শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৩, সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

লকডাউনের টক কথা

হানিফ সংকেত
অনলাইন ভার্সন
লকডাউনের টক কথা

কেউ বলেন করোনা এক রহস্যময় ভাইরাস। কেউ বলেন মরণ ভাইরাস। যা সারা পৃথিবীর মানুষকে গৃহবন্দী করেছে। কেড়ে নিয়েছে জীবন, জীবিকা, মানবিকতা। গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছরের ১৮ মার্চ। এরপর ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে ২১ ও ২২ মার্চ দুজন মারা যান। এরপর ওই এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকেই আমাদের দেশে এই ‘লকডাউন’ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলায় এই শব্দটির অর্থ অবরুদ্ধ অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের নিয়ন্ত্রিত চলাচলের জন্য গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা। অল্প কদিনের মধ্যে এই রোগটি ভয়াবহ গতিতে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তখন ইত্যাদির টিম নিয়ে ঈদের অনুষ্ঠান নির্মাণে ব্যস্ত। বিদেশিদের নিয়ে সপ্তাহে দুই দিন করে মহড়া হচ্ছিল গুলশানের বিভিন্ন বিদেশি ক্লাবে। ফেব্রুয়ারি শেষে আমরা মহড়া শুরু করি। মহড়া শুরুর কয়েক দিন পরই সবার মধ্যে করোনা ভীতি লক্ষ্য করি। অনেককেই দূতাবাস থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। মার্চের মাঝামাঝি বিদেশি নাগরিক ৬০ জন থেকে কমে ৩৫ এ এসে দাঁড়াল। বিদেশিদের পর্বের ধারণ তারিখ ছিল ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল। এরই মধ্যে যে কোনো সময় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসার কানাঘুষা চলছিল। সুতরাং সবার উৎসাহে, অনুরোধে ১৮ এপ্রিলের শুটিং বাতিল করে ২১ মার্চ, শনিবার করার সিদ্ধান্ত নেই। উল্লেখ্য, বিদেশিদের সুবিধার্থে এই পর্বটি সবসময় ছুটির দিন দেখেই করতে হয়। স্বল্প সময়ের প্রস্তু‘তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক কষ্টে শুটিং শেষ করি। করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সে সময় এই পর্বটির পর আর কোনো পর্বই শুটিং করা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিন ছুটি থাকার পর ৩১ মে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানা খুলে দেওয়া হয়। যদিও সে সময় ঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন। গত বছরের ধাক্কাটাকে সামলে সবকিছু যখন স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছিল তখনি শুরু হলো দ্বিতীয় ঢেউ অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাক্কা। বেড়ে চলল মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনে পৌঁছালে, ৩৭৩ দিন পর গত ৫ এপ্রিল আবার এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল এবং ২১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার আগে এবং পরে মিডিয়ার টকশোগুলোতে দ্বিমুখী আলোচনা শোনা যায়। লকডাউনের আগে-লকডাউন দিচ্ছে না কেন? লকডাউনের পরে-কেন লকডাউন দিল? পেটে ভাত নেই, তাই পিঠে সয় না। যদিও এ বিষয়টি লকডাউনের আগে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেত। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের এই লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মজার আলাপের বাজার বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নানা নামে অভিহিত হয়েছে এই লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন, নাকি ঢিলেঢালা লকডাউন? দেশভিত্তিক লকডাউন, নাকি এলাকাভিত্তিক লকডাউন? কঠোর লকডাউন নাকি সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ? সর্বাত্মক হলেও এটা কি সবার জন্য প্রযোজ্য, নাকি কারও কারও জন্য প্রযোজ্য? কারণ এই লকডাউনে বিধিনিষেধ ভঙ্গে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে রিস্ক উল্টানোর চিত্র দেখা গেলেও কারও ব্যক্তিগত গাড়ি বা জিপ উল্টাতে দেখা যায়নি। লকডাউনের এসব নামকরণের বিভিন্ন কারণও রয়েছে। অনেকেই এই লকডাউন মানতে নারাজ। তাদের কথা, পেটেই যদি ভাত না থাকে তাহলে করোনাকে ভয় পেয়ে কী হবে? এই করোনায় প্রচুর ছাঁটাই হয়েছে। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন গ্রামে, তাদের কী হবে? আবার কারও মতে জীবন আগে-জীবিকা নয়, বেঁচে থাকলে অনেক জীবিকার সন্ধান করা যাবে। কারও মতে জীবন-জীবিকার সমন্বয় প্রয়োজন। কেউ আবার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কথা বলে উদাহরণ দিচ্ছেন-বিশ্বের অনেক জায়গায় কারফিউ দিচ্ছে, কড়া লকডাউন হচ্ছে, কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অন্য পক্ষ বলেন, তাদের ঘরে সময়মতো খাবার পৌঁছে যাচ্ছে, সুতরাং বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। আর এসব চিন্তা করে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করেছেন। এই প্রণোদনা নিয়েও আবার কেউ কেউ বলছেন ভিন্নকথা। পত্র-পত্রিকায়ও লেখা হচ্ছে, সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা কার কাছে যায়! সত্যিকার অর্থে যাদের সাহায্য দরকার তারা নাকি এই টাকা পাওয়ার উপায়ই খুঁজে পান না। একটি দৈনিকে লিখেছে, ‘সরকার যদি দরিদ্র মানুষের উপকার করতে চায় তবে সরাসরি সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা বিকাশ ও রকেট হিসাবে দিতে পারে।’

লকডাউনে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি তো রয়েছেই, কারণ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু ক্ষতিতো হবেই। বিগত বছরগুলোতে হরতালসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, ঘনঘন লোডশেডিং এসবের কারণে কি আমাদের কম ক্ষতি হয়েছে? বিশেষ করে ‘লাগাতার জাতীয় হরতালে’ এবং ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের উন্নয়ন, দেশের সম্পদ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন শুধু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানই নয়, সরকারি সম্পদ যাকে আমরা জনগণের সম্পদ মনে করি তারও ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থার শতাধিক গবেষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় এক দিনের হরতালে দেশের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাদের হিসাব মতে, বছরে গড়ে ৪৬ দিন হরতাল হয়, সেদিক থেকে হরতালে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং পরিবহন। কিন্তু হরতালের সময় আমরা কেউই এই দৈনিক ক্ষতির হিসাবটা নিয়ে চিন্তা করি না।
শুধু এই ক্ষতিই নয় হরতালে সবচাইতে বড় ক্ষতি যেটা, সেটা হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি। যা অপূরণীয়। বিদেশি বিনিয়োগের আস্থার জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব ক্ষতির তুলনায় এক সপ্তাহের লকডাউনে ক্ষতি খুবই কম। তেমনি দেশে যখন ভূমিকম্প হয় তখন উঁচু ভবন থেকে মানুষ কত দ্রুত নিচে নামতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু করেন। খাবার চিন্তা করেন না, করেন বাঁচার চিন্তা। বানভাসী মানুষ প্রথমে বাঁচতে চান, একটুখানি পানিমুক্ত স্থান চান থাকার জন্য, তারপর খাবার চিন্তা করেন। জীবন বাঁচলে জীবিকার সন্ধান করা যাবেই। এরপরে তো প্রণোদনা কিংবা বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার পথ খোলা রয়েছেই।

লকডাউনের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে আমরা কি সেটা মেনে চলেছি? অনেকে স্বাস্থ্যবিধি কী সেটাই বোঝেন না। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। আমরা কি সেই মাস্কটি যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শপিং মল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট সবজায়গাতেই দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থাকলেও তা সঠিক জায়গায় নেই। হয় নাকের নিচে, নইলে থুঁতনিতে। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক কারও মতে ৬ ঘণ্টা, কেউ বলেন সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মাস্কে ময়লা জমে এমন রং ধারণ করে যে দেখলে মনে হবে এটি এক দিন নয় এক সপ্তাহেরও বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু মাস্ক আছে যেগুল ধুয়ে পরিষ্কার করে কিছু দিন ব্যবহার করা যায়। সেই ধোয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা কেন জানি কোনো নিয়ম-কানুনই মানতে রাজি নই। দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কথা বলছেন অথচ দুজনের মাস্কই থুঁতনিতে ঝুলছে। টিভিতে দেখেছি, এই করোনার ঊর্ধ্বগতিতেও অনেকে কোলের শিশুকে নিয়ে পর্যন্ত শপিং করতে গেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভাবখানা দোকানে করোনার প্রবেশ নিষেধ। অনেকে ‘স্যানিটাইজার’ শব্দটির অর্থও জানেন না। অনেক স্থানে তাপমাত্রা মাপা হয় লোক দেখানো, অনেক সময় ওই যন্ত্রে ব্যাটারিই থাকে না। ভাগ্যিস পরবর্তীতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে- যা সবার বোধগম্য। তারপরও কী আমরা সবাই ঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সব কাজ করছি? ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যখন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে এবং লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়, মানুষ জীবিকার সংকটে পড়েন-তখনই সবার সচেতনতা বাড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ বেশি নয়। করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৩৮তম। সুতরাং আমরা একটু সচেতন হলেই এই ‘ঢিলেঢালা’ উপাধিপ্রাপ্ত লকডাউনের যাতনা সইতে হতো না। এ বছরের শুরুর লকডাউনটি ছিল বেশ হাস্যকর। সীমিত পরিসরে অফিস খোলা, অর্থাৎ অফিসে যেতে পারবেন। কাঁচাবাজারে যেতে পারবেন। গণপরিবহন চলবে না কিন্তু ব্যক্তিগত পরিবহনে যেতে পারবেন। রাস্তায় বেরোনো যাবে না কিন্তু বইমেলায় যেতে পারবেন, ব্যাংকে যেতে পারবেন। এসব নানাবিধ সুযোগের কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া মানুষগুলোর যৌক্তিক অজুহাতের অন্ত নেই। পাশাপাশি চলছে বাদ প্রতিবাদ। অফিসে যেতে হবে অথচ গণপরিবহন বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। গার্মেন্ট খোলা, কলকারখানা খোলা অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। এসব বিষয়ে দুই পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে। তবে এসব যুক্ত তর্কের ঊর্ধ্বে প্রধান বিষয় হচ্ছে, আমরা একটি ভয়ংকর সময় পার করছি। বাঁচা-মরার লড়াই। এ রোগ সামাজিক পারিবারিক বন্ধনকে পর্যন্ত ছিন্ন করে দিয়েছে। হাজার কোটি টাকা থাকলেও চিকিৎসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ নেই। এটা কারও দোষ নয়, রোগের দোষ। আমরা জানি না কতদিন এই রোগের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তবে এই যুদ্ধ জয়ের জন্য আমাদের সবাইকেই আরও সচেতনভাবে লড়তে হবে। নিজেদের কিছুটা স্বার্থত্যাগ করে হলেও আমরা কি অন্তত একটি সপ্তাহ এই ‘ঢিলেঢালা’ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সত্যিকারভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলতে পারি না? আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা কি এক সপ্তাহের বাজার করে রাখতে পারি না? যাদের সামর্থ্য নেই, আমাদের দেশের বিত্তশালীরা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান করে হলেও সরকার এবং এই ধনীদের অর্থ সহায়তায় গরিব ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে পারি না? এমনিতেই পত্রপত্রিকায় দেখি হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে দেশে এখনো অনেক মানুষের থাকার জন্য একটুখানি জায়গা নেই, সেখানে অনেকে উন্নত দেশগুলোতে সেকেন্ড হোম করছেন। এসব অর্থ আসে কোত্থেকে? পাচার হয় কীভাবে? দেশে এখনো অনেক বিত্তশালী আছেন যারা শত শত কোটি টাকা অসহায় মানুষদের জন্য সরকারি তহবিলে দিতে পারেন। এই করোনায় আমরা অনেক বিত্তশালীর করুণ মৃত্যু দেখেছি, মৃত্যুর সময় কেউ তাদের ধনসম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেননি।

বিভিন্ন উৎসব আনন্দে আমরা অনেকেই নুতন পোশাক পরে থাকি। বিগত বছরগুলতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। তাই বলে সবসময়ই সব উৎসব আনন্দ একভাবে আসে না। এখন আমাদের মহাসংকট। প্রতিটি পরিবার জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে কান্নার রোল এখনো থামেনি। সান্ত্বনা দেওয়ার মানুষ নেই। থাকলেও কাছে যাওয়ার উপায় নাই। এই অবস্থায় আমরা কতটুকু আনন্দ করতে পারব সেটাও ভেবে দেখতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেখানে শঙ্কা সেখানে আনন্দ কতটা নিরাপদ? সেটা কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো সবকিছুর বেলাতেই প্রযোজ্য। দুই লকডাউনের মাঝখানে ২/৩ দিন দোকানপাট খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এবারও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকা সত্ত্বেও ২৫ তারিখ থেকে দোকান-পাট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এবারও যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে তার নিশ্চয়তা কী? আর তার ফলে যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তার দায়িত্ব-বা কে নেবে?

