সারা দেশে ফিটনেস নবায়ন না করা (ফিটনেস খেলাপি) গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রতিবেদনের পর আদালত এমন মন্তব্য করে। আদালতে বিআরটিএ-এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। পরে আইনজীবী রাফিউল ইসলাম বলেন, আদালত বলেছে- ফিটনেস নবায়ন না করা কোনো গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। এখনো ফিটনেস খেলাপি গাড়ি কীভাবে চলছে তা বিআরটিএ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে রবিবারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত বছর ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ি ফিটনেস খেলাপি ছিল। ওইদিন আদালত আদেশ দিয়েছে- ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে। এ আদেশ অনুসারে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যানার লাগিয়েছে। এবং ফিটনেস খেলাপি গাড়িকে জ্বালানি দিচ্ছে না। এসবের সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দেখিয়েছি। প্রতিবেদনে গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে সারা দেশে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ি তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারা দেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দুই মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ২৪ জুন আদালত ঢাকাসহ সারা দেশে ফিটনেসবিহীন তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। সে অনুসারে, হাই কোর্টে এ প্রতিবেদন দেয় বিআরটিএ। গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।