১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৩৮

‘তারা অত্যন্ত ধুরন্ধর ও প্রতারক চক্রের লিডার’

অনলাইন ডেস্ক

‘তারা অত্যন্ত ধুরন্ধর ও প্রতারক চক্রের লিডার’

আজ র‌্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-সিইও

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের লিডার। তারা অত্যন্ত ধুরন্ধর ও কৌশলী। আজ তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম। 

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের লিডার এবং অত্যন্ত ধুরন্ধর ও কৌশলী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একেক সময় একেক রকম কথাবার্তা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান। আসামিরা তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা প্রতারকসহ ইভ্যালির পণ্য বিক্রয়ের নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক গ্রাহকের ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ পায়, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা উদ্ধারসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাদের রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।’

শুনানি শেষে তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর আজ তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তাদের পৃথক দুটি গাড়িতে গুলশান থানায় নেওয়া হয়। সাদা রঙের একটি হায়েস মাইক্রোবাসে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে ও অপর একটি গাড়িতে চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে নেওয়া হয়।  

আজ দুপুরে র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বিপুল সংখ্যক গ্রাহক তৈরি করে একটি ব্র্যান্ডভ্যালু তৈরির পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালির সিইও রাসেলের। ব্র্যান্ডভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ বিক্রি করে দিতেন। এ ছাড়া, তিনবছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোর পরিকল্পনা নেন রাসেল। সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে দেওলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল তার।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর