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নন, ছিলেন আন্তর্জাতিক তথা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। জন্মশতবার্ষিকীতে বলতে চাই ‘জাতির পিতা, এই জাতি কোনোদিন আপনাকে ভুলবে না’। ‘আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ’ আপনার কন্যা গড়ে তুলছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা।
‘আমাদের মত-পথের ভিন্নতা ছিল। তারপরও আমরা এক হতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আমরা ১১ দফায় (সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের) অন্তর্ভুক্ত করেছি’,- যোগ করেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই’ এটা আমরা লিখতে পারিনি। কেউ কেউ আপত্তি করেছিলেন। এজন্য আমরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার চেয়েছিলাম। তবে আমরা মনে করেছিলাম, এই দাবি এক দফায় চলে আসবে। ঠিকই পল্টনের জনসভার পর আন্দোলন এক দফায় পরিণত হলো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে গত রবিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এই অধিবেশনে সোমবার ( ৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) এ আলোচনা শেষ হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
