রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছেলে রাহাবুল ইসলাম রাসেলের (১৬) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে ঝাউচর আমলা টাওয়ার রোডের একটি বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বাবা জুয়েল রানা। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন হাজারীবাগ থানার এসআই শামসুল হুদা।
নিহত রাসেলের মামা হুমায়ুন কবির জানান, রাসেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীতে। শনিবার রাত ১১টার দিকে রাসেলের বাবা জুয়েল নিজে তাদেরকে ফোন দিয়ে জানায়, সে নিজে তার ছেলে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তার অবস্থা ভালো না, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে রাসেল দ্বিতীয়। তার বড় ভাই পশু চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মাদরাসা ছাত্র। তারা দুজন গ্রামে থাকে। রাসেল এবং তার বাবা জুয়েল ঝাউচরের ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন। আর রাসেলের মা শাহনাজ বেগম এবং তার খালা জর্ডান প্রবাসী।
হাজারীবাগ বাজারে একটি হোটেলে কাজ করত রাসেল। আর তার বাবা জুয়েল রায়েরবাজার এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করে। দুজনরই বিদেশ যাওয়ার কথা চলছিল। কিছুদিন আগে রাসেলের পাসপোর্ট করা হয়েছে। কে আগে যাবে। কাকে আগে নিয়ে যাবে, এ নিয়ে রাসেলের মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। তাকে আগে না নেওয়ার ব্যবস্থা করলে সে পরিবারে অশান্তি করবে এবং অন্য একটি বিয়ে করে অন্য কোথাও চলে যাবে বলে রাসেলের মাকে প্রায়ই হুমকি দিত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এরই জের ধরে শনিবার রাতে জুয়েল তার ছেলে রাসেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।