শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৩, সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

লকডাউনের টক কথা

হানিফ সংকেত
অনলাইন ভার্সন
লকডাউনের টক কথা

কেউ বলেন করোনা এক রহস্যময় ভাইরাস। কেউ বলেন মরণ ভাইরাস। যা সারা পৃথিবীর মানুষকে গৃহবন্দী করেছে। কেড়ে নিয়েছে জীবন, জীবিকা, মানবিকতা। গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছরের ১৮ মার্চ। এরপর ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে ২১ ও ২২ মার্চ দুজন মারা যান। এরপর ওই এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকেই আমাদের দেশে এই ‘লকডাউন’ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলায় এই শব্দটির অর্থ অবরুদ্ধ অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের নিয়ন্ত্রিত চলাচলের জন্য গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা। অল্প কদিনের মধ্যে এই রোগটি ভয়াবহ গতিতে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তখন ইত্যাদির টিম নিয়ে ঈদের অনুষ্ঠান নির্মাণে ব্যস্ত। বিদেশিদের নিয়ে সপ্তাহে দুই দিন করে মহড়া হচ্ছিল গুলশানের বিভিন্ন বিদেশি ক্লাবে। ফেব্রুয়ারি শেষে আমরা মহড়া শুরু করি। মহড়া শুরুর কয়েক দিন পরই সবার মধ্যে করোনা ভীতি লক্ষ্য করি। অনেককেই দূতাবাস থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। মার্চের মাঝামাঝি বিদেশি নাগরিক ৬০ জন থেকে কমে ৩৫ এ এসে দাঁড়াল। বিদেশিদের পর্বের ধারণ তারিখ ছিল ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল। এরই মধ্যে যে কোনো সময় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসার কানাঘুষা চলছিল। সুতরাং সবার উৎসাহে, অনুরোধে ১৮ এপ্রিলের শুটিং বাতিল করে ২১ মার্চ, শনিবার করার সিদ্ধান্ত নেই। উল্লেখ্য, বিদেশিদের সুবিধার্থে এই পর্বটি সবসময় ছুটির দিন দেখেই করতে হয়। স্বল্প সময়ের প্রস্তু‘তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক কষ্টে শুটিং শেষ করি। করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সে সময় এই পর্বটির পর আর কোনো পর্বই শুটিং করা সম্ভব হয়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিন ছুটি থাকার পর ৩১ মে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানা খুলে দেওয়া হয়। যদিও সে সময় ঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৪ জন। গত বছরের ধাক্কাটাকে সামলে সবকিছু যখন স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছিল তখনি শুরু হলো দ্বিতীয় ঢেউ অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাক্কা। বেড়ে চলল মৃত্যুর মিছিল। এক দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনে পৌঁছালে, ৩৭৩ দিন পর গত ৫ এপ্রিল আবার এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল এবং ২১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার আগে এবং পরে মিডিয়ার টকশোগুলোতে দ্বিমুখী আলোচনা শোনা যায়। লকডাউনের আগে-লকডাউন দিচ্ছে না কেন? লকডাউনের পরে-কেন লকডাউন দিল? পেটে ভাত নেই, তাই পিঠে সয় না। যদিও এ বিষয়টি লকডাউনের আগে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেত। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের এই লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মজার আলাপের বাজার বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নানা নামে অভিহিত হয়েছে এই লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন, নাকি ঢিলেঢালা লকডাউন? দেশভিত্তিক লকডাউন, নাকি এলাকাভিত্তিক লকডাউন? কঠোর লকডাউন নাকি সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ? সর্বাত্মক হলেও এটা কি সবার জন্য প্রযোজ্য, নাকি কারও কারও জন্য প্রযোজ্য? কারণ এই লকডাউনে বিধিনিষেধ ভঙ্গে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে রিস্ক উল্টানোর চিত্র দেখা গেলেও কারও ব্যক্তিগত গাড়ি বা জিপ উল্টাতে দেখা যায়নি। লকডাউনের এসব নামকরণের বিভিন্ন কারণও রয়েছে। অনেকেই এই লকডাউন মানতে নারাজ। তাদের কথা, পেটেই যদি ভাত না থাকে তাহলে করোনাকে ভয় পেয়ে কী হবে? এই করোনায় প্রচুর ছাঁটাই হয়েছে। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন গ্রামে, তাদের কী হবে? আবার কারও মতে জীবন আগে-জীবিকা নয়, বেঁচে থাকলে অনেক জীবিকার সন্ধান করা যাবে। কারও মতে জীবন-জীবিকার সমন্বয় প্রয়োজন। কেউ আবার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কথা বলে উদাহরণ দিচ্ছেন-বিশ্বের অনেক জায়গায় কারফিউ দিচ্ছে, কড়া লকডাউন হচ্ছে, কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অন্য পক্ষ বলেন, তাদের ঘরে সময়মতো খাবার পৌঁছে যাচ্ছে, সুতরাং বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরকার নেই। আর এসব চিন্তা করে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করেছেন। এই প্রণোদনা নিয়েও আবার কেউ কেউ বলছেন ভিন্নকথা। পত্র-পত্রিকায়ও লেখা হচ্ছে, সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা কার কাছে যায়! সত্যিকার অর্থে যাদের সাহায্য দরকার তারা নাকি এই টাকা পাওয়ার উপায়ই খুঁজে পান না। একটি দৈনিকে লিখেছে, ‘সরকার যদি দরিদ্র মানুষের উপকার করতে চায় তবে সরাসরি সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে কিংবা বিকাশ ও রকেট হিসাবে দিতে পারে।’

লকডাউনে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি তো রয়েছেই, কারণ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু ক্ষতিতো হবেই। বিগত বছরগুলোতে হরতালসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, ঘনঘন লোডশেডিং এসবের কারণে কি আমাদের কম ক্ষতি হয়েছে? বিশেষ করে ‘লাগাতার জাতীয় হরতালে’ এবং ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের উন্নয়ন, দেশের সম্পদ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন শুধু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানই নয়, সরকারি সম্পদ যাকে আমরা জনগণের সম্পদ মনে করি তারও ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থার শতাধিক গবেষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় এক দিনের হরতালে দেশের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাদের হিসাব মতে, বছরে গড়ে ৪৬ দিন হরতাল হয়, সেদিক থেকে হরতালে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে পোশাকশিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং পরিবহন। কিন্তু হরতালের সময় আমরা কেউই এই দৈনিক ক্ষতির হিসাবটা নিয়ে চিন্তা করি না।
শুধু এই ক্ষতিই নয় হরতালে সবচাইতে বড় ক্ষতি যেটা, সেটা হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি। যা অপূরণীয়। বিদেশি বিনিয়োগের আস্থার জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব ক্ষতির তুলনায় এক সপ্তাহের লকডাউনে ক্ষতি খুবই কম। তেমনি দেশে যখন ভূমিকম্প হয় তখন উঁচু ভবন থেকে মানুষ কত দ্রুত নিচে নামতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু করেন। খাবার চিন্তা করেন না, করেন বাঁচার চিন্তা। বানভাসী মানুষ প্রথমে বাঁচতে চান, একটুখানি পানিমুক্ত স্থান চান থাকার জন্য, তারপর খাবার চিন্তা করেন। জীবন বাঁচলে জীবিকার সন্ধান করা যাবেই। এরপরে তো প্রণোদনা কিংবা বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার পথ খোলা রয়েছেই।

লকডাউনের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে আমরা কি সেটা মেনে চলেছি? অনেকে স্বাস্থ্যবিধি কী সেটাই বোঝেন না। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। আমরা কি সেই মাস্কটি যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শপিং মল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট সবজায়গাতেই দেখা যায় অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থাকলেও তা সঠিক জায়গায় নেই। হয় নাকের নিচে, নইলে থুঁতনিতে। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক কারও মতে ৬ ঘণ্টা, কেউ বলেন সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মাস্কে ময়লা জমে এমন রং ধারণ করে যে দেখলে মনে হবে এটি এক দিন নয় এক সপ্তাহেরও বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু মাস্ক আছে যেগুল ধুয়ে পরিষ্কার করে কিছু দিন ব্যবহার করা যায়। সেই ধোয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা কেন জানি কোনো নিয়ম-কানুনই মানতে রাজি নই। দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কথা বলছেন অথচ দুজনের মাস্কই থুঁতনিতে ঝুলছে। টিভিতে দেখেছি, এই করোনার ঊর্ধ্বগতিতেও অনেকে কোলের শিশুকে নিয়ে পর্যন্ত শপিং করতে গেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভাবখানা দোকানে করোনার প্রবেশ নিষেধ। অনেকে ‘স্যানিটাইজার’ শব্দটির অর্থও জানেন না। অনেক স্থানে তাপমাত্রা মাপা হয় লোক দেখানো, অনেক সময় ওই যন্ত্রে ব্যাটারিই থাকে না। ভাগ্যিস পরবর্তীতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে- যা সবার বোধগম্য। তারপরও কী আমরা সবাই ঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সব কাজ করছি? ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে যখন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে এবং লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়, মানুষ জীবিকার সংকটে পড়েন-তখনই সবার সচেতনতা বাড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ বেশি নয়। করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ৩৮তম। সুতরাং আমরা একটু সচেতন হলেই এই ‘ঢিলেঢালা’ উপাধিপ্রাপ্ত লকডাউনের যাতনা সইতে হতো না। এ বছরের শুরুর লকডাউনটি ছিল বেশ হাস্যকর। সীমিত পরিসরে অফিস খোলা, অর্থাৎ অফিসে যেতে পারবেন। কাঁচাবাজারে যেতে পারবেন। গণপরিবহন চলবে না কিন্তু ব্যক্তিগত পরিবহনে যেতে পারবেন। রাস্তায় বেরোনো যাবে না কিন্তু বইমেলায় যেতে পারবেন, ব্যাংকে যেতে পারবেন। এসব নানাবিধ সুযোগের কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া মানুষগুলোর যৌক্তিক অজুহাতের অন্ত নেই। পাশাপাশি চলছে বাদ প্রতিবাদ। অফিসে যেতে হবে অথচ গণপরিবহন বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। গার্মেন্ট খোলা, কলকারখানা খোলা অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ-শুরু হলো প্রতিবাদ। এসব বিষয়ে দুই পক্ষেরই যুক্তি রয়েছে। তবে এসব যুক্ত তর্কের ঊর্ধ্বে প্রধান বিষয় হচ্ছে, আমরা একটি ভয়ংকর সময় পার করছি। বাঁচা-মরার লড়াই। এ রোগ সামাজিক পারিবারিক বন্ধনকে পর্যন্ত ছিন্ন করে দিয়েছে। হাজার কোটি টাকা থাকলেও চিকিৎসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ নেই। এটা কারও দোষ নয়, রোগের দোষ। আমরা জানি না কতদিন এই রোগের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। তবে এই যুদ্ধ জয়ের জন্য আমাদের সবাইকেই আরও সচেতনভাবে লড়তে হবে। নিজেদের কিছুটা স্বার্থত্যাগ করে হলেও আমরা কি অন্তত একটি সপ্তাহ এই ‘ঢিলেঢালা’ শব্দটিকে বাদ দিয়ে সত্যিকারভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলতে পারি না? আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা কি এক সপ্তাহের বাজার করে রাখতে পারি না? যাদের সামর্থ্য নেই, আমাদের দেশের বিত্তশালীরা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান করে হলেও সরকার এবং এই ধনীদের অর্থ সহায়তায় গরিব ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে পারি না? এমনিতেই পত্রপত্রিকায় দেখি হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। যে দেশে এখনো অনেক মানুষের থাকার জন্য একটুখানি জায়গা নেই, সেখানে অনেকে উন্নত দেশগুলোতে সেকেন্ড হোম করছেন। এসব অর্থ আসে কোত্থেকে? পাচার হয় কীভাবে? দেশে এখনো অনেক বিত্তশালী আছেন যারা শত শত কোটি টাকা অসহায় মানুষদের জন্য সরকারি তহবিলে দিতে পারেন। এই করোনায় আমরা অনেক বিত্তশালীর করুণ মৃত্যু দেখেছি, মৃত্যুর সময় কেউ তাদের ধনসম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেননি।

বিভিন্ন উৎসব আনন্দে আমরা অনেকেই নুতন পোশাক পরে থাকি। বিগত বছরগুলতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। তাই বলে সবসময়ই সব উৎসব আনন্দ একভাবে আসে না। এখন আমাদের মহাসংকট। প্রতিটি পরিবার জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে কান্নার রোল এখনো থামেনি। সান্ত্বনা দেওয়ার মানুষ নেই। থাকলেও কাছে যাওয়ার উপায় নাই। এই অবস্থায় আমরা কতটুকু আনন্দ করতে পারব সেটাও ভেবে দেখতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেখানে শঙ্কা সেখানে আনন্দ কতটা নিরাপদ? সেটা কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো সবকিছুর বেলাতেই প্রযোজ্য। দুই লকডাউনের মাঝখানে ২/৩ দিন দোকানপাট খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। এবারও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকা সত্ত্বেও ২৫ তারিখ থেকে দোকান-পাট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এবারও যে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে তার নিশ্চয়তা কী? আর তার ফলে যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে তার দায়িত্ব-বা কে নেবে?

আসলে বড় উদ্যোক্তারা সবসময়ই লাভবান হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই সবসময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তাদের তত পুঁজি নেই, ব্যাংক ঋণও নেই। আমাদের সবার কথাই ভাবতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি ভাবতে হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সেই স্থিরচিত্র গ্রাহকের কথা যিনি পর্যটকদের ছবি তুলে দিনাতিপাত করেন কিংবা বান্দরবানের তিন্দুর কোনো টং দোকানদারের কথা, যিনি দৈনিক ৫০০ টাকা বিক্রি করে ৫০/১০০টা লাভ করলেই খুশি হন। এদের কথা কারও মুখেই সেভাবে শোনা যায় না। এমনি অপ্রকাশিত অনেক দুঃখী মানুষ আছেন যারা এই দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রণোদনার প্রয়োজন তাদেরও। লক্ষ্য রাখতে হবে প্রণোদনার অর্থ তাদের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা? এসব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসন এবং বিত্তশালীদের। এই দুর্যোগে জীবন ও জীবিকা দুটোরই সমন্বয় প্রয়োজন।

সম্প্রতি এই কভিড নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া জাতির উদ্দেশে দেওয়া উগান্ডার প্রেসিডেন্টের একটি ভাষণের কিছু অংশ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই। এই ভাষণটিকে দ্বিতীয় কভিডকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষণের এক স্থানে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের সময় আপনি আপনার ব্যবসা খোলা রাখার জন্য তর্ক করেন না। সময় পেলে দোকান বন্ধ করে দেন। (তবে সেই সময়টুকু যদি আপনি পান)। জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালান। আপনি সারাক্ষণ প্রার্থনা করেন যেন যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসাটা আবার চালু করতে পারেন। যদি না আপনার দোকানের সমস্ত মালপত্র লুট হয়ে যায় বা মর্টারের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পৃথিবীতে এমন একটি যুদ্ধ চলছে যেখানে বন্দুক বা গুলির ব্যবহার নেই। এই যুদ্ধের কোনো সীমানা নেই। এই যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি নেই। থামানোর জন্য জাতিসংঘও নেই। এই যুদ্ধের সৈন্যদের কোনো দয়ামায়া নেই। এদের একটাই খায়েশ আর তা হলো মৃত্যু ঘটানো। যা কোনো নিয়মনীতি বা প্রটোকল দ্বারা আবদ্ধ নয়। আর এই সৈনিকরাই হচ্ছে করোনাভাইরাস।

এদের হারাতে প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য। এরা আমাদের শারীরিক দূরত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাছেও হার মানে। আপনার হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে এরা একেবারেই অসহায়। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, কভিড-১৯-কে পরাজিত করি।’

মনে রাখতে হবে এই মহা দুর্যোগে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতাই আমাদের বাঁচাতে পারবে। এই করোনা আপনার জন্য হুমকি, আপনার পরিবারের জন্য হুমকি, হুমকি আপনার সন্তানের জন্য। আমাদের সবার পরিবারের সুরক্ষার জন্যই এ মুহূর্তে ঘোষিত যে কোনো আদেশ নির্দেশ বিধিমালা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে তৃতীয় ঢেউও আসবে। গত ১২ এপ্রিল বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখব বলেন, ‘মহামারী এখন ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে।’ এটা নিয়ন্ত্রণের প্রমাণিত উপায় আমাদের জানা আছে, আর তা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সুতরাং আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে নিরাপদে থাকি, পরিবারকেও নিরাপদে রাখি।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
মব কালচার উচ্ছেদে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন
মব কালচার উচ্ছেদে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান : প্রাপ্তি প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায়
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান : প্রাপ্তি প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায়
নির্বাচন : প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ ও বাস্তবতা
নির্বাচন : প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ ও বাস্তবতা
এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি
এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

২ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা