ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মেডিকেল রিপোর্ট না থাকায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করেছেন আইনজীবী। একই মামলায় অপর ছয় আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে শুনানির একপর্যায়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, আমির হোসেন সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও আবদুল্লাহীল কাইউম।
লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন জানান, লতিফ সিদ্দিকী প্রথমে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাননি। পরে জেড আই খান পান্নার ওকালতনামা দেখে তিনি স্বাক্ষর করেন। এজন্য লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। যেহেতু তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থতার বিষয়ে মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। সেটা দেখিয়ে জামিনের জন্য শুনানি করার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির আগে সঠিক সময় পরিবার মেডিকেল রিপোর্ট সরবরাহ করতে পারেনি। এ জন্য তার জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট মঞ্চ ৭১ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে তারা। বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করে। এসময় অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে থানায় নেয়।