পদ্মাকে ‘হেরিটেজ’ অঞ্চল ঘোষণার দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন। গতকাল শুক্রবার বিকালে ‘রাজশাহীবাসী’ নামের একটি জেলাভিত্তিক সংগঠন এ মানববন্ধন আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ডিজি ম এনামুল হক, ‘পরিচ্ছন্ন রাজশাহী’র আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম সেন্টু, ‘রাজশাহীবাসী’র সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন রাজু, স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান রাজ, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চাই’র আহ্বায়ক আসলাম উদ-দৌলা, লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রাজশাহীবাসীর আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু। পদ্মা নদী রক্ষায় গত ১৯ মে থেকে চলে আসা লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে রাজশাহী দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বসবাসযোগ্য শহর। আর এ শহরটি গড়ে উঠেছে পদ্মাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সম্প্রতি নদীটিকে মেরে ফেলতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। উন্নয়নের নামে নদী ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী, এমনকি কোনো কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নদীবক্ষে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
মানববন্ধনে বলা হয়, বাংলাদেশের এ নদীটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে বয়ে গেছে। এখন কোনোভাবে এর স্বাভাবিক গতিতে বিঘ্ন ঘটলে এটি দক্ষিণ পাশে ভারতের দিকে চলে যাবে। তখন আর এটি বাংলাদেশের থাকবে না। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা এবং জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পানির অভাবে কৃষিব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। বিশ্বের বিলুপ্ত প্রায় ঘড়িয়াল এবং ছয় প্রকারের অতিথি পাখি তাদের আবাসস্থল হারাবে।
যথাযথ সমীক্ষা ছাড়া এ অঞ্চলে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প না নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বক্তারা বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে পদ্মা নদী ধ্বংস করবে এমন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হতে দেব না। নদী দখলের যে কোনে প্রচেষ্টাও রুখে দেওয়া হবে।
পদ্মা নদী রক্ষায় সরকারি উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কোনো মূল্যে নদী রক্ষার কথা বলেছেন। তবে কোনো কোনো মহল এমনকি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও নদীর স্বাভাবিক গতিধারায় বিঘ্ন ঘটিয়ে প্রকল্প নিচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন চাই।