শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৩, সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

লকডাউনের টক কথা

হানিফ সংকেত
অনলাইন ভার্সন
লকডাউনের টক কথা

কেউ বলেন করোনা এক রহস্যময় ভাইরাস। কেউ বলেন মরণ ভাইরাস। যা সারা পৃথিবীর মানুষকে গৃহবন্দী করেছে। কেড়ে নিয়েছে জীবন, জীবিকা, মানবিকতা। গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছরের ১৮ মার্চ। এরপর ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে ২১ ও ২২ মার্চ দুজন মারা যান। এরপর ওই এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকেই আমাদের দেশে এই ‘লকডাউন’ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলায় এই শব্দটির অর্থ অবরুদ্ধ অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের নিয়ন্ত্রিত চলাচলের জন্য গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা। অল্প কদিনের মধ্যে এই রোগটি ভয়াবহ গতিতে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তখন ইত্যাদির টিম নিয়ে ঈদের অনুষ্ঠান নির্মাণে ব্যস্ত। বিদেশিদের নিয়ে সপ্তাহে দুই দিন করে মহড়া হচ্ছিল গুলশানের বিভিন্ন বিদেশি ক্লাবে। ফেব্রুয়ারি শেষে আমরা মহড়া শুরু করি। মহড়া শুরুর কয়েক দিন পরই সবার মধ্যে করোনা ভীতি লক্ষ্য করি। অনেককেই দূতাবাস থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। মার্চের মাঝামাঝি বিদেশি নাগরিক ৬০ জন থেকে কমে ৩৫ এ এসে দাঁড়াল। বিদেশিদের পর্বের ধারণ তারিখ ছিল ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল। এরই মধ্যে যে কোনো সময় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসার কানাঘুষা চলছিল। সুতরাং সবার উৎসাহে, অনুরোধে ১৮ এপ্রিলের শুটিং বাতিল করে ২১ মার্চ, শনিবার করার সিদ্ধান্ত নেই। উল্লেখ্য, বিদেশিদের সুবিধার্থে এই পর্বটি সবসময় ছুটির দিন দেখেই করতে হয়। স্বল্প সময়ের প্রস্তু‘তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক কষ্টে শুটিং শেষ করি। করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সে সময় এই পর্বটির পর আর কোনো পর্বই শুটিং করা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিন ছুটি থাকার পর ৩১ মে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানা খুলে দেওয়া হয়। যদিও সে সময় ঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন। গত বছরের ধাক্কাটাকে সামলে সবকিছু যখন স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছিল তখনি শুরু হলো দ্বিতীয় ঢেউ অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাক্কা। বেড়ে চলল মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনে পৌঁছালে, ৩৭৩ দিন পর গত ৫ এপ্রিল আবার এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল এবং ২১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার আগে এবং পরে মিডিয়ার টকশোগুলোতে দ্বিমুখী আলোচনা শোনা যায়। লকডাউনের আগে-লকডাউন দিচ্ছে না কেন? লকডাউনের পরে-কেন লকডাউন দিল? পেটে ভাত নেই, তাই পিঠে সয় না। যদিও এ বিষয়টি লকডাউনের আগে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেত। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের এই লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মজার আলাপের বাজার বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নানা নামে অভিহিত হয়েছে এই লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন, নাকি ঢিলেঢালা লকডাউন? দেশভিত্তিক লকডাউন, নাকি এলাকাভিত্তিক লকডাউন? কঠোর লকডাউন নাকি সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ? সর্বাত্মক হলেও এটা কি সবার জন্য প্রযোজ্য, নাকি কারও কারও জন্য প্রযোজ্য? কারণ এই লকডাউনে বিধিনিষেধ ভঙ্গে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে রিস্ক উল্টানোর চিত্র দেখা গেলেও কারও ব্যক্তিগত গাড়ি বা জিপ উল্টাতে দেখা যায়নি। লকডাউনের এসব নামকরণের বিভিন্ন কারণও রয়েছে। অনেকেই এই লকডাউন মানতে নারাজ। তাদের কথা, পেটেই যদি ভাত না থাকে তাহলে করোনাকে ভয় পেয়ে কী হবে? এই করোনায় প্রচুর ছাঁটাই হয়েছে। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন গ্রামে, তাদের কী হবে? আবার কারও মতে জীবন আগে-জীবিকা নয়, বেঁচে থাকলে অনেক জীবিকার সন্ধান করা যাবে। কারও মতে জীবন-জীবিকার সমন্বয় প্রয়োজন। কেউ আবার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কথা বলে উদাহরণ দিচ্ছেন-বিশ্বের অনেক জায়গায় কারফিউ দিচ্ছে, কড়া লকডাউন হচ্ছে, কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অন্য পক্ষ বলেন, তাদের ঘরে সময়মতো খাবার পৌঁছে যাচ্ছে, সুতরাং বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। আর এসব চিন্তা করে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করেছেন। এই প্রণোদনা নিয়েও আবার কেউ কেউ বলছেন ভিন্নকথা। পত্র-পত্রিকায়ও লেখা হচ্ছে, সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা কার কাছে যায়! সত্যিকার অর্থে যাদের সাহায্য দরকার তারা নাকি এই টাকা পাওয়ার উপায়ই খুঁজে পান না। একটি দৈনিকে লিখেছে, ‘সরকার যদি দরিদ্র মানুষের উপকার করতে চায় তবে সরাসরি সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা বিকাশ ও রকেট হিসাবে দিতে পারে।’

লকডাউনে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি তো রয়েছেই, কারণ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু ক্ষতিতো হবেই। বিগত বছরগুলোতে হরতালসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, ঘনঘন লোডশেডিং এসবের কারণে কি আমাদের কম ক্ষতি হয়েছে? বিশেষ করে ‘লাগাতার জাতীয় হরতালে’ এবং ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের উন্নয়ন, দেশের সম্পদ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন শুধু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানই নয়, সরকারি সম্পদ যাকে আমরা জনগণের সম্পদ মনে করি তারও ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থার শতাধিক গবেষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় এক দিনের হরতালে দেশের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাদের হিসাব মতে, বছরে গড়ে ৪৬ দিন হরতাল হয়, সেদিক থেকে হরতালে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং পরিবহন। কিন্তু হরতালের সময় আমরা কেউই এই দৈনিক ক্ষতির হিসাবটা নিয়ে চিন্তা করি না।
শুধু এই ক্ষতিই নয় হরতালে সবচাইতে বড় ক্ষতি যেটা, সেটা হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি। যা অপূরণীয়। বিদেশি বিনিয়োগের আস্থার জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব ক্ষতির তুলনায় এক সপ্তাহের লকডাউনে ক্ষতি খুবই কম। তেমনি দেশে যখন ভূমিকম্প হয় তখন উঁচু ভবন থেকে মানুষ কত দ্রুত নিচে নামতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু করেন। খাবার চিন্তা করেন না, করেন বাঁচার চিন্তা। বানভাসী মানুষ প্রথমে বাঁচতে চান, একটুখানি পানিমুক্ত স্থান চান থাকার জন্য, তারপর খাবার চিন্তা করেন। জীবন বাঁচলে জীবিকার সন্ধান করা যাবেই। এরপরে তো প্রণোদনা কিংবা বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার পথ খোলা রয়েছেই।

লকডাউনের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে আমরা কি সেটা মেনে চলেছি? অনেকে স্বাস্থ্যবিধি কী সেটাই বোঝেন না। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। আমরা কি সেই মাস্কটি যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শপিং মল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট সবজায়গাতেই দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থাকলেও তা সঠিক জায়গায় নেই। হয় নাকের নিচে, নইলে থুঁতনিতে। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক কারও মতে ৬ ঘণ্টা, কেউ বলেন সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মাস্কে ময়লা জমে এমন রং ধারণ করে যে দেখলে মনে হবে এটি এক দিন নয় এক সপ্তাহেরও বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু মাস্ক আছে যেগুল ধুয়ে পরিষ্কার করে কিছু দিন ব্যবহার করা যায়। সেই ধোয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা কেন জানি কোনো নিয়ম-কানুনই মানতে রাজি নই। দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কথা বলছেন অথচ দুজনের মাস্কই থুঁতনিতে ঝুলছে। টিভিতে দেখেছি, এই করোনার ঊর্ধ্বগতিতেও অনেকে কোলের শিশুকে নিয়ে পর্যন্ত শপিং করতে গেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভাবখানা দোকানে করোনার প্রবেশ নিষেধ। অনেকে ‘স্যানিটাইজার’ শব্দটির অর্থও জানেন না। অনেক স্থানে তাপমাত্রা মাপা হয় লোক দেখানো, অনেক সময় ওই যন্ত্রে ব্যাটারিই থাকে না। ভাগ্যিস পরবর্তীতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে- যা সবার বোধগম্য। তারপরও কী আমরা সবাই ঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সব কাজ করছি? ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যখন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে এবং লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়, মানুষ জীবিকার সংকটে পড়েন-তখনই সবার সচেতনতা বাড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ বেশি নয়। করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৩৮তম। সুতরাং আমরা একটু সচেতন হলেই এই ‘ঢিলেঢালা’ উপাধিপ্রাপ্ত লকডাউনের যাতনা সইতে হতো না। এ বছরের শুরুর লকডাউনটি ছিল বেশ হাস্যকর। সীমিত পরিসরে অফিস খোলা, অর্থাৎ অফিসে যেতে পারবেন। কাঁচাবাজারে যেতে পারবেন। গণপরিবহন চলবে না কিন্তু ব্যক্তিগত পরিবহনে যেতে পারবেন। রাস্তায় বেরোনো যাবে না কিন্তু বইমেলায় যেতে পারবেন, ব্যাংকে যেতে পারবেন। এসব নানাবিধ সুযোগের কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া মানুষগুলোর যৌক্তিক অজুহাতের অন্ত নেই। পাশাপাশি চলছে বাদ প্রতিবাদ। অফিসে যেতে হবে অথচ গণপরিবহন বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। গার্মেন্ট খোলা, কলকারখানা খোলা অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। এসব বিষয়ে দুই পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে। তবে এসব যুক্ত তর্কের ঊর্ধ্বে প্রধান বিষয় হচ্ছে, আমরা একটি ভয়ংকর সময় পার করছি। বাঁচা-মরার লড়াই। এ রোগ সামাজিক পারিবারিক বন্ধনকে পর্যন্ত ছিন্ন করে দিয়েছে। হাজার কোটি টাকা থাকলেও চিকিৎসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ নেই। এটা কারও দোষ নয়, রোগের দোষ। আমরা জানি না কতদিন এই রোগের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তবে এই যুদ্ধ জয়ের জন্য আমাদের সবাইকেই আরও সচেতনভাবে লড়তে হবে। নিজেদের কিছুটা স্বার্থত্যাগ করে হলেও আমরা কি অন্তত একটি সপ্তাহ এই ‘ঢিলেঢালা’ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সত্যিকারভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলতে পারি না? আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা কি এক সপ্তাহের বাজার করে রাখতে পারি না? যাদের সামর্থ্য নেই, আমাদের দেশের বিত্তশালীরা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান করে হলেও সরকার এবং এই ধনীদের অর্থ সহায়তায় গরিব ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে পারি না? এমনিতেই পত্রপত্রিকায় দেখি হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে দেশে এখনো অনেক মানুষের থাকার জন্য একটুখানি জায়গা নেই, সেখানে অনেকে উন্নত দেশগুলোতে সেকেন্ড হোম করছেন। এসব অর্থ আসে কোত্থেকে? পাচার হয় কীভাবে? দেশে এখনো অনেক বিত্তশালী আছেন যারা শত শত কোটি টাকা অসহায় মানুষদের জন্য সরকারি তহবিলে দিতে পারেন। এই করোনায় আমরা অনেক বিত্তশালীর করুণ মৃত্যু দেখেছি, মৃত্যুর সময় কেউ তাদের ধনসম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেননি।

বিভিন্ন উৎসব আনন্দে আমরা অনেকেই নুতন পোশাক পরে থাকি। বিগত বছরগুলতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। তাই বলে সবসময়ই সব উৎসব আনন্দ একভাবে আসে না। এখন আমাদের মহাসংকট। প্রতিটি পরিবার জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে কান্নার রোল এখনো থামেনি। সান্ত্বনা দেওয়ার মানুষ নেই। থাকলেও কাছে যাওয়ার উপায় নাই। এই অবস্থায় আমরা কতটুকু আনন্দ করতে পারব সেটাও ভেবে দেখতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেখানে শঙ্কা সেখানে আনন্দ কতটা নিরাপদ? সেটা কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো সবকিছুর বেলাতেই প্রযোজ্য। দুই লকডাউনের মাঝখানে ২/৩ দিন দোকানপাট খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এবারও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকা সত্ত্বেও ২৫ তারিখ থেকে দোকান-পাট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এবারও যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে তার নিশ্চয়তা কী? আর তার ফলে যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তার দায়িত্ব-বা কে নেবে?

আসলে বড় উদ্যোক্তারা সবসময়ই লাভবান হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই সবসময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তাদের তত পুঁজি নেই, ব্যাংক ঋণও নেই। আমাদের সবার কথাই ভাবতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি ভাবতে হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সেই স্থিরচিত্র গ্রাহকের কথা যিনি পর্যটকদের ছবি তুলে দিনাতিপাত করেন কিংবা বান্দরবানের তিন্দুর কোনো টং দোকানদারের কথা, যিনি দৈনিক ৫০০ টাকা বিক্রি করে ৫০/১০০টা লাভ করলেই খুশি হন। এদের কথা কারও মুখেই সেভাবে শোনা যায় না। এমনি অপ্রকাশিত অনেক দুঃখী মানুষ আছেন যারা এই দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রণোদনার প্রয়োজন তাদেরও। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রণোদনার অর্থ তাদের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা? এসব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসন এবং বিত্তশালীদের। এই দুর্যোগে জীবন ও জীবিকা দুটোরই সমন্বয় প্রয়োজন।

সম্প্রতি এই কভিড নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া জাতির উদ্দেশে দেওয়া উগান্ডার প্রেসিডেন্টের একটি ভাষণের কিছু অংশ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই। এই ভাষণটিকে দ্বিতীয় কভিডকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষণের এক স্থানে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের সময় আপনি আপনার ব্যবসা খোলা রাখার জন্য তর্ক করেন না। সময় পেলে দোকান বন্ধ করে দেন। (তবে সেই সময়টুকু যদি আপনি পান)। জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালান। আপনি সারাক্ষণ প্রার্থনা করেন যেন যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসাটা আবার চালু করতে পারেন। যদি না আপনার দোকানের সমস্ত মালপত্র লুট হয়ে যায় বা মর্টারের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পৃথিবীতে এমন একটি যুদ্ধ চলছে যেখানে বন্দুক বা গুলির ব্যবহার নেই। এই যুদ্ধের কোনো সীমানা নেই। এই যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি নেই। থামানোর জন্য জাতিসংঘও নেই। এই যুদ্ধের সৈন্যদের কোনো দয়ামায়া নেই। এদের একটাই খায়েশ আর তা হলো মৃত্যু ঘটানো। যা কোনো নিয়মনীতি বা প্রটোকল দ্বারা আবদ্ধ নয়। আর এই সৈনিকরাই হচ্ছে করোনাভাইরাস।

এদের হারাতে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য। এরা আমাদের শারীরিক দূরত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাছেও হার মানে। আপনার হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে এরা একেবারেই অসহায়। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, কভিড-১৯-কে পরাজিত করি।’

মনে রাখতে হবে এই মহা দুর্যোগে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতাই আমাদের বাঁচাতে পারবে। এই করোনা আপনার জন্য হুমকি, আপনার পরিবারের জন্য হুমকি, হুমকি আপনার সন্তানের জন্য। আমাদের সবার পরিবারের সুরক্ষার জন্যই এ মুহূর্তে ঘোষিত যে কোনো আদেশ নির্দেশ বিধিমালা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে তৃতীয় ঢেউও আসবে। গত ১২ এপ্রিল বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখব বলেন, ‘মহামারী এখন ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে।’ এটা নিয়ন্ত্রণের প্রমাণিত উপায় আমাদের জানা আছে, আর তা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে নিরাপদে থাকি, পরিবারকেও নিরাপদে রাখি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ মে)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত
আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল
পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল

পেছনের পৃষ্ঠা

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর

রকমারি নগর পরিক্রমা

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট
এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট

রকমারি নগর পরিক্রমা

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

সংশোধন
সংশোধন

খবর

উজ্জ্বলের আশাবাদ...
উজ্জ্বলের আশাবাদ...

শোবিজ

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন

সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ
সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ

মাঠে ময়দানে

ববির ঘোষণা আসছে
ববির ঘোষণা আসছে

শোবিজ

শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু
শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু

দেশগ্রাম

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা