শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৩, সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

লকডাউনের টক কথা

হানিফ সংকেত
অনলাইন ভার্সন
লকডাউনের টক কথা

কেউ বলেন করোনা এক রহস্যময় ভাইরাস। কেউ বলেন মরণ ভাইরাস। যা সারা পৃথিবীর মানুষকে গৃহবন্দী করেছে। কেড়ে নিয়েছে জীবন, জীবিকা, মানবিকতা। গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছরের ১৮ মার্চ। এরপর ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে ২১ ও ২২ মার্চ দুজন মারা যান। এরপর ওই এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকেই আমাদের দেশে এই ‘লকডাউন’ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলায় এই শব্দটির অর্থ অবরুদ্ধ অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের নিয়ন্ত্রিত চলাচলের জন্য গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা। অল্প কদিনের মধ্যে এই রোগটি ভয়াবহ গতিতে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তখন ইত্যাদির টিম নিয়ে ঈদের অনুষ্ঠান নির্মাণে ব্যস্ত। বিদেশিদের নিয়ে সপ্তাহে দুই দিন করে মহড়া হচ্ছিল গুলশানের বিভিন্ন বিদেশি ক্লাবে। ফেব্রুয়ারি শেষে আমরা মহড়া শুরু করি। মহড়া শুরুর কয়েক দিন পরই সবার মধ্যে করোনা ভীতি লক্ষ্য করি। অনেককেই দূতাবাস থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। মার্চের মাঝামাঝি বিদেশি নাগরিক ৬০ জন থেকে কমে ৩৫ এ এসে দাঁড়াল। বিদেশিদের পর্বের ধারণ তারিখ ছিল ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল। এরই মধ্যে যে কোনো সময় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসার কানাঘুষা চলছিল। সুতরাং সবার উৎসাহে, অনুরোধে ১৮ এপ্রিলের শুটিং বাতিল করে ২১ মার্চ, শনিবার করার সিদ্ধান্ত নেই। উল্লেখ্য, বিদেশিদের সুবিধার্থে এই পর্বটি সবসময় ছুটির দিন দেখেই করতে হয়। স্বল্প সময়ের প্রস্তু‘তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক কষ্টে শুটিং শেষ করি। করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সে সময় এই পর্বটির পর আর কোনো পর্বই শুটিং করা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিন ছুটি থাকার পর ৩১ মে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানা খুলে দেওয়া হয়। যদিও সে সময় ঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন। গত বছরের ধাক্কাটাকে সামলে সবকিছু যখন স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছিল তখনি শুরু হলো দ্বিতীয় ঢেউ অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাক্কা। বেড়ে চলল মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনে পৌঁছালে, ৩৭৩ দিন পর গত ৫ এপ্রিল আবার এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল এবং ২১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার আগে এবং পরে মিডিয়ার টকশোগুলোতে দ্বিমুখী আলোচনা শোনা যায়। লকডাউনের আগে-লকডাউন দিচ্ছে না কেন? লকডাউনের পরে-কেন লকডাউন দিল? পেটে ভাত নেই, তাই পিঠে সয় না। যদিও এ বিষয়টি লকডাউনের আগে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেত। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের এই লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মজার আলাপের বাজার বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নানা নামে অভিহিত হয়েছে এই লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন, নাকি ঢিলেঢালা লকডাউন? দেশভিত্তিক লকডাউন, নাকি এলাকাভিত্তিক লকডাউন? কঠোর লকডাউন নাকি সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ? সর্বাত্মক হলেও এটা কি সবার জন্য প্রযোজ্য, নাকি কারও কারও জন্য প্রযোজ্য? কারণ এই লকডাউনে বিধিনিষেধ ভঙ্গে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে রিস্ক উল্টানোর চিত্র দেখা গেলেও কারও ব্যক্তিগত গাড়ি বা জিপ উল্টাতে দেখা যায়নি। লকডাউনের এসব নামকরণের বিভিন্ন কারণও রয়েছে। অনেকেই এই লকডাউন মানতে নারাজ। তাদের কথা, পেটেই যদি ভাত না থাকে তাহলে করোনাকে ভয় পেয়ে কী হবে? এই করোনায় প্রচুর ছাঁটাই হয়েছে। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন গ্রামে, তাদের কী হবে? আবার কারও মতে জীবন আগে-জীবিকা নয়, বেঁচে থাকলে অনেক জীবিকার সন্ধান করা যাবে। কারও মতে জীবন-জীবিকার সমন্বয় প্রয়োজন। কেউ আবার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কথা বলে উদাহরণ দিচ্ছেন-বিশ্বের অনেক জায়গায় কারফিউ দিচ্ছে, কড়া লকডাউন হচ্ছে, কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অন্য পক্ষ বলেন, তাদের ঘরে সময়মতো খাবার পৌঁছে যাচ্ছে, সুতরাং বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। আর এসব চিন্তা করে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করেছেন। এই প্রণোদনা নিয়েও আবার কেউ কেউ বলছেন ভিন্নকথা। পত্র-পত্রিকায়ও লেখা হচ্ছে, সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা কার কাছে যায়! সত্যিকার অর্থে যাদের সাহায্য দরকার তারা নাকি এই টাকা পাওয়ার উপায়ই খুঁজে পান না। একটি দৈনিকে লিখেছে, ‘সরকার যদি দরিদ্র মানুষের উপকার করতে চায় তবে সরাসরি সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা বিকাশ ও রকেট হিসাবে দিতে পারে।’

লকডাউনে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি তো রয়েছেই, কারণ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু ক্ষতিতো হবেই। বিগত বছরগুলোতে হরতালসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, ঘনঘন লোডশেডিং এসবের কারণে কি আমাদের কম ক্ষতি হয়েছে? বিশেষ করে ‘লাগাতার জাতীয় হরতালে’ এবং ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের উন্নয়ন, দেশের সম্পদ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন শুধু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানই নয়, সরকারি সম্পদ যাকে আমরা জনগণের সম্পদ মনে করি তারও ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থার শতাধিক গবেষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় এক দিনের হরতালে দেশের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাদের হিসাব মতে, বছরে গড়ে ৪৬ দিন হরতাল হয়, সেদিক থেকে হরতালে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং পরিবহন। কিন্তু হরতালের সময় আমরা কেউই এই দৈনিক ক্ষতির হিসাবটা নিয়ে চিন্তা করি না।
শুধু এই ক্ষতিই নয় হরতালে সবচাইতে বড় ক্ষতি যেটা, সেটা হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি। যা অপূরণীয়। বিদেশি বিনিয়োগের আস্থার জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব ক্ষতির তুলনায় এক সপ্তাহের লকডাউনে ক্ষতি খুবই কম। তেমনি দেশে যখন ভূমিকম্প হয় তখন উঁচু ভবন থেকে মানুষ কত দ্রুত নিচে নামতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু করেন। খাবার চিন্তা করেন না, করেন বাঁচার চিন্তা। বানভাসী মানুষ প্রথমে বাঁচতে চান, একটুখানি পানিমুক্ত স্থান চান থাকার জন্য, তারপর খাবার চিন্তা করেন। জীবন বাঁচলে জীবিকার সন্ধান করা যাবেই। এরপরে তো প্রণোদনা কিংবা বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার পথ খোলা রয়েছেই।

লকডাউনের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে আমরা কি সেটা মেনে চলেছি? অনেকে স্বাস্থ্যবিধি কী সেটাই বোঝেন না। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। আমরা কি সেই মাস্কটি যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শপিং মল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট সবজায়গাতেই দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থাকলেও তা সঠিক জায়গায় নেই। হয় নাকের নিচে, নইলে থুঁতনিতে। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক কারও মতে ৬ ঘণ্টা, কেউ বলেন সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মাস্কে ময়লা জমে এমন রং ধারণ করে যে দেখলে মনে হবে এটি এক দিন নয় এক সপ্তাহেরও বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু মাস্ক আছে যেগুল ধুয়ে পরিষ্কার করে কিছু দিন ব্যবহার করা যায়। সেই ধোয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা কেন জানি কোনো নিয়ম-কানুনই মানতে রাজি নই। দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কথা বলছেন অথচ দুজনের মাস্কই থুঁতনিতে ঝুলছে। টিভিতে দেখেছি, এই করোনার ঊর্ধ্বগতিতেও অনেকে কোলের শিশুকে নিয়ে পর্যন্ত শপিং করতে গেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভাবখানা দোকানে করোনার প্রবেশ নিষেধ। অনেকে ‘স্যানিটাইজার’ শব্দটির অর্থও জানেন না। অনেক স্থানে তাপমাত্রা মাপা হয় লোক দেখানো, অনেক সময় ওই যন্ত্রে ব্যাটারিই থাকে না। ভাগ্যিস পরবর্তীতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে- যা সবার বোধগম্য। তারপরও কী আমরা সবাই ঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সব কাজ করছি? ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যখন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে এবং লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়, মানুষ জীবিকার সংকটে পড়েন-তখনই সবার সচেতনতা বাড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ বেশি নয়। করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৩৮তম। সুতরাং আমরা একটু সচেতন হলেই এই ‘ঢিলেঢালা’ উপাধিপ্রাপ্ত লকডাউনের যাতনা সইতে হতো না। এ বছরের শুরুর লকডাউনটি ছিল বেশ হাস্যকর। সীমিত পরিসরে অফিস খোলা, অর্থাৎ অফিসে যেতে পারবেন। কাঁচাবাজারে যেতে পারবেন। গণপরিবহন চলবে না কিন্তু ব্যক্তিগত পরিবহনে যেতে পারবেন। রাস্তায় বেরোনো যাবে না কিন্তু বইমেলায় যেতে পারবেন, ব্যাংকে যেতে পারবেন। এসব নানাবিধ সুযোগের কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া মানুষগুলোর যৌক্তিক অজুহাতের অন্ত নেই। পাশাপাশি চলছে বাদ প্রতিবাদ। অফিসে যেতে হবে অথচ গণপরিবহন বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। গার্মেন্ট খোলা, কলকারখানা খোলা অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। এসব বিষয়ে দুই পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে। তবে এসব যুক্ত তর্কের ঊর্ধ্বে প্রধান বিষয় হচ্ছে, আমরা একটি ভয়ংকর সময় পার করছি। বাঁচা-মরার লড়াই। এ রোগ সামাজিক পারিবারিক বন্ধনকে পর্যন্ত ছিন্ন করে দিয়েছে। হাজার কোটি টাকা থাকলেও চিকিৎসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ নেই। এটা কারও দোষ নয়, রোগের দোষ। আমরা জানি না কতদিন এই রোগের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তবে এই যুদ্ধ জয়ের জন্য আমাদের সবাইকেই আরও সচেতনভাবে লড়তে হবে। নিজেদের কিছুটা স্বার্থত্যাগ করে হলেও আমরা কি অন্তত একটি সপ্তাহ এই ‘ঢিলেঢালা’ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সত্যিকারভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলতে পারি না? আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা কি এক সপ্তাহের বাজার করে রাখতে পারি না? যাদের সামর্থ্য নেই, আমাদের দেশের বিত্তশালীরা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান করে হলেও সরকার এবং এই ধনীদের অর্থ সহায়তায় গরিব ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে পারি না? এমনিতেই পত্রপত্রিকায় দেখি হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে দেশে এখনো অনেক মানুষের থাকার জন্য একটুখানি জায়গা নেই, সেখানে অনেকে উন্নত দেশগুলোতে সেকেন্ড হোম করছেন। এসব অর্থ আসে কোত্থেকে? পাচার হয় কীভাবে? দেশে এখনো অনেক বিত্তশালী আছেন যারা শত শত কোটি টাকা অসহায় মানুষদের জন্য সরকারি তহবিলে দিতে পারেন। এই করোনায় আমরা অনেক বিত্তশালীর করুণ মৃত্যু দেখেছি, মৃত্যুর সময় কেউ তাদের ধনসম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেননি।

বিভিন্ন উৎসব আনন্দে আমরা অনেকেই নুতন পোশাক পরে থাকি। বিগত বছরগুলতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। তাই বলে সবসময়ই সব উৎসব আনন্দ একভাবে আসে না। এখন আমাদের মহাসংকট। প্রতিটি পরিবার জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে কান্নার রোল এখনো থামেনি। সান্ত্বনা দেওয়ার মানুষ নেই। থাকলেও কাছে যাওয়ার উপায় নাই। এই অবস্থায় আমরা কতটুকু আনন্দ করতে পারব সেটাও ভেবে দেখতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেখানে শঙ্কা সেখানে আনন্দ কতটা নিরাপদ? সেটা কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো সবকিছুর বেলাতেই প্রযোজ্য। দুই লকডাউনের মাঝখানে ২/৩ দিন দোকানপাট খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এবারও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকা সত্ত্বেও ২৫ তারিখ থেকে দোকান-পাট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এবারও যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে তার নিশ্চয়তা কী? আর তার ফলে যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তার দায়িত্ব-বা কে নেবে?

আসলে বড় উদ্যোক্তারা সবসময়ই লাভবান হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই সবসময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তাদের তত পুঁজি নেই, ব্যাংক ঋণও নেই। আমাদের সবার কথাই ভাবতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি ভাবতে হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সেই স্থিরচিত্র গ্রাহকের কথা যিনি পর্যটকদের ছবি তুলে দিনাতিপাত করেন কিংবা বান্দরবানের তিন্দুর কোনো টং দোকানদারের কথা, যিনি দৈনিক ৫০০ টাকা বিক্রি করে ৫০/১০০টা লাভ করলেই খুশি হন। এদের কথা কারও মুখেই সেভাবে শোনা যায় না। এমনি অপ্রকাশিত অনেক দুঃখী মানুষ আছেন যারা এই দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রণোদনার প্রয়োজন তাদেরও। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রণোদনার অর্থ তাদের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা? এসব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসন এবং বিত্তশালীদের। এই দুর্যোগে জীবন ও জীবিকা দুটোরই সমন্বয় প্রয়োজন।

সম্প্রতি এই কভিড নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া জাতির উদ্দেশে দেওয়া উগান্ডার প্রেসিডেন্টের একটি ভাষণের কিছু অংশ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই। এই ভাষণটিকে দ্বিতীয় কভিডকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষণের এক স্থানে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের সময় আপনি আপনার ব্যবসা খোলা রাখার জন্য তর্ক করেন না। সময় পেলে দোকান বন্ধ করে দেন। (তবে সেই সময়টুকু যদি আপনি পান)। জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালান। আপনি সারাক্ষণ প্রার্থনা করেন যেন যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসাটা আবার চালু করতে পারেন। যদি না আপনার দোকানের সমস্ত মালপত্র লুট হয়ে যায় বা মর্টারের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পৃথিবীতে এমন একটি যুদ্ধ চলছে যেখানে বন্দুক বা গুলির ব্যবহার নেই। এই যুদ্ধের কোনো সীমানা নেই। এই যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি নেই। থামানোর জন্য জাতিসংঘও নেই। এই যুদ্ধের সৈন্যদের কোনো দয়ামায়া নেই। এদের একটাই খায়েশ আর তা হলো মৃত্যু ঘটানো। যা কোনো নিয়মনীতি বা প্রটোকল দ্বারা আবদ্ধ নয়। আর এই সৈনিকরাই হচ্ছে করোনাভাইরাস।

এদের হারাতে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য। এরা আমাদের শারীরিক দূরত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাছেও হার মানে। আপনার হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে এরা একেবারেই অসহায়। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, কভিড-১৯-কে পরাজিত করি।’

মনে রাখতে হবে এই মহা দুর্যোগে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতাই আমাদের বাঁচাতে পারবে। এই করোনা আপনার জন্য হুমকি, আপনার পরিবারের জন্য হুমকি, হুমকি আপনার সন্তানের জন্য। আমাদের সবার পরিবারের সুরক্ষার জন্যই এ মুহূর্তে ঘোষিত যে কোনো আদেশ নির্দেশ বিধিমালা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে তৃতীয় ঢেউও আসবে। গত ১২ এপ্রিল বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখব বলেন, ‘মহামারী এখন ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে।’ এটা নিয়ন্ত্রণের প্রমাণিত উপায় আমাদের জানা আছে, আর তা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে নিরাপদে থাকি, পরিবারকেও নিরাপদে রাখি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এ কোন তামাশা
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সদিচ্ছার অভাব
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট
বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

৪৩ পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই মিলবে নগদ প্রণোদনা
৪৩ পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই মিলবে নগদ প্রণোদনা

৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো
কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন

২৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশে আরও তিনজনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও তিনজনের করোনা শনাক্ত

২৮ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

বাউবির উপাচার্যের ঢাকাস্থ বিভিন্ন এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন
বাউবির উপাচার্যের ঢাকাস্থ বিভিন্ন এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা
কলাপাড়ায় ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অভিমান করে কিশোরের আত্মহত্যা
অভিমান করে কিশোরের আত্মহত্যা

৩৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!
জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ফ্যাসিষ্ট হাসিনার মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
ফ্যাসিষ্ট হাসিনার মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার নতুন কমিটি গঠন
বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার নতুন কমিটি গঠন

৪৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বাড়ছে
সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বাড়ছে

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নেত্রীর হামলা ও লুটপাটের বিচার চাইলেন ব্যবসায়ী
বিএনপি নেত্রীর হামলা ও লুটপাটের বিচার চাইলেন ব্যবসায়ী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অংশমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন সভা
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অংশমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত
সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাসের রেষারেষিতে জাবি শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু, মৌমিতার ১০ বাস আটক
বাসের রেষারেষিতে জাবি শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু, মৌমিতার ১০ বাস আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জীবননগরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
জীবননগরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লুট হওয়া অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেফতার
লুট হওয়া অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জে শিশুর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে শিশুর লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রামপুরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রামপুরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৩০ বছর পর কাশ্মীরের উলার হ্রদে ফুটলো পদ্ম, উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা
৩০ বছর পর কাশ্মীরের উলার হ্রদে ফুটলো পদ্ম, উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শিবচরে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের খাবার দিতে বিলম্ব, স্বজনদের ক্ষোভ
শিবচরে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের খাবার দিতে বিলম্ব, স্বজনদের ক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেমরায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
ডেমরায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে আবুল বারকাত
কারাগারে আবুল বারকাত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা
টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন আ স ম রব
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন আ স ম রব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো
ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা