প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার দুপুরে এক শোক বার্তায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানান নতুন রাষ্ট্রপতি।
প্রয়াত পঙ্কজ ভট্টাচার্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৮৩ বছর বয়সী পঙ্কজ ভট্টাচার্য শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তাকে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রবিবার রাত ১২টা ২৮ মিনিটে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়।
বাম আদর্শে বিশ্বাসী এ রাজনীতিকের জন্ম ১৯৩৯ সালের আগস্টে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া গ্রামে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধে বাম দলের (ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিটিউনিস্ট পার্টি) গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন। ষাট দশকের ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
বাংলাদেশের সব আন্দোলন-রাজনৈতিক পালাবদলের প্রত্যক্ষদর্শী এই রাজনীতিবিদ ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
পরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নামে দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। ২০১০ সালে পঙ্কজ ভট্টাচার্য ঐক্য ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। সারাজীবন তিনি বাম রাজনীতির আদর্শ নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন।
রাজনীতির বাইরে তিনি একজন কৃতি ফুটবলার ছিলেন। লেখালেখি করতেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ বছরের অমর একুশে বইমেলায় পঙ্কজ ভট্টাচার্যের আত্মজীবনীমূলক বই ‘আমার সেই সব দিন’ প্রকাশিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত