গণফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঐক্যমতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া অবাধ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।
তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন কখনো একাকী নির্বাচন করতে পারে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এবং বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য। বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রমাণিত হয়েছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এতে সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু বক্তব্য রাখেন। এছাড়া নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য খান সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা গণফোরামের আহ্বায়ক জান্নাতুল মাওয়া প্রমুখ অংশ নেন।
এর আগে একই স্থানে মোস্তফা মহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও মহানগর থেকে আগত নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যেসব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে-সেসব নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হওয়া, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত এমপিদের আধিক্যসহ ঘোরতর অনিয়ম ও সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে-সেগুলোর একটাও নির্বাচন কমিশন বাতিল করেনি। বরং সুষ্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনের পর নির্লজ্জভাবে বলেছে যে, নির্বাচন সন্তোষজনক হয়েছে। কাজেই জনগণ যেখানে এসব কিছুর মালিক, সেখানে জনগণ তাদের এই অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশে জনগণের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন অপরিহার্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ড. কামাল হোসেন একটি চিঠির মাধ্যমে গণফোরামের এই অংশের শুভ কামনা করেন বলে জানিয়েছেন মন্টু।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন