নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের কর্মীদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন বহিষ্কার করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
সোমবার বিকালে গাজীপুরে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন এসএম কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর যদি নৌকাকে সমর্থন না করে তাহলে সে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে বলে আমি মনে করি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি জাহাঙ্গীর নৌকার পক্ষে কাজ না করলে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক। জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাকর্মীদের চোখের ভাষা বুঝে, তাদের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারেন। শেখ হাসিনা তৃণমূলে কর্মীদের দাবির প্রতি, তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেন। সেই ক্ষেত্রে তৃণমূলের কর্মীদের আকাঙ্ক্ষার বাইরে, জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তের বাইরে যদি আমিও কাজ করি, আমাকেও ছাড় দেবেন না।
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমি মনে করি তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী, জাহাঙ্গীর যদি নৌকার পক্ষে কাজ না করে, তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আজীবন বহিষ্কার করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, মহান মে দিবসে আজকে আমরা বলতে চাই যে, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বড় বড় শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ শ্রমিক কৃষকদের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তিনি কর্মচারীর মুক্তির লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করছেন। বিএনপির আমলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ছিল ১৬০০ টাকা। শেখ হাসিনা সেই শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন ৮ হাজার টাকা। করোনা মহামারী সময় কর্মক্ষম শ্রমিকদের জন্য ৩৩০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিন মাস পর্যন্ত। বৈশ্বিক মহামারী সময় শ্রমিকদের বেতনের জন্য শ্রমিকরা যাতে সঠিক সময় বেতন পায় সেজন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের অনুদান দিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতা আছেন বলে আজ বাংলাদেশ অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। শ্রমিকদের সন্তানরা আজ বছরের শুরুতেই এক সেট বই পায়।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং মহামারী করোনার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে নিত্যপণ্য জিনিসের ব্যবস্থা করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে, ষড়যন্ত্র করে, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য তারা কিছু করেনি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করেছেন, কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে, খুনিদের রাষ্ট্রে ও দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা দেশটাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছিল। এই বিএনপি জামায়াত আজকে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন। নৌকায় ভোট দিলে বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে। নৌকা ভোট দিয়ে বিএনপির জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
বিডি-বিডি-প্রতিদিন/বাজিত