আসলে বড় উদ্যোক্তারা সবসময়ই লাভবান হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই সবসময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তাদের তত পুঁজি নেই, ব্যাংক ঋণও নেই। আমাদের সবার কথাই ভাবতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি ভাবতে হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সেই স্থিরচিত্র গ্রাহকের কথা যিনি পর্যটকদের ছবি তুলে দিনাতিপাত করেন কিংবা বান্দরবানের তিন্দুর কোনো টং দোকানদারের কথা, যিনি দৈনিক ৫০০ টাকা বিক্রি করে ৫০/১০০টা লাভ করলেই খুশি হন। এদের কথা কারও মুখেই সেভাবে শোনা যায় না। এমনি অপ্রকাশিত অনেক দুঃখী মানুষ আছেন যারা এই দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রণোদনার প্রয়োজন তাদেরও। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রণোদনার অর্থ তাদের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা? এসব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসন এবং বিত্তশালীদের। এই দুর্যোগে জীবন ও জীবিকা দুটোরই সমন্বয় প্রয়োজন।

সম্প্রতি এই কভিড নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া জাতির উদ্দেশে দেওয়া উগান্ডার প্রেসিডেন্টের একটি ভাষণের কিছু অংশ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই। এই ভাষণটিকে দ্বিতীয় কভিডকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষণের এক স্থানে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের সময় আপনি আপনার ব্যবসা খোলা রাখার জন্য তর্ক করেন না। সময় পেলে দোকান বন্ধ করে দেন। (তবে সেই সময়টুকু যদি আপনি পান)। জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালান। আপনি সারাক্ষণ প্রার্থনা করেন যেন যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসাটা আবার চালু করতে পারেন। যদি না আপনার দোকানের সমস্ত মালপত্র লুট হয়ে যায় বা মর্টারের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পৃথিবীতে এমন একটি যুদ্ধ চলছে যেখানে বন্দুক বা গুলির ব্যবহার নেই। এই যুদ্ধের কোনো সীমানা নেই। এই যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি নেই। থামানোর জন্য জাতিসংঘও নেই। এই যুদ্ধের সৈন্যদের কোনো দয়ামায়া নেই। এদের একটাই খায়েশ আর তা হলো মৃত্যু ঘটানো। যা কোনো নিয়মনীতি বা প্রটোকল দ্বারা আবদ্ধ নয়। আর এই সৈনিকরাই হচ্ছে করোনাভাইরাস।

এদের হারাতে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য। এরা আমাদের শারীরিক দূরত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাছেও হার মানে। আপনার হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে এরা একেবারেই অসহায়। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, কভিড-১৯-কে পরাজিত করি।’

মনে রাখতে হবে এই মহা দুর্যোগে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতাই আমাদের বাঁচাতে পারবে। এই করোনা আপনার জন্য হুমকি, আপনার পরিবারের জন্য হুমকি, হুমকি আপনার সন্তানের জন্য। আমাদের সবার পরিবারের সুরক্ষার জন্যই এ মুহূর্তে ঘোষিত যে কোনো আদেশ নির্দেশ বিধিমালা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে তৃতীয় ঢেউও আসবে। গত ১২ এপ্রিল বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখব বলেন, ‘মহামারী এখন ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে।’ এটা নিয়ন্ত্রণের প্রমাণিত উপায় আমাদের জানা আছে, আর তা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে নিরাপদে থাকি, পরিবারকেও নিরাপদে রাখি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
নেপাল-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মিল-অমিলের পোস্টমর্টেম
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
খাদ্যসংকটের এদিক-ওদিক
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
ডাকসু : কেন এমন হলো
ডাকসু : কেন এমন হলো
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ অর্থনীতি: উন্নয়নের যাত্রায় টেকসই সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিতে হবে মনের যত্ন
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
মব ও গুজব রোধে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাবাহিনীর
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
প্রধান উপদেষ্টার একটি বড় অর্জন
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
হাসিনাকে পুশইন করুক দিল্লি
সর্বশেষ খবর
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ
দূরন্ত গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরছে চাঁদ

১২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম
কিংসের দ্বিতীয় না মোহামেডানের প্রথম

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় সাত আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম