সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের মাঝেই চার নতুন মন্ত্রী নিয়োগ

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ, সব সহযোগীসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে গ্রেফতার চেয়ে এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে অস্বীকার করে যখন দেশজুড়ে গণবিক্ষোভ অব্যাহত, তখন শ্রীলঙ্কায় নতুন চার মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার জন্য বিরোধী দলকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, কলম্বো পেজ। খবরে বলা হয়েছে, গত শনিবার রাতে নতুন চার মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি নিজ দল পদুজানা পারামুনার চার সদস্যকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। চারজনই গত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। নতুন নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জি এল পেইরিস, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রণালয়ে দিনেশ গুনাবর্ধনে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে কাঞ্চা ওয়াইজেসেকরা এবং আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হাউজিং মন্ত্রণালয়ে প্রসন্ন রানাতুঙ্গা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ এ পর্যন্ত রনিল বিক্রমাসিংহেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধীদলসহ অধিকাংশ জনগণই ভালোভাবে নেয়নি। তারা মনে করছেন, রনিল রাজাপক্ষে পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠদের একজন। এরই মধ্যে দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বে জোটে যোগ দেবে না বলে সরাসরি জানিয়েও দিয়েছে। এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশবাসীকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইতিবাচক ধারায় ফেরার আগে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আরও খারাপ হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটে দুর্ভোগ ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। আগামীতে এই সংকট আরও বাড়বে। তবে হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরুন, আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করব। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, আমরা খাদ্য পাব।’ তিনি জনগণের দাবি সম্পর্কে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করবেন না। দোষারোপের রাজনীতি কোনো সুফল দেবে না। জনগণ যাতে খেয়েপরে বাঁচতে পারে, সে জন্য আমি আছি। রাজাপক্ষে সরকারের সব নীতি পরিবর্তন করব।’

 প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে গতকাল চিঠি পাঠিয়ে প্রধান বিরোধী দল এবং সামাজি জানা বালাওভেগায়ায়ানের নেতা (এসজেবি) সাজিদ প্রেমাদাসাকে তার দল ও গ্রুপের সবাইকে সরকারে আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘এক বছরের জন্য আপনাদের সহায়তা আমাদের প্রয়োজন।’

তবে এর আগেই বিরোধী দল জানিয়ে দিয়েছে, তারা তথাকথিত ঐক্য সরকারে যোগ দেবে না। একসময় রাজাপক্ষে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিন্তু এখন স্বতন্ত্র দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি বলেছে, তারাও মন্ত্রিসভায় যাবে না।

খবরে বলা হচ্ছে, এ অবস্থায় দেশটির সামনে আরও বেশি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে কলম্বোর গল ফেস গ্রিনে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, গোতাবায়ার নেতৃত্বাধীন সরকারকে শিগগিরই পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকার ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাও কমাতে হবে।

সর্বশেষ খবর