শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:০৪, রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ আপডেট:

ব্রিটিশের সিক্রেটস অ্যাক্ট ব্রিটেনে নেই

অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ

অপরাধের সংজ্ঞায় দণ্ডবিধি আইনের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জেরম মাইকেল এবং মরটিমার জে অ্যাডলারের মতে, অপরাধের প্রেক্ষাপটেই দণ্ডবিধি আইনের উৎপত্তি। মানুষের যে সমস্ত কৃতকাজ দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ বিবেচিত হয় সেসবই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। সি রে জেফরী এ বলেন, "দণ্ডবিধি আইন না থাকলে কোথায় অপরাধ দেখতে পাওয়া যেত? " ডব্লিউ টপন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধের সংজ্ঞাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন। তার মতে, যাদেরকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই অপরাধী বলা হোক। রিচার্ড আর কর্ণ ও লয়েড ডব্লিউ ম্যাককোরকলও বলেন, কোন ধৃতব্যক্তি বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে শুধুমাত্র তাকেই অপরাধী বলা হয়। এবং কোন ব্যক্তি তার দায়িত্ব বা কর্তব্যকর্ম যথাযথভাবে পালন না করার জন্য যদি রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি লাভ করেন সে ব্যক্তিও অপরাধী বলে গণ্য হবেন।  

মূলত, সংকট থেকেই সামাজিক সমস্যার উদ্ভব। কারণ এটা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে এবং গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর থেকে সমাধান বের করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোন কোন সময়ে আপামর জনসাধারণের অনুভূতি ও চিন্তায় এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সুতরাং গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভবে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে যে কোন সামাজিক সমস্যায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উইলিয়াম আই টমাস এর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত "সংকট-মনোযোগ" সূত্রটি উল্লেখযোগ্য। 

এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। একই সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগ এ দুয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং মনোযোগ হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায়। এরা একই প্রক্রিয়ার দুটি দিক মাত্র। বাহ্যিক পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সে সম্পর্কে সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করাকেই মনযোগ দেয়া বলা যেতে পারে। কিন্তু মনোযোগ এককভাবে চলতে পারে না। একদিকে অভ্যাস আর অপরদিকে সংকটের সঙ্গে এটা একই সূত্রে গ্রথিত। অর্থাৎ আমাদের অভ্যাসগুলো যদি যথাযথ চলতে থাকে, তাহলে সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তেমন অনুভূত হয় না। কিন্তু কোন কারণে অভ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হলে তা অবশ্যই মনোযোগ আকর্ষণ করে। সাধারণত বহিরাগতদের আক্রমণ, যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরাজয়, বন্যা খরা, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতিকে সংকট বলা হয়। আবার ব্যক্তি এবং দলের স্বার্থের সংঘাতের ফলেও বিবিধ সংকট সৃষ্টি  হয়। অবশ্য একটি সংকট এমন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে যে তা দলকে ধ্বংস করে দিতে পারে। অথবা ব্যর্থতা বা অবনতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। 

ওয়াল্টার রেকলেস সংকটকে চিরায়ত অভ্যাসের মধ্যে গোলযোগ রূপে অভিহিত করেছেন। সংকট মোকাবিলায় তিনটি বিষয়ের প্রতি রেকলেস ইঙ্গিত করেছেন। ১) যে কোন সংকট মোকাবিলায় ব্যক্তি বিশেষের শক্তিসামর্থ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ যে যে দল বা সরকারে শক্ত মনের ব্যক্তি রয়েছে, তার পক্ষে যে কোন সংকট মোকাবিলা করা সহজতর হয়। ২) দলের সাংস্কৃতিক স্তর বা অবস্থা এ ধরনের সংকটের সমাধানে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। যদি দলের জ্ঞানের পরিধি সীমিত থাকে অথবা জাগতিক সম্পদ কম থাকে, তাহলে এ ধরনের সংকটের মোকাবিলা করা দুরূহ হয়। ৩) অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় যে সামঞ্জস্যতা অর্জিত হয়েছে নতুন সংকট সমাধানে সে অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অভ্যাসগুলো যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে সেগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং তা নিরাপত্তা দান করে। সেক্ষেত্রে আমরা পরিবর্তন বিমুখ হই। কারণ পরিবর্তন উন্নয়নের ইঙ্গিত বহন করলেও অনেক সময় ধ্বংস বা অবনতিশীল অবস্থারও সৃষ্টি করতে পারে। সমাজতাত্ত্বিক আলোচনায় উইলিয়াম টমাসের সংকট-মনোযোগ তত্ত্বটিও গুরুত্বপূর্ণ।  তিনি সংকট বা সমস্যার তিনটি স্তরে তুলে ধরেছেন। ১) অবগতি ২) নীতিনির্ধারণ এবং ৩)  সংস্কার। 
তার মতে যখন মানুষের একটি বড় অংশ কোন সামাজিক অবস্থাকে কোন বিশেষ সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বিবেচনা করে তখন তা সামাজিক সমস্যায় রূপ পরিগ্রহ করে। অর্থাৎ অবগতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশ পায়। মানুষ যে অবস্থাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে অথবা মনের মধ্যে পোষণ করে সেটাই সমস্যা। সমস্যার শনাক্তকরণে কৃষ্টি-সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ বিশেষ ভুমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশন গুরুতর সমস্যা গুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করেছিলো। তালিকায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও বিচার বা আইন সংস্কারকে গুরুত্ব দেয়নি। মজার ব্যাপার অপরাধকে ওই তালিকার শেষ পর্যায়ে স্থান দেয়া হয়েছিল। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা কর্মসংস্থানকে তো অগ্রাধিকার দেয়াই হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রণীত পরিকল্পনা কমিশনের ক্ষেত্রেও আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হয়নি। ব্রিটিশ আমলের দণ্ডবিধি আইনের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। যেসব দণ্ডবিধি আইন দিয়ে এ দেশের মানুষের অধিকারহরণ করেছে। এসব দণ্ডবিধির বিরুদ্ধে মানুষ সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে।  

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের পক্ষে ১৯২৩ সালের "অফিসিয়াল সিক্রেট এ্যাক্ট" এর প্রয়োগ আমরা এ কারণেই লক্ষ্য করছি। আবার শুনছি ২০১১ সালে প্রণীত বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক! ওই আইন ব্রিটিশদের জন্য নয়। বরং তা ছিল বাংলা তথা ভারতবর্ষে শোষণের জন্য। 
ব্রিটিশ দার্শনিকরাই আধুনিককালে এসে বলেছেন, আইন সংস্কারের কথা। অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের আইন দণ্ডবিধি সংস্কার করেছে। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পর্যন্ত উঠিয়ে দিয়েছে। অথচ ১৯২৩ সালে ওই আইনের দণ্ড বিধি ধরা ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে এদেশের মানুষকে। ওই সিক্রেট আইন ছিল উপনিবেশে শোষণের হাতিয়ার। '৪৭-এ বৃটিশ শাসনের মৃত্যু হলো কিন্তু স্বাধীন দেশে এ আইন কেন মৃত্যুবরণ করলো না? 

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে ১৯২৩ সালের ২ এপ্রিল ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনটি প্রণয়ন করা হয়। লর্ড কার্জন যখন ভাইসরয় ছিলেন।
পাকিস্তান আমল পেরিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৩০ জুন প্রণীত ‘দ্য বাংলাদেশ ল’জ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট –এর ‍দ্বিতীয় তফসিলে দুটি শব্দ পরিবর্তন করে সরকারি গোপনীয়তা সংক্রান্ত ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনটি আত্মীকরণ করে বাংলাদেশ।
আইনটির সংজ্ঞায় সরকারি জায়গা, যোগাযোগের মাধ্যম, নিষিদ্ধ এলাকা ইত্যাদি কতগুলো বিষয় সংজ্ঞায়িত করে বিধি-নিষেধ-শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
আইনে ‘সরকারি জায়গা’ বলতে সরকারের যে কোনো বিভাগ কর্তৃক দখলকৃত জায়গাকে বোঝানো হয়েছে, যা ওই বিভাগের ন্যস্ত করা হোক বা না হোক। 
‘যোগাযোগ বা যোগাযোগের মাধ্যম’ বলতে কোনো স্ক্যাচ, প্ল্যান, মডেল, ডকুমেন্ট, আর্টিকেল, তথ্য বা এসবের আংশিক বা সম্পূর্ণ বর্ণনা বা ফলাফল দ্বারা যোগাযোগ করাকে বোঝানো হয়েছে।
আর ‘নিষিদ্ধ এলাকা’ বলতে সরকার গেজেট জারি করে যে জায়গা বা এলাকাকে নিষিদ্ধ করেছে, সে জায়গা বা এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।  
আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানে যদি কেউ যায় বা যেতে উদ্যত হয় কিংবা ওই স্থানের কোনো নকশা বা স্কেচ তৈরি করে বা কোনো গোপন তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করে তবে সে অপরাধী হবে।
৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানের কোনো ফটো, স্কেচ বা নকশা কেউ প্রকাশ করতে পারবে না।
৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর সংগ্রহ করা যাবে না।
আবার এ আইনের ৩(১)ধারায় গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অথবা স্বার্থের পরিপন্থি কোনো উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ এলাকায় গমন করে, শত্রু পক্ষের উপকারে আসার মতো কোনো স্কেচ. প্ল্যান, মডেল অথবা নোট তৈরি করে কিংবা কোনো অফিসিয়াল গোপন কোড অথবা পাসওয়ার্ড অথবা নোট অথবা অন্য কোনো দলিলপত্র অথবা তথ্য আহরণ করে, রেকর্ড করে, প্রকাশ করে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে পাচার করে, তবে সে এই ধারার অপরাধে অপরাধী হবে।

৩(২) ধারায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থের পরিপন্থিমূলক কাজ এবং ৩(৩)(ক)ধারায় অপরাধটি বিদেশি শক্তির স্বার্থে বা প্রয়োজনে করা হয়েছে বলে ধারণা করা গেলে বা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে তিন অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড। আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিষিদ্ধ এলাকা ও সরকার ঘোষিত কোনো এলাকা সম্পর্কীয় কোনো গোপনীয় অফিসিয়াল কোড বা পাসওয়ার্ড বা কোনো স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, দলিলপত্র অথবা তথ্য কোনো ব্যক্তি আইনসঙ্গত দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রেখেও যদি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন না করে, যদি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করে, তার নিয়ন্ত্রণাধীন তথ্যাদি অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্র ব্যবহার করে, তাতে সেই ব্যক্তি অপরাধী হবে।
৫ (ক) উপধারা অনুযায়ী কোনো প্রতিরক্ষা নির্মাণকাজ, অস্ত্রাগার, নৌ, স্থল বা বিমান বাহিনীর স্থাপনা বা স্টেশন বা খনি, মাইনক্ষেত্র, কারখানা, ডকইয়ার্ড, ক্যাম্প বা বিমান বা গোপনীয় অফিসিয়াল কোড সংক্রান্ত অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা ১৪ বছর কারাদণ্ড। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বছর কারাদণ্ড।


অপরাধের সংজ্ঞায় দণ্ডবিধি আইনের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জেরম মাইকেল এবং মরটিমার জে অ্যাডলারের মতে, অপরাধের প্রেক্ষাপটেই দণ্ডবিধি আইনের উৎপত্তি। মানুষের যে সমস্ত আচরণ বা কৃতকাজ দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ বিবেচিত হয় সেসবই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

সি রে জেফরী এ বলেন, "দণ্ডবিধি আইন না থাকলে কোথায় অপরাধ দেখতে পাওয়া যেত? " ডব্লিউ টপন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধের সংজ্ঞাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন। তার মতে, যাদেরকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই অপরাধী বলা হোক। রিচার্ড আর কর্ণ এবং লয়েড ডব্লিউ ম্যাককোরকলও বলেন, কোন ধৃত ব্যক্তি বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে শুধু মাত্র তাকেই অপরাধী বলা হবে। এবং কোন ব্যক্তি তার দায়িত্ব বা কর্তব্যকর্ম যথাযথভাবে পালন না করার জন্য যদি রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি লাভ করেন সে ব্যক্তিও অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।  
মূলত, সংকট থেকেই সামাজিক সমস্যার উদ্ভব। কারণ এটা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে এবং গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর থেকে সমাধান বের করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোন কোন সময়ে আপামর জনসাধারণের অনুভূতি ও চিন্তায় এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সুতরাং গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভবে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে যে কোন সামাজিক সমস্যায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উইলিয়াম আই টমাস এর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত "সংকট-মনোযোগ" সূত্রটি উল্লেখযোগ্য। 
এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। একই সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগ এ দুয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং মনোযোগ হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায়। এরা একই প্রক্রিয়ার দুটি দিক মাত্র। বাহ্যিক পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সে সম্পর্কে সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং..... 
অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উপর্যুক্ত অভিপ্রায়টি আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যাঁকে "জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত মানব প্রেমিক" বলা হয়, সেই সিজার বেকারিয়ার। "ফেলিসিফিক ক্যালকুলাস" তত্ত্বের উদ্ভাবক 
বেকারিয়ার সমসাময়িক ব্রিটিশ দার্শনিক জেরেমি বেনথাম বিশ্বাস করতেন যে, লাভের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ অধিক দেখতে পেলে মানুষ অপরাধকর্ম হতে নিজেকে সরিয়ে নেয়। তাঁর মতে, কোন অপরাধে জড়িত হবার আগে এতে লাভবান এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা কতটুকু থাকে তা বিচার করতে সক্ষম। কোন অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া মানুষের "মুক্ত -ইচ্ছা" (Free Will) এর ওপর নির্ভরশীল। "মুক্ত-ইচ্ছা" ভিত্তিক সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে আইন বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে। বেনথাম মানুষের মুক্ত-ইচ্ছায় বিশ্বাসী হলেও সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণে আইনগত ব্যবস্থাবলির সুদূরপ্রসারী প্রভাবেও বিশ্বাস করতেন। রিচার্ড কুইনি ও জন ওয়াইল্ডম্যান সনাতন মতবাদের আলোচনার প্রেক্ষাপটে যে কতিপয় মতামত ব্যক্ত করেছেন, তা হলোঃ 
১) স্বভাবজাতভাবে স্বার্থপর হবার কারণে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২) অন্যের ক্ষতিসাধন থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে। রাষ্ট্রের নাগরিকগণ তাদের স্বাধীনতা ও স্বার্থহরণকারীদের শাস্তিদানের অধিকার রাষ্ট্রকে অর্পণ করেছে। ৩) অপরাধের ফলে ব্যক্তিবিশেষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ভিত্তিতে শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। অপরাধীর সংস্কারসাধন শাস্তির উদ্দেশ্য নয়। অপরাধের তুলনায় অধিক শাস্তি ব্যক্তিবিশেষের অধিকার হরণ করে এবং সামাজিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন করে। ৪) মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এক্ষেত্রে ব্যক্তির সামাজিক বা রাষ্ট্রিক পদমর্যাদা যাই হোক না কেন। সুতরাং অপরাধীকে ক্ষমা করার বিষয়টি অবাস্তব। ৫) প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবার জন্য উপরোক্ত ঐক্যমতের ভিত্তিতে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ। ৬) আইনের পরিমাণ যথাসম্ভব কম থাকা বাঞ্ছনীয়। 
কুইনি ও ওয়াইল্ডম্যান সনাতন মতবাদকে প্রধানতঃ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বরূপে বিবেচনা করেছেন। এটি বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থরক্ষার সহায়ক বলেও তারা মনে করেছেন।  
নব্য সনাতন মতবাদ মূলত সনাতন মতবাদের কিছু সংশোধন। সনাতন মতবাদে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করা হয়। নব্য সনাতন মতবাদে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো ১) পূর্বে ধারণা করা হতো যে, শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, শারীরিক অক্ষমতা ইত্যাদি অপরাধ আচরণে প্রবৃত্ত হতে কোনরূপ তারতম্যের সৃষ্টি করে না। কিন্তু এ ধারণার পরিবর্তন হয়। শারীরিক অক্ষমতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, অসুস্থতা ইত্যাদি মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা চরিতার্থ করার পথে তথা অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে বিশেষ অন্তরায় সৃষ্টি করে। ২) স্থান- কাল ভেদে আবহাওয়া বা পরিবেশের তারতম্যের কারণে মানসিকতার বিভিন্নতা ইত্যাদি যে অপরাধ সংঘটনে ভুমিকা রাখতে পারে তা আগে স্বীকার করা হতো না।  

সমগ্র ইউরোপে মানব প্রকৃতি সম্মন্ধে যে মৌল ধারণা প্রচলিত ছিল তাতে নব্য সনাতন মতবাদ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে। মানুষ যে বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন, বিচক্ষণ, মুক্ত ইচ্ছার অধীন এবং কৃতকর্মের জন্য ব্যক্তি নিজেই দায়ী, মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণে শাস্তি ভীতি বিশেষ কার্যকরী - এসব ধারণা তখনকার ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে বিশেষভাবে অবস্থান করছিল। তারা মনে করতেন যে, মানুষ অপরাধ করে যে আনন্দ পায়, তার চেয়ে শাস্তির বিধান অধিক তীব্রতর হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাহলেই মানুষের মুক্ত-ইচ্ছা তাকে অপরাধমূলক আচরণ থেকে সরিয়ে রাখার অবকাশ পাবে। অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাবে মানুষ অপরাধে লিপ্ত হয়, অর্থাৎ মানবীয় আচরণ অতিপ্রাকৃত শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এই মতবাদেরও পরিবর্তন ঘটে। মানুষকে অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিবেচনা করার স্থলে আত্মনিয়ন্ত্রণকারী বলে স্বীকার করা হয়। কারণ, মানুষ স্বকীয় বুদ্ধিমত্তা ও আবেগ দ্বারা পরিচালিত। 

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
সর্বশেষ খবর
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

উন্নয়ন বাজেট কমছে ৩০ হাজার কোটি টাকা
উন্নয়ন বাজেট কমছে ৩০ হাজার কোটি টাকা

৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, স্বামী নিখোঁজ
স্ত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, স্বামী নিখোঁজ

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমবাপ্পের জোড়া গোলে ইউক্রেনকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ফ্রান্স
এমবাপ্পের জোড়া গোলে ইউক্রেনকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ফ্রান্স

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় পাকিস্তানকে ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় পাকিস্তানকে ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ

৩৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রতিদিন তিনজনের বেশি অপহরণ
প্রতিদিন তিনজনের বেশি অপহরণ

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বেড়াতে এসে যুবকের আত্মহত্যা
কক্সবাজারে বেড়াতে এসে যুবকের আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে গানের সমাবেশ
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে গানের সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রতিশোধ গ্রহণের শক্তি থাকা সত্ত্বেও ক্ষমা করা
প্রতিশোধ গ্রহণের শক্তি থাকা সত্ত্বেও ক্ষমা করা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মিয়ানমারে খাদ্য ও নির্মাণসামগ্রী পাচারকালে ২২ জন আটক
মিয়ানমারে খাদ্য ও নির্মাণসামগ্রী পাচারকালে ২২ জন আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেঘনায় ট্রলার ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ
মেঘনায় ট্রলার ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?
রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস

নগর জীবন

ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা

নগর জীবন

সালাউদ্দিন টুকুর ছাতা উপহার
সালাউদ্দিন টুকুর ছাতা উপহার

দেশগ্রাম

নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক

নগর জীবন

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন