শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:০৪, রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ আপডেট:

ব্রিটিশের সিক্রেটস অ্যাক্ট ব্রিটেনে নেই

অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ

অপরাধের সংজ্ঞায় দণ্ডবিধি আইনের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জেরম মাইকেল এবং মরটিমার জে অ্যাডলারের মতে, অপরাধের প্রেক্ষাপটেই দণ্ডবিধি আইনের উৎপত্তি। মানুষের যে সমস্ত কৃতকাজ দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ বিবেচিত হয় সেসবই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। সি রে জেফরী এ বলেন, "দণ্ডবিধি আইন না থাকলে কোথায় অপরাধ দেখতে পাওয়া যেত? " ডব্লিউ টপন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধের সংজ্ঞাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন। তার মতে, যাদেরকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই অপরাধী বলা হোক। রিচার্ড আর কর্ণ ও লয়েড ডব্লিউ ম্যাককোরকলও বলেন, কোন ধৃতব্যক্তি বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে শুধুমাত্র তাকেই অপরাধী বলা হয়। এবং কোন ব্যক্তি তার দায়িত্ব বা কর্তব্যকর্ম যথাযথভাবে পালন না করার জন্য যদি রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি লাভ করেন সে ব্যক্তিও অপরাধী বলে গণ্য হবেন।  

মূলত, সংকট থেকেই সামাজিক সমস্যার উদ্ভব। কারণ এটা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে এবং গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর থেকে সমাধান বের করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোন কোন সময়ে আপামর জনসাধারণের অনুভূতি ও চিন্তায় এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সুতরাং গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভবে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে যে কোন সামাজিক সমস্যায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উইলিয়াম আই টমাস এর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত "সংকট-মনোযোগ" সূত্রটি উল্লেখযোগ্য। 

এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। একই সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগ এ দুয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং মনোযোগ হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায়। এরা একই প্রক্রিয়ার দুটি দিক মাত্র। বাহ্যিক পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সে সম্পর্কে সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করাকেই মনযোগ দেয়া বলা যেতে পারে। কিন্তু মনোযোগ এককভাবে চলতে পারে না। একদিকে অভ্যাস আর অপরদিকে সংকটের সঙ্গে এটা একই সূত্রে গ্রথিত। অর্থাৎ আমাদের অভ্যাসগুলো যদি যথাযথ চলতে থাকে, তাহলে সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তেমন অনুভূত হয় না। কিন্তু কোন কারণে অভ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হলে তা অবশ্যই মনোযোগ আকর্ষণ করে। সাধারণত বহিরাগতদের আক্রমণ, যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরাজয়, বন্যা খরা, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতিকে সংকট বলা হয়। আবার ব্যক্তি এবং দলের স্বার্থের সংঘাতের ফলেও বিবিধ সংকট সৃষ্টি  হয়। অবশ্য একটি সংকট এমন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে যে তা দলকে ধ্বংস করে দিতে পারে। অথবা ব্যর্থতা বা অবনতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। 

ওয়াল্টার রেকলেস সংকটকে চিরায়ত অভ্যাসের মধ্যে গোলযোগ রূপে অভিহিত করেছেন। সংকট মোকাবিলায় তিনটি বিষয়ের প্রতি রেকলেস ইঙ্গিত করেছেন। ১) যে কোন সংকট মোকাবিলায় ব্যক্তি বিশেষের শক্তিসামর্থ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ যে যে দল বা সরকারে শক্ত মনের ব্যক্তি রয়েছে, তার পক্ষে যে কোন সংকট মোকাবিলা করা সহজতর হয়। ২) দলের সাংস্কৃতিক স্তর বা অবস্থা এ ধরনের সংকটের সমাধানে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। যদি দলের জ্ঞানের পরিধি সীমিত থাকে অথবা জাগতিক সম্পদ কম থাকে, তাহলে এ ধরনের সংকটের মোকাবিলা করা দুরূহ হয়। ৩) অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় যে সামঞ্জস্যতা অর্জিত হয়েছে নতুন সংকট সমাধানে সে অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অভ্যাসগুলো যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে সেগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং তা নিরাপত্তা দান করে। সেক্ষেত্রে আমরা পরিবর্তন বিমুখ হই। কারণ পরিবর্তন উন্নয়নের ইঙ্গিত বহন করলেও অনেক সময় ধ্বংস বা অবনতিশীল অবস্থারও সৃষ্টি করতে পারে। সমাজতাত্ত্বিক আলোচনায় উইলিয়াম টমাসের সংকট-মনোযোগ তত্ত্বটিও গুরুত্বপূর্ণ।  তিনি সংকট বা সমস্যার তিনটি স্তরে তুলে ধরেছেন। ১) অবগতি ২) নীতিনির্ধারণ এবং ৩)  সংস্কার। 
তার মতে যখন মানুষের একটি বড় অংশ কোন সামাজিক অবস্থাকে কোন বিশেষ সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বিবেচনা করে তখন তা সামাজিক সমস্যায় রূপ পরিগ্রহ করে। অর্থাৎ অবগতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশ পায়। মানুষ যে অবস্থাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে অথবা মনের মধ্যে পোষণ করে সেটাই সমস্যা। সমস্যার শনাক্তকরণে কৃষ্টি-সংস্কৃতিগত মূল্যবোধ বিশেষ ভুমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশন গুরুতর সমস্যা গুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করেছিলো। তালিকায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও বিচার বা আইন সংস্কারকে গুরুত্ব দেয়নি। মজার ব্যাপার অপরাধকে ওই তালিকার শেষ পর্যায়ে স্থান দেয়া হয়েছিল। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা কর্মসংস্থানকে তো অগ্রাধিকার দেয়াই হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রণীত পরিকল্পনা কমিশনের ক্ষেত্রেও আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হয়নি। ব্রিটিশ আমলের দণ্ডবিধি আইনের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। যেসব দণ্ডবিধি আইন দিয়ে এ দেশের মানুষের অধিকারহরণ করেছে। এসব দণ্ডবিধির বিরুদ্ধে মানুষ সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে।  

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের পক্ষে ১৯২৩ সালের "অফিসিয়াল সিক্রেট এ্যাক্ট" এর প্রয়োগ আমরা এ কারণেই লক্ষ্য করছি। আবার শুনছি ২০১১ সালে প্রণীত বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক! ওই আইন ব্রিটিশদের জন্য নয়। বরং তা ছিল বাংলা তথা ভারতবর্ষে শোষণের জন্য। 
ব্রিটিশ দার্শনিকরাই আধুনিককালে এসে বলেছেন, আইন সংস্কারের কথা। অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের আইন দণ্ডবিধি সংস্কার করেছে। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পর্যন্ত উঠিয়ে দিয়েছে। অথচ ১৯২৩ সালে ওই আইনের দণ্ড বিধি ধরা ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে এদেশের মানুষকে। ওই সিক্রেট আইন ছিল উপনিবেশে শোষণের হাতিয়ার। '৪৭-এ বৃটিশ শাসনের মৃত্যু হলো কিন্তু স্বাধীন দেশে এ আইন কেন মৃত্যুবরণ করলো না? 

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে ১৯২৩ সালের ২ এপ্রিল ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনটি প্রণয়ন করা হয়। লর্ড কার্জন যখন ভাইসরয় ছিলেন।
পাকিস্তান আমল পেরিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৩০ জুন প্রণীত ‘দ্য বাংলাদেশ ল’জ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট –এর ‍দ্বিতীয় তফসিলে দুটি শব্দ পরিবর্তন করে সরকারি গোপনীয়তা সংক্রান্ত ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ আইনটি আত্মীকরণ করে বাংলাদেশ।
আইনটির সংজ্ঞায় সরকারি জায়গা, যোগাযোগের মাধ্যম, নিষিদ্ধ এলাকা ইত্যাদি কতগুলো বিষয় সংজ্ঞায়িত করে বিধি-নিষেধ-শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
আইনে ‘সরকারি জায়গা’ বলতে সরকারের যে কোনো বিভাগ কর্তৃক দখলকৃত জায়গাকে বোঝানো হয়েছে, যা ওই বিভাগের ন্যস্ত করা হোক বা না হোক। 
‘যোগাযোগ বা যোগাযোগের মাধ্যম’ বলতে কোনো স্ক্যাচ, প্ল্যান, মডেল, ডকুমেন্ট, আর্টিকেল, তথ্য বা এসবের আংশিক বা সম্পূর্ণ বর্ণনা বা ফলাফল দ্বারা যোগাযোগ করাকে বোঝানো হয়েছে।
আর ‘নিষিদ্ধ এলাকা’ বলতে সরকার গেজেট জারি করে যে জায়গা বা এলাকাকে নিষিদ্ধ করেছে, সে জায়গা বা এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।  
আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানে যদি কেউ যায় বা যেতে উদ্যত হয় কিংবা ওই স্থানের কোনো নকশা বা স্কেচ তৈরি করে বা কোনো গোপন তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করে তবে সে অপরাধী হবে।
৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানের কোনো ফটো, স্কেচ বা নকশা কেউ প্রকাশ করতে পারবে না।
৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর সংগ্রহ করা যাবে না।
আবার এ আইনের ৩(১)ধারায় গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অথবা স্বার্থের পরিপন্থি কোনো উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ এলাকায় গমন করে, শত্রু পক্ষের উপকারে আসার মতো কোনো স্কেচ. প্ল্যান, মডেল অথবা নোট তৈরি করে কিংবা কোনো অফিসিয়াল গোপন কোড অথবা পাসওয়ার্ড অথবা নোট অথবা অন্য কোনো দলিলপত্র অথবা তথ্য আহরণ করে, রেকর্ড করে, প্রকাশ করে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে পাচার করে, তবে সে এই ধারার অপরাধে অপরাধী হবে।

৩(২) ধারায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থের পরিপন্থিমূলক কাজ এবং ৩(৩)(ক)ধারায় অপরাধটি বিদেশি শক্তির স্বার্থে বা প্রয়োজনে করা হয়েছে বলে ধারণা করা গেলে বা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে তিন অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড। আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিষিদ্ধ এলাকা ও সরকার ঘোষিত কোনো এলাকা সম্পর্কীয় কোনো গোপনীয় অফিসিয়াল কোড বা পাসওয়ার্ড বা কোনো স্কেচ, প্ল্যান, মডেল, আর্টিকেল, নোট, দলিলপত্র অথবা তথ্য কোনো ব্যক্তি আইনসঙ্গত দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রেখেও যদি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন না করে, যদি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করে, তার নিয়ন্ত্রণাধীন তথ্যাদি অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্র ব্যবহার করে, তাতে সেই ব্যক্তি অপরাধী হবে।
৫ (ক) উপধারা অনুযায়ী কোনো প্রতিরক্ষা নির্মাণকাজ, অস্ত্রাগার, নৌ, স্থল বা বিমান বাহিনীর স্থাপনা বা স্টেশন বা খনি, মাইনক্ষেত্র, কারখানা, ডকইয়ার্ড, ক্যাম্প বা বিমান বা গোপনীয় অফিসিয়াল কোড সংক্রান্ত অপরাধে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা ১৪ বছর কারাদণ্ড। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বছর কারাদণ্ড।


অপরাধের সংজ্ঞায় দণ্ডবিধি আইনের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জেরম মাইকেল এবং মরটিমার জে অ্যাডলারের মতে, অপরাধের প্রেক্ষাপটেই দণ্ডবিধি আইনের উৎপত্তি। মানুষের যে সমস্ত আচরণ বা কৃতকাজ দণ্ডবিধি আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ বিবেচিত হয় সেসবই অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

সি রে জেফরী এ বলেন, "দণ্ডবিধি আইন না থাকলে কোথায় অপরাধ দেখতে পাওয়া যেত? " ডব্লিউ টপন আইনের দৃষ্টিতে অপরাধের সংজ্ঞাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন। তার মতে, যাদেরকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে তাদেরকেই অপরাধী বলা হোক। রিচার্ড আর কর্ণ এবং লয়েড ডব্লিউ ম্যাককোরকলও বলেন, কোন ধৃত ব্যক্তি বিচারে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে শুধু মাত্র তাকেই অপরাধী বলা হবে। এবং কোন ব্যক্তি তার দায়িত্ব বা কর্তব্যকর্ম যথাযথভাবে পালন না করার জন্য যদি রাষ্ট্র কর্তৃক শাস্তি লাভ করেন সে ব্যক্তিও অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।  
মূলত, সংকট থেকেই সামাজিক সমস্যার উদ্ভব। কারণ এটা সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আঘাত করে এবং গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর থেকে সমাধান বের করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কোন কোন সময়ে আপামর জনসাধারণের অনুভূতি ও চিন্তায় এ ধরনের গুরুতর পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সুতরাং গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভবে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে যে কোন সামাজিক সমস্যায় মৌলিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উইলিয়াম আই টমাস এর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত "সংকট-মনোযোগ" সূত্রটি উল্লেখযোগ্য। 
এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। একই সঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন এবং সামাজিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগ এ দুয়ের মধ্যে বিরোধ নেই। নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং মনোযোগ হচ্ছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায়। এরা একই প্রক্রিয়ার দুটি দিক মাত্র। বাহ্যিক পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সে সম্পর্কে সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং..... 
অপরাধের শাস্তির চেয়ে অপরাধের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উপর্যুক্ত অভিপ্রায়টি আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যাঁকে "জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত মানব প্রেমিক" বলা হয়, সেই সিজার বেকারিয়ার। "ফেলিসিফিক ক্যালকুলাস" তত্ত্বের উদ্ভাবক 
বেকারিয়ার সমসাময়িক ব্রিটিশ দার্শনিক জেরেমি বেনথাম বিশ্বাস করতেন যে, লাভের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ অধিক দেখতে পেলে মানুষ অপরাধকর্ম হতে নিজেকে সরিয়ে নেয়। তাঁর মতে, কোন অপরাধে জড়িত হবার আগে এতে লাভবান এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা কতটুকু থাকে তা বিচার করতে সক্ষম। কোন অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া মানুষের "মুক্ত -ইচ্ছা" (Free Will) এর ওপর নির্ভরশীল। "মুক্ত-ইচ্ছা" ভিত্তিক সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে আইন বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে। বেনথাম মানুষের মুক্ত-ইচ্ছায় বিশ্বাসী হলেও সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণে আইনগত ব্যবস্থাবলির সুদূরপ্রসারী প্রভাবেও বিশ্বাস করতেন। রিচার্ড কুইনি ও জন ওয়াইল্ডম্যান সনাতন মতবাদের আলোচনার প্রেক্ষাপটে যে কতিপয় মতামত ব্যক্ত করেছেন, তা হলোঃ 
১) স্বভাবজাতভাবে স্বার্থপর হবার কারণে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২) অন্যের ক্ষতিসাধন থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে। রাষ্ট্রের নাগরিকগণ তাদের স্বাধীনতা ও স্বার্থহরণকারীদের শাস্তিদানের অধিকার রাষ্ট্রকে অর্পণ করেছে। ৩) অপরাধের ফলে ব্যক্তিবিশেষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ভিত্তিতে শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। অপরাধীর সংস্কারসাধন শাস্তির উদ্দেশ্য নয়। অপরাধের তুলনায় অধিক শাস্তি ব্যক্তিবিশেষের অধিকার হরণ করে এবং সামাজিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন করে। ৪) মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এক্ষেত্রে ব্যক্তির সামাজিক বা রাষ্ট্রিক পদমর্যাদা যাই হোক না কেন। সুতরাং অপরাধীকে ক্ষমা করার বিষয়টি অবাস্তব। ৫) প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবার জন্য উপরোক্ত ঐক্যমতের ভিত্তিতে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ। ৬) আইনের পরিমাণ যথাসম্ভব কম থাকা বাঞ্ছনীয়। 
কুইনি ও ওয়াইল্ডম্যান সনাতন মতবাদকে প্রধানতঃ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বরূপে বিবেচনা করেছেন। এটি বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থরক্ষার সহায়ক বলেও তারা মনে করেছেন।  
নব্য সনাতন মতবাদ মূলত সনাতন মতবাদের কিছু সংশোধন। সনাতন মতবাদে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করা হয়। নব্য সনাতন মতবাদে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো ১) পূর্বে ধারণা করা হতো যে, শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, শারীরিক অক্ষমতা ইত্যাদি অপরাধ আচরণে প্রবৃত্ত হতে কোনরূপ তারতম্যের সৃষ্টি করে না। কিন্তু এ ধারণার পরিবর্তন হয়। শারীরিক অক্ষমতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, অসুস্থতা ইত্যাদি মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা চরিতার্থ করার পথে তথা অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে বিশেষ অন্তরায় সৃষ্টি করে। ২) স্থান- কাল ভেদে আবহাওয়া বা পরিবেশের তারতম্যের কারণে মানসিকতার বিভিন্নতা ইত্যাদি যে অপরাধ সংঘটনে ভুমিকা রাখতে পারে তা আগে স্বীকার করা হতো না।  

সমগ্র ইউরোপে মানব প্রকৃতি সম্মন্ধে যে মৌল ধারণা প্রচলিত ছিল তাতে নব্য সনাতন মতবাদ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে। মানুষ যে বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন, বিচক্ষণ, মুক্ত ইচ্ছার অধীন এবং কৃতকর্মের জন্য ব্যক্তি নিজেই দায়ী, মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণে শাস্তি ভীতি বিশেষ কার্যকরী - এসব ধারণা তখনকার ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে বিশেষভাবে অবস্থান করছিল। তারা মনে করতেন যে, মানুষ অপরাধ করে যে আনন্দ পায়, তার চেয়ে শাস্তির বিধান অধিক তীব্রতর হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাহলেই মানুষের মুক্ত-ইচ্ছা তাকে অপরাধমূলক আচরণ থেকে সরিয়ে রাখার অবকাশ পাবে। অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাবে মানুষ অপরাধে লিপ্ত হয়, অর্থাৎ মানবীয় আচরণ অতিপ্রাকৃত শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এই মতবাদেরও পরিবর্তন ঘটে। মানুষকে অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিবেচনা করার স্থলে আত্মনিয়ন্ত্রণকারী বলে স্বীকার করা হয়। কারণ, মানুষ স্বকীয় বুদ্ধিমত্তা ও আবেগ দ্বারা পরিচালিত। 

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সর্বশেষ খবর
সাগরে লঘুচাপের আভাস
সাগরে লঘুচাপের আভাস

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ফয়সালাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬
ফয়সালাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম
মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে শীতের সবজির দাম চড়া
শেরপুরে শীতের সবজির দাম চড়া

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

৩৩ মিনিট আগে | শোবিজ

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমারখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
কুমারখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা
লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা
টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার
জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা
২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি
আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?
ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ
নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা