শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৪৬, শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

জলিলের ট্রাম্পকার্ড আর ফখরুলের ঈদের পর সরকার পতন

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
জলিলের ট্রাম্পকার্ড আর ফখরুলের ঈদের পর সরকার পতন

আজ ৩০ এপ্রিল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৩০ এপ্রিল একটি আলোচিত তারিখ। ২০০৪ সালের এ দিনটিকে সরকার পতনের দিন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল। একটি সরকারকে বলে-কয়ে দিন-তারিখ দিয়ে ফেলে দেওয়া অকল্পনীয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেই অকল্পনীয় কাজটি করেছিলেন। এপ্রিলের শুরুর দিন এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুল জলিল ঘোষণা করেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতন ঘটবে। আবদুল জলিল বলেছিলেন, এমন ট্রাম্পকার্ড তাঁর কাছে আছে, যার প্রয়োগে সরকারের পতন হবেই। জলিলের কাছে কী ট্রাম্পকার্ড আছে, এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই সেদিন দলের সাধারণ সম্পাদকের দিন-ক্ষণ দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার এ ঘোষণা পছন্দ করেননি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ট্রাম্পকার্ড তত্ত্বের পর আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াত সরকার পতনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ২০০৪-এর ৭ ও ৮ এপ্রিল দুই দিনের হরতাল ডাকে। ১৫ এপ্রিল জেলায় জেলায় ‘গণঅনাস্থা মানবপ্রাচীর’ কর্মসূচি পালন করে। ২১ এপ্রিল পালন করে ‘হাওয়া ভবন’ ঘেরাও কর্মসূচি। ২৫ এপ্রিল সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেন বিরোধী দলের সদস্যরা। ওই দিনই আওয়ামী লীগ অনাস্থা কর্মসূচি পালন শুরু করে। ৩০ এপ্রিলের দুই দিন আগে ২৮ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ দুই দিনের হরতাল পালন করে। কিন্তু ৩০ এপ্রিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বহাল থাকে। সেদিন ঢাকায় বা দেশের কোথাও বড় কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়নি। জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। বিকালে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।

৩০ এপ্রিল সরকার পতন হয়নি। এ অজুহাতে বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ট্রাম্পকার্ডে আতঙ্কিত হয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার শুরু করে। সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। ৬ এপ্রিল রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালায়। ২০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রদল ও যুবদল সারা দেশে তান্ডব শুরু করে। ১৮ এপ্রিল বগুড়ায় ছাত্রলীগের মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রদল ক্যাডাররা হামলা চালায়। অর্ধশতাধিক কর্মী আহত হন। ছাত্রদল ও যুবদল তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার বাসভবন ‘সুধা সদন’ ঘেরাওয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করে। কিন্তু এ কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মধ্যে তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তীব্র গণআপত্তির মুখে বিএনপি সে কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। মোদ্দা কথা, আবদুল জলিলের ট্রাম্পকার্ড ঘোষণার পর রাজনীতিতে একটু মৃদু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সরকার পতন তো দূরের কথা, সরকারের জন্য কোনো অস্বস্তিও তৈরি হয়নি। আওয়ামী লীগ আন্দোলনের মধ্যে বেড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দল। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই এ দলের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সময় অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। সংগ্রাম করেই আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতিকে মুক্তির নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে ২০০৪ সালে এ রকম একটি হঠকারী ঘোষণা দিয়েছিল? বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কৌতুকের জন্ম দিয়েছিল?

আবদুল জলিল ছিলেন খুবই সজ্জন একজন রাজনীতিবিদ। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরপরই সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডব শুরু হয়। আওয়ামী লীগের কর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিমেষেই সর্বস্ব হারায়। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংসভাবে সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে। ১০ অক্টোবর শপথ নেয় বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এরপর বিএনপি নেতাদের লাগামহীন কথাবার্তা শুরু হয়। ‘আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে’। ‘এক শ বছরেও আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না’। বিএনপি নেতাদের এসব কথার অত্যাচারে দেশের মানুষ রীতিমতো শব্দদূষণের শিকার হতে থাকে। ঘরছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আশ্রয় নেন দলীয় কার্যালয়ে। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ যেন পরিণত হয় এক শরণার্থী শিবিরে। ’৭৫-পরবর্তী আওয়ামী লীগ আরেকটি সংকটে পড়ে। এ সংকট উত্তরণের জন্য ২০০২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ দলের কাউন্সিল করে। এ কাউন্সিলের মাধ্যমে আবদুল জলিলকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কঠিন সময়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব নেন আবদুল জলিল। আওয়ামী লীগের জন্য পরিস্থিতি তখন কী ভয়ংকর ছিল তা এখন চিন্তাও করা যাবে না। গত ১০-১২ বছরে যারা আওয়ামী লীগার হয়ে এটা-ওটা বনে গেছেন, তারা কোনো দিন জানবেন না বিএনপি-জামায়াত কি পৈশাচিক দানবীয় নিপীড়ন করেছিল সে সময়। সে রকম এক বৈরী পরিবেশে আবদুল জলিল দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। আবদুল জলিল খুব পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। আর ছিলেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত, আস্থাভাজন। কিন্তু তিনি কীভাবে ৩০ এপ্রিল সরকার ফেলে দেবেন বলে জ্যোতিষীর মতো ভবিষ্যদ্বাণী করলেন? এটা রাজনীতিতে এক বিস্ময়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি তিনি ছিলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। মতিঝিলে বেশ সাজানো গোছানো কক্ষ ছিল। সেখানে তিনি দুপুর পর্যন্ত থাকতেন। নেতা-কর্মীরা গিজগিজ করতেন। বিপর্যস্ত নেতা-কর্মীদের সব সময় সহযোগিতা করতেন জলিল।

আমি তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, কীভাবে তিনি ৩০ এপ্রিলের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন? ট্রাম্পকার্ডই বা কী? প্রায়ই তিনি দাবি করতেন, ৩০ এপ্রিল ছিল মিডিয়ার সৃষ্টি। মিডিয়া তাঁকে দিয়ে এ রকম কথাটি বলিয়েছিল। ওয়ান-ইলেভেনের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। প্রতিবারই তাঁকে ৩০ এপ্রিল এবং ট্রাম্পকার্ড নিয়ে কথা বলেছি। বিক্ষিপ্তভাবে তিনি এ নিয়ে কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের সে সময় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাও ট্রাম্পকার্ড সম্পর্কে কিছু জানতেন। তাঁদের সবার তথ্য জোড়া দিলে ব্যাপারটা এ রকম দাঁড়ায়-এর নেপথ্যে ছিলেন প্রশিকার কাজী ফারুক আহমেদ। প্রশিকা তখন ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে বড় এনজিও। সারা দেশে তাদের নেটওয়ার্ক ও কর্মী বাহিনী ছিল। ট্রাম্পকার্ডের দুটি অংশ ছিল। প্রথমত, সারা দেশ থেকে প্রশিকার লাখ লাখ কর্মী ঢাকায় এসে অবস্থান নেবেন। যে যেখানে আছেন বসে পড়বেন। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশ ছিল, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব। বিএনপির সিংহভাগ সংসদ সদস্য বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন। এজন্য তাঁদের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। যেসব সংসদ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন বলে প্রাথমিকভাবে সায় দিয়েছিলেন তাঁদের একজন ছিলেন প্রয়াত আবু হেনা। অনেক পরে একদিন কফির আড্ডায় আবু হেনা বলেছিলেন, এটা কোনো সিরিয়াস পরিকল্পনা ছিল না। শুধু একটি ঢিল ছোড়ার মতো আমাকে একদিন বলা হয়েছিল। আমি হ্যাঁ-না কিছুই বলিনি। যাই হোক, প্রশিকার চাকরিজীবীরা শেষ পর্যন্ত রাজপথ দখল করতে পারেননি। ৩০ এপ্রিল তাদের টিকিটিও পাওয়া যায়নি। আর বিএনপির সংসদ সদস্যরাও বেগম জিয়ার সামনে বিদ্রোহের বীরত্ব দেখাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আবদুল জলিলের ট্রাম্পকার্ড এক রাজনৈতিক কৌতুকে পরিণত হয়। অথচ এটি যদি সফল হতো তাহলে হয়তো আবদুল জলিলের রাজনৈতিক পরিণতি অন্যরকম হতে পারত।

ক্ষমতায় থাকলেই কেবল রাজনীতিবিদরা বেসামাল হন না। বিরোধী দলে থাকলেও অস্থির হয়ে যান। বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট, প্রস্তুতি ইত্যাদি কিছুই বিবেচনা করে না। ক্ষমতায় থাকলে একটি দল যেমন ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। মনে করে এটাই জীবন। আর কোনো দিন ক্ষমতাচ্যুত হওয়া যাবে না। তেমনি বিরোধী দলে কেউ এক মুহূর্ত থাকতে রাজি নয়। যে কোনো প্রকারে সরকার হটানোর স্বপ্ন দেখে। ফন্দি আঁটে। বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা দলটির জন্য সবকিছু। পুলিশ, আমলা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক সবাই ক্ষমতাসীনদের তোষণ করে। মৌমাছির মতো চাটুকার-তোষামোদকারীরা গিজগিজ করে। এমনভাবে ক্ষমতাসীনদের ঘিরে রাখা হয় যে তারা নিজেদের ভুলগুলোও দেখে না। ক্ষমতায় থাকলে সবকিছু আছে। আর ক্ষমতায় না থাকলে কিছুই নেই। ক্ষমতায় না থাকলে পুলিশ পেটায়। আমলারা চেনে না। ব্যবসায়ীরা এড়িয়ে যায়। এজন্য ক্ষমতার বাইরে থাকা একটি দল শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় হাঁসফাঁস করতে থাকে। এ সময় কারও সামান্য আশ্বাসে বিভ্রম হয়। সরকারের ছোটখাটো ব্যর্থতায় উল্লসিত হয়। সরকার পতনের খোয়াব দেখে। এজন্যই জলিলের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদও ধোঁকা খেয়েছিলেন। এনজিও কর্মীরা যে রাজনৈতিক কর্মীর মতো সাহসী, সর্বাত্মক, অকুতোভয় হতে পারে না, এটা তিনি বুঝতে পারেননি। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বকাঠামো এমন যে প্রধান নেতার সমালোচনা করা ‘কবিরা গুনাহ’র মতো অপরাধ। যে অপরাধের মাফ নেই। এ রকম একটি সংস্কৃতির মধ্যে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে বিএনপির সংসদ সদস্যরা ভোট দেবেন এটা অবাস্তব। অলীক।

ক্ষমতায় থাকলেই শুধু বিভ্রম হয় না। বিরোধী দলেও বিবর্ণ বিভ্রম হয়। ক্ষমতার সুখে আত্মহারা হয়েই মানুষ প্রলাপ বকে না। ক্ষমতাহীনতার যন্ত্রণা ও কষ্টেও রাজনীতিবিদরা প্রলাপ বকেন। যেমন ২০০৪ সালে বকেছিলেন আবদুল জলিল। এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল এখন অসংলগ্ন কথাবার্তায় আবদুল জলিলের ট্রাম্পকার্ডকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি ইদানীং এমনভাবে কথাবার্তা বলেন যেন আগামীকাল সরকারের পতন হবে। তাঁর কথা শুনে মাঝেমধ্যে মনে হয় তিনিও বোধহয় অন্য গ্রহের বাসিন্দা। তিনি এখন রাজনৈতিক কৌতুকে আবদুল জলিলকেও হারিয়ে দিয়েছেন। প্রতিবার রোজা এলেই বিএনপি মহাসচিব হুংকার দেন। ঈদের পর তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এবারও দিয়েছেন। বলেছেন, সরকারের পতন নাকি অনিবার্য। কদিন আগে বললেন, ‘এ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই’। সেদিন সংবাদপত্রে দেখলাম মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘এ সরকারের পতনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে’। মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে বলেছেন, ‘আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হরতাল ডাকা হবে।’ মির