মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ঐক্য ন্যাপের প্রয়াত সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর পোস্তগোলা মহাশ্মশানে গতকাল রাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে বিকালে শমরিতা হাসপাতালের মর্গ থেকে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শহীদ মিনারে তাঁকে গার্ড অব অনার দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেদায়েতুল ইসলাম।
এরপর পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন। শুরু হয় পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন। সেখানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এরপর পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। সেখানেও তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৪ বছর বয়সে প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য ১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় তাঁর শিক্ষাজীবন কেটেছে। ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ততার কারণে ১৯৫৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন। পঙ্কজ ভট্টাচার্য গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক।
১৯৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি ১৯৬৭ সালে ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হন। ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।