আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের শান্তির জন্য বিদেশ সফরে গেছেন। এবং তার এই সফর বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই সফর বাংলাদেশকে, এই জাতিকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করেছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে আছেন, তিনি দেশ বিক্রি করতে যাননি। তিনি গিয়েছেন দেশের উচ্চতা আরো বাড়াতে। নিজের জন্য নয়, আগামী বাজেটের জন্য সহযোগিতা চাইতে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যারা কষ্ট পাচ্ছেন সেই সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে বিদেশ গেছেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গারা আমাদের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মির্জা ফখরুল কটাক্ষ করেন। শেখ হাসিনা বাজেট সহযোগিতার জন্য জাপানে ৩০০ মিলিয়ন পেয়েছেন, বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা আছে। আগামী দিনগুলো সুন্দর করার জন্য, বিশ্ব সংকটে জীবনের চাকা সচল রাখা, সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনা বিদেশ গেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এসব সহ্য করতে পারে না। তাদের আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। বিএনপি রাজনীতিতে ডিফিট খেয়েছে। বিএনপি সব সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্রের নামে ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির পর বিএনপির এখন টার্গেট দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। অর্থনীতির চাকা বন্ধ করতে তারা নব নব কৌশলে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। আগুন লাগাতে হবে, লুটপাট করতে হবে-এটাই বিএনপির স্বভাব। অর্থপাচারকারী লুটেরাদের হাতে দেশের ক্ষমতা জনগণ দিবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এমন কেউ দলের মনোনয়ন পাবেন না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঐক্যের পতাকা সমুন্নত রাখব। এই ঐক্যে যেন চিড় না ধরে, ফাটল না ধরে। এই ঐক্যকে আরো সংহত করতে হবে।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিডি-বিডি-প্রতিদিন/বাজিত