শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হাত বাড়ালেই মাদক

টঙ্গী প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। পুলিশের নাকের ঢগায় আঙুল দিয়ে দেদার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। তবে পুলিশের সোর্সরাই সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। এরা মাদক থেকে শুরু করে সব অপরাধের সঙ্গে জড়িত। টঙ্গীর উনিশটি বস্তিসহ একাধিক স্পটে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। খুচরা ব্যবসায়ীরা ধরা পড়লেও আসল হোতারা রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছত্রছায়ায় চলছে মাদক ব্যবসা এমন মন্তব্য এলাকাবাসীর। সরেজমিন ঘুরে জানাযায়, টঙ্গীতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জড়িয়ে পড়ছে নেতারাও। আবার অনেকেই কৌশলে সংবাদপত্রের কার্ড নিয়ে করেন মাদক ব্যবসা। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা দলের নাম ভাঙিয়ে রাতভর নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে আর পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ হাতিয়ে নেন।

টঙ্গীর বেশ কয়েকটি স্পটের মধ্যে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড হাজী মাজার বস্তি, মিল গেট নামাবাজার বস্তি, কাঠার দিয়া বস্তি, গাজীপুরা খরতৈল ব্যাংকপাড়া, টঙ্গী বাজার এলাকা, আরিচপুর, মিরেশপাড়া, নদীবন্দর, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্যাংক মাঠ বস্তি, আমতলী বস্তি, হিমারদিঘি, দত্তপাড়া, শিলমুন, মরকুন, আউচপাড়া, মধুমিতা, গাজীবাড়ি, পাগাড় সোসাইটি মার্কেট, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা।

এদিকে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আমতলী এলাকার পাশে অবস্থিত বিলাশবহুল জাবান হোটেল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ওই হোটেলে শুরু হয় অশ্লিল নাচগান আর মাদক কেনাবেচা, চলতে থাকে সারা রাত। এমনকি জাবান হোটেলের গেটে গিয়ে চাইলেই পাওয়া যাবে নানা ধরনের মাদক। ইতোপূর্বে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ডজন ডজন নারী-পুরুষ, মাদক ও মাদক বিক্রির টাকা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলাও হয়। তারপরও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। এ বিষয়ে ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন বলেন, পুলিশের কাজ এখন আমরা করছি, এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ির কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে পুলিশে দেই। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর