রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে কলা চাষে অধিক আগ্রহী কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ে কলা চাষে অধিক আগ্রহী কৃষক

চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কলা চাষ হয়েছে। অর্থকরী ফসল কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এ জেলার কৃষক। জেলার কৃষক অর্থকরী ফসল ধান, পাট, আলু-মরিচের পাশাপাশি কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ জেলার হতদরিদ্র কৃষক। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় দিন দিন কলা চাষের আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে কৃষকদের। এমনকি এই জেলায় উৎপাদিত কলা দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। কলা একটি লাভজনক ফসল। দিনদিন এই জেলায় কলার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলার চারা রোপণ করার ৯-১১ মাসের মাথায় কলার গাছে কলা ধরে এবং পাকে। প্রতি বিঘা জমিতে সাড়ে ৩শ' থেকে ৪শ' কলার চারা রোপণ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষক কলা উতৎপাদন করে ৮০-৯০ হাজার টাকা আয় করে। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এক বার কলার চারা রোপণ করলে ৪ বার ফসল পাওয়া যায়। তিন জাতের কলা চাষ করে কৃষক। তিন জাতের মধ্যে রয়েছে সাগর, সরবি ও চম্পা। তবে সরবি ও চম্পা কলার চাহিদা বেশি।

এ ব্যাপারে কৃষক শাহরুল, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, জসিম উদ্দিন জানান, কলা একটি লাভজনক ফসল। জমিতে কলা চাষ করলে ওই জমিতে কলাসহ অন্যান্য সাথী ফসলও রোপণ করা সম্ভব। কলা চাষ করে এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদন খরচ বাদে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই এই এলাকার কৃষক কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এছাড়া তারা আরও জানায়, তাদের উৎপাদিত কলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ভূপেশ কুমার মণ্ডল জানান, দিন দিন এই জেলায় কলা চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ হিসেবে জানান, কলা চাষে চাষীরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে তেমনি কলা একটি পুষ্টিকারী ফসল এবং সব জমিতে কলা চাষ হয়।
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ অক্টোবর, ২০১৪/ রশিদা

সর্বশেষ খবর