শিরোনাম
সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

হত্যা রহস্য কাটেনি, নাটোরে মহাসড়ক অবরোধ

নাটোর ও বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি

হত্যা রহস্য কাটেনি, নাটোরে মহাসড়ক অবরোধ

নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল দানিয়েল গমেজকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার সাত দিন পরও ঘটনার কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর জের ধরে গতকাল বেলা ১১টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় প্রায় পাঁচ হাজার খ্রিস্টান নারী-পুরুষ। পরে তারা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাঠানো বিশেষ প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিকেলে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত সুনীল গমেজের বাসার অপর ভাড়াটিয়া বনপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন মণিকে (৩৫) আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বনপাড়া বাইপাস মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনকালে বনপাড়া প্যারিস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি বেনেডিক্ট গমেজের সভাপতিত্বে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন বনপাড়া ক্যাথলিক চার্চের ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু। সমাবেশে এ দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে অন্যদের মধ্যে পৌর মেয়র কে এম জাকির হোসেন, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মিলন আই গমেজ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, জেলা আদিবাসী সংগঠনের পক্ষে নরেশ চন্দ্র সাহা এবং বোর্নি, মথুরাপুর, ভবানীপুর, গোপালপুর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এর আগে তারা সুনীল গমেজসহ সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সব সংখ্যালঘু ব্যক্তির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় এক ঘণ্টারও বেশি সময় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় নাটোর-পাবনা ও বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কের উভয় পাশে হাজার হাজার বাস-ট্রাক আটকা পড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘুরা এ দেশে শান্তিপূর্ণ বসবাসের পাশাপাশি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়। দিনের আলোয় সুনীল গমেজকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার সাত দিন পরও এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় আমরা দারুণভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। সুনীল হত্যার ঘটনায় জজমিয়া নাটক না সাজিয়ে অবিলম্বে প্রকৃত খুনি কারা তা বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর