শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:০৪, রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ আপডেট:

ব্রিটিশের সিক্রেটস অ্যাক্ট ব্রিটেনে নেই

অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ

অপরাধের সংজ্ঞায় দণ্ডবিধি আইনের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জেরম মাইকেল এবং মরটিমার জে অ্যাডলারের মতে, অপরাধের প্রেক্ষাপটেই দণ্ডবিধি আইনের উৎপত্তি। মানুষের যে সমস্ত কৃতকাজ দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ বিবেচিত হয় সেসবই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। সি রে জেফরী এ বলেন, "দণ্ডবিধি আইন না থাকলে কোথায় অপরাধ দেখতে পাওয়া যেত? " ডব্লিউ টপন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধের সংজ্ঞাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন। তার মতে, যাদেরকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই অপরাধী বলা হোক। রিচার্ড আর কর্ণ ও লয়েড ডব্লিউ ম্যাককোরকলও বলেন, কোন ধৃতব্যক্তি বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে শুধুমাত্র তাকেই অপরাধী বলা হয়। এবং কোন ব্যক্তি তার দায়িত্ব বা কর্তব্যকর্ম যথাযথভাবে পালন না করার জন্য যদি রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি লাভ করেন সে ব্যক্তিও অপরাধী বলে গণ্য হবেন।  

মূলত, সংকট থেকেই সামাজিক সমস্যার উদ্ভব। কারণ এটা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে এবং গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর থেকে সমাধান বের করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোন কোন সময়ে আপামর জনসাধারণের অনুভূতি ও চিন্তায় এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সুতরাং গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভবে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে যে কোন সামাজিক সমস্যায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উইলিয়াম আই টমাস এর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত "সংকট-মনোযোগ" সূত্রটি উল্লেখযোগ্য। 

এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। একই সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগ এ দুয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং মনোযোগ হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায়। এরা একই প্রক্রিয়ার দুটি দিক মাত্র। বাহ্যিক পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সে সম্পর্কে সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করাকেই মনযোগ দেয়া বলা যেতে পারে। কিন্তু মনোযোগ এককভাবে চলতে পারে না। একদিকে অভ্যাস আর অপরদিকে সংকটের সঙ্গে এটা একই সূত্রে গ্রথিত। অর্থাৎ আমাদের অভ্যাসগুলো যদি যথাযথ চলতে থাকে, তাহলে সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তেমন অনুভূত হয় না। কিন্তু কোন কারণে অভ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হলে তা অবশ্যই মনোযোগ আকর্ষণ করে। সাধারণত বহিরাগতদের আক্রমণ, যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরাজয়, বন্যা খরা, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতিকে সংকট বলা হয়। আবার ব্যক্তি এবং দলের স্বার্থের সংঘাতের ফলেও বিবিধ সংকট সৃষ্টি  হয়। অবশ্য একটি সংকট এমন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে যে তা দলকে ধ্বংস করে দিতে পারে। অথবা ব্যর্থতা বা অবনতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। 

ওয়াল্টার রেকলেস সংকটকে চিরায়ত অভ্যাসের মধ্যে গোলযোগ রূপে অভিহিত করেছেন। সংকট মোকাবিলায় তিনটি বিষয়ের প্রতি রেকলেস ইঙ্গিত করেছেন। ১) যে কোন সংকট মোকাবিলায় ব্যক্তি বিশেষের শক্তিসামর্থ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ যে যে দল বা সরকারে শক্ত মনের ব্যক্তি রয়েছে, তার পক্ষে যে কোন সংকট মোকাবিলা করা সহজতর হয়। ২) দলের সাংস্কৃতিক স্তর বা অবস্থা এ ধরনের সংকটের সমাধানে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। যদি দলের জ্ঞানের পরিধি সীমিত থাকে অথবা জাগতিক সম্পদ কম থাকে, তাহলে এ ধরনের সংকটের মোকাবিলা করা দুরূহ হয়। ৩) অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় যে সামঞ্জস্যতা অর্জিত হয়েছে নতুন সংকট সমাধানে সে অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অভ্যাসগুলো যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে সেগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং তা নিরাপত্তা দান করে। সেক্ষেত্রে আমরা পরিবর্তন বিমুখ হই। কারণ পরিবর্তন উন্নয়নের ইঙ্গিত বহন করলেও অনেক সময় ধ্বংস বা অবনতিশীল অবস্থারও সৃষ্টি করতে পারে। সমাজতাত্ত্বিক আলোচনায় উইলিয়াম টমাসের সংকট-মনোযোগ তত্ত্বটিও গুরুত্বপূর্ণ।  তিনি সংকট বা সমস্যার তিনটি স্তরে তুলে ধরেছেন। ১) অবগতি ২) নীতিনির্ধারণ এবং ৩)  সংস্কার। 
তার মতে যখন মানুষের একটি বড় অংশ কোন সামাজিক অবস্থাকে কোন বিশেষ সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বিবেচনা করে তখন তা সামাজিক সমস্যায় রূপ পরিগ্রহ করে। অর্থাৎ অবগতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশ পায়। মানুষ যে অবস্থাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে অথবা মনের মধ্যে পোষণ করে সেটাই সমস্যা। সমস্যার শনাক্তকরণে কৃষ্টি-সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ বিশেষ ভুমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশন গুরুতর সমস্যা গুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করেছিলো। তালিকায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও বিচার বা আইন সংস্কারকে গুরুত্ব দেয়নি। মজার ব্যাপার অপরাধকে ওই তালিকার শেষ পর্যায়ে স্থান দেয়া হয়েছিল। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা কর্মসংস্থানকে তো অগ্রাধিকার দেয়াই হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রণীত পরিকল্পনা কমিশনের ক্ষেত্রেও আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হয়নি। ব্রিটিশ আমলের দণ্ডবিধি আইনের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। যেসব দণ্ডবিধি আইন দিয়ে এ দেশের মানুষের অধিকারহরণ করেছে। এসব দণ্ডবিধির বিরুদ্ধে মানুষ সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে।  

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের পক্ষে ১৯২৩ সালের "অফিসিয়াল সিক্রেট এ্যাক্ট" এর প্রয়োগ আমরা এ কারণেই লক্ষ্য করছি। আবার শুনছি ২০১১ সালে প্রণীত বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক! ওই আইন ব্রিটিশদের জন্য নয়। বরং তা ছিল বাংলা তথা ভারতবর্ষে শোষণের জন্য। 
ব্রিটিশ দার্শনিকরাই আধুনিককালে এসে বলেছেন, আইন সংস্কারের কথা। অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের আইন দণ্ডবিধি সংস্কার করেছে। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পর্যন্ত উঠিয়ে দিয়েছে। অথচ ১৯২৩ সালে ওই আইনের দণ্ড বিধি ধরা ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে এদেশের মানুষকে। ওই সিক্রেট আইন ছিল উপনিবেশে শোষণের হাতিয়ার। '৪৭-এ বৃটিশ শাসনের মৃত্যু হলো কিন্তু স্বাধীন দেশে এ আইন কেন মৃত্যুবরণ করলো না? 

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে ১৯২৩ সালের ২ এপ্রিল ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনটি প্রণয়ন করা হয়। লর্ড কার্জন যখন ভাইসরয় ছিলেন।
পাকিস্তান আমল পেরিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৩০ জুন প্রণীত ‘দ্য বাংলাদেশ ল’জ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট –এর ‍দ্বিতীয় তফসিলে দুটি শব্দ পরিবর্তন করে সরকারি গোপনীয়তা সংক্রান্ত ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনটি আত্মীকরণ করে বাংলাদেশ।
আইনটির সংজ্ঞায় সরকারি জায়গা, যোগাযোগের মাধ্যম, নিষিদ্ধ এলাকা ইত্যাদি কতগুলো বিষয় সংজ্ঞায়িত করে বিধি-নিষেধ-শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
আইনে ‘সরকারি জায়গা’ বলতে সরকারের যে কোনো বিভাগ কর্তৃক দখলকৃত জায়গাকে বোঝানো হয়েছে, যা ওই বিভাগের ন্যস্ত করা হোক বা না হোক। 
‘যোগাযোগ বা যোগাযোগের মাধ্যম’ বলতে কোনো স্ক্যাচ, প্ল্যান, মডেল, ডকুমেন্ট, আর্টিকেল, তথ্য বা এসবের আংশিক বা সম্পূর্ণ বর্ণনা বা ফলাফল দ্বারা যোগাযোগ করাকে বোঝানো হয়েছে।
আর ‘নিষিদ্ধ এলাকা’ বলতে সরকার গেজেট জারি করে যে জায়গা বা এলাকাকে নিষিদ্ধ করেছে, সে জায়গা বা এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।  
আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানে যদি কেউ যায় বা যেতে উদ্যত হয় কিংবা ওই স্থানের কোনো নকশা বা স্কেচ তৈরি করে বা কোনো গোপন তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করে তবে সে অপরাধী হবে।
৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানের কোনো ফটো, স্কেচ বা নকশা কেউ প্রকাশ করতে পারবে না।
৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর সংগ্রহ করা যাবে না।
আবার এ আইনের ৩(১)ধারায় গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অথবা স্বার্থের পরিপন্থি কোনো উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ এলাকায় গমন করে, শত্রু পক্ষের উপকারে আসার মতো কোনো স্কেচ. প্ল্যান, মডেল অথবা নোট তৈরি করে কিংবা কোনো অফিসিয়াল গোপন কোড অথবা পাসওয়ার্ড অথবা নোট অথবা অন্য কোনো দলিলপত্র অথবা তথ্য আহরণ করে, রেকর্ড করে, প্রকাশ করে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে পাচার করে, তবে সে এই ধারার অপরাধে অপরাধী হবে।

৩(২) ধারায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থের পরিপন্থিমূলক কাজ এবং ৩(৩)(ক)ধারায় অপরাধটি বিদেশি শক্তির স্বার্থে বা প্রয়োজনে করা হয়েছে বলে ধারণা করা গেলে বা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে তিন অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড। আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিষিদ্ধ এলাকা ও সরকার ঘোষিত কোনো এলাকা সম্পর্কীয় কোনো গোপনীয় অফিসিয়াল কোড বা পাসওয়ার্ড বা কোনো স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, দলিলপত্র অথবা তথ্য কোনো ব্যক্তি আইনসঙ্গত দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রেখেও যদি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন না করে, যদি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করে, তার নিয়ন্ত্রণাধীন তথ্যাদি অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্র ব্যবহার করে, তাতে সেই ব্যক্তি অপরাধী হবে।
৫ (ক) উপধারা অনুযায়ী কোনো প্রতিরক্ষা নির্মাণকাজ, অস্ত্রাগার, নৌ, স্থল বা বিমান বাহিনীর স্থাপনা বা স্টেশন বা খনি, মাইনক্ষেত্র, কারখানা, ডকইয়ার্ড, ক্যাম্প বা বিমান বা গোপনীয় অফিসিয়াল কোড সংক্রান্ত অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা ১৪ বছর কারাদণ্ড। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বছর কারাদণ্ড।


অপরাধের সংজ্ঞায় দণ্ডবিধি আইনের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জেরম মাইকেল এবং মরটিমার জে অ্যাডলারের মতে, অপরাধের প্রেক্ষাপটেই দণ্ডবিধি আইনের উৎপত্তি। মানুষের যে সমস্ত আচরণ বা কৃতকাজ দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ বিবেচিত হয় সেসবই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

সি রে জেফরী এ বলেন, "দণ্ডবিধি আইন না থাকলে কোথায় অপরাধ দেখতে পাওয়া যেত? " ডব্লিউ টপন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধের সংজ্ঞাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন। তার মতে, যাদেরকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই অপরাধী বলা হোক। রিচার্ড আর কর্ণ এবং লয়েড ডব্লিউ ম্যাককোরকলও বলেন, কোন ধৃত ব্যক্তি বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে শুধু মাত্র তাকেই অপরাধী বলা হবে। এবং কোন ব্যক্তি তার দায়িত্ব বা কর্তব্যকর্ম যথাযথভাবে পালন না করার জন্য যদি রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি লাভ করেন সে ব্যক্তিও অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।  
মূলত, সংকট থেকেই সামাজিক সমস্যার উদ্ভব। কারণ এটা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে এবং গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর থেকে সমাধান বের করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোন কোন সময়ে আপামর জনসাধারণের অনুভূতি ও চিন্তায় এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সুতরাং গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভবে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে যে কোন সামাজিক সমস্যায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উইলিয়াম আই টমাস এর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত "সংকট-মনোযোগ" সূত্রটি উল্লেখযোগ্য। 
এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। একই সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগ এ দুয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং মনোযোগ হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায়। এরা একই প্রক্রিয়ার দুটি দিক মাত্র। বাহ্যিক পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সে সম্পর্কে সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং..... 
অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উপর্যুক্ত অভিপ্রায়টি আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যাঁকে "জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত মানব প্রেমিক" বলা হয়, সেই সিজার বেকারিয়ার। "ফেলিসিফিক ক্যালকুলাস" তত্ত্বের উদ্ভাবক 
বেকারিয়ার সমসাময়িক ব্রিটিশ দার্শনিক জেরেমি বেনথাম বিশ্বাস করতেন যে, লাভের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ অধিক দেখতে পেলে মানুষ অপরাধকর্ম হতে নিজেকে সরিয়ে নেয়। তাঁর মতে, কোন অপরাধে জড়িত হবার আগে এতে লাভবান এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা কতটুকু থাকে তা বিচার করতে সক্ষম। কোন অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া মানুষের "মুক্ত -ইচ্ছা" (Free Will) এর ওপর নির্ভরশীল। "মুক্ত-ইচ্ছা" ভিত্তিক সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে আইন বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে। বেনথাম মানুষের মুক্ত-ইচ্ছায় বিশ্বাসী হলেও সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণে আইনগত ব্যবস্থাবলির সুদূরপ্রসারী প্রভাবেও বিশ্বাস করতেন। রিচার্ড কুইনি ও জন ওয়াইল্ডম্যান সনাতন মতবাদের আলোচনার প্রেক্ষাপটে যে কতিপয় মতামত ব্যক্ত করেছেন, তা হলোঃ 
১) স্বভাবজাতভাবে স্বার্থপর হবার কারণে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২) অন্যের ক্ষতিসাধন থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে। রাষ্ট্রের নাগরিকগণ তাদের স্বাধীনতা ও স্বার্থহরণকারীদের শাস্তিদানের অধিকার রাষ্ট্রকে অর্পণ করেছে। ৩) অপরাধের ফলে ব্যক্তিবিশেষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ভিত্তিতে শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। অপরাধীর সংস্কারসাধন শাস্তির উদ্দেশ্য নয়। অপরাধের তুলনায় অধিক শাস্তি ব্যক্তিবিশেষের অধিকার হরণ করে এবং সামাজিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন করে। ৪) মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এক্ষেত্রে ব্যক্তির সামাজিক বা রাষ্ট্রিক পদমর্যাদা যাই হোক না কেন। সুতরাং অপরাধীকে ক্ষমা করার বিষয়টি অবাস্তব। ৫) প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবার জন্য উপরোক্ত ঐক্যমতের ভিত্তিতে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ। ৬) আইনের পরিমাণ যথাসম্ভব কম থাকা বাঞ্ছনীয়। 
কুইনি ও ওয়াইল্ডম্যান সনাতন মতবাদকে প্রধানতঃ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বরূপে বিবেচনা করেছেন। এটি বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থরক্ষার সহায়ক বলেও তারা মনে করেছেন।  
নব্য সনাতন মতবাদ মূলত সনাতন মতবাদের কিছু সংশোধন। সনাতন মতবাদে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করা হয়। নব্য সনাতন মতবাদে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো ১) পূর্বে ধারণা করা হতো যে, শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, শারীরিক অক্ষমতা ইত্যাদি অপরাধ আচরণে প্রবৃত্ত হতে কোনরূপ তারতম্যের সৃষ্টি করে না। কিন্তু এ ধারণার পরিবর্তন হয়। শারীরিক অক্ষমতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, অসুস্থতা ইত্যাদি মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা চরিতার্থ করার পথে তথা অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে বিশেষ অন্তরায় সৃষ্টি করে। ২) স্থান- কাল ভেদে আবহাওয়া বা পরিবেশের তারতম্যের কারণে মানসিকতার বিভিন্নতা ইত্যাদি যে অপরাধ সংঘটনে ভুমিকা রাখতে পারে তা আগে স্বীকার করা হতো না।  

সমগ্র ইউরোপে মানব প্রকৃতি সম্মন্ধে যে মৌল ধারণা প্রচলিত ছিল তাতে নব্য সনাতন মতবাদ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে। মানুষ যে বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন, বিচক্ষণ, মুক্ত ইচ্ছার অধীন এবং কৃতকর্মের জন্য ব্যক্তি নিজেই দায়ী, মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণে শাস্তি ভীতি বিশেষ কার্যকরী - এসব ধারণা তখনকার ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে বিশেষভাবে অবস্থান করছিল। তারা মনে করতেন যে, মানুষ অপরাধ করে যে আনন্দ পায়, তার চেয়ে শাস্তির বিধান অধিক তীব্রতর হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাহলেই মানুষের মুক্ত-ইচ্ছা তাকে অপরাধমূলক আচরণ থেকে সরিয়ে রাখার অবকাশ পাবে। অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাবে মানুষ অপরাধে লিপ্ত হয়, অর্থাৎ মানবীয় আচরণ অতিপ্রাকৃত শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এই মতবাদেরও পরিবর্তন ঘটে। মানুষকে অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিবেচনা করার স্থলে আত্মনিয়ন্ত্রণকারী বলে স্বীকার করা হয়। কারণ, মানুষ স্বকীয় বুদ্ধিমত্তা ও আবেগ দ্বারা পরিচালিত। 

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
সর্বশেষ খবর
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৪২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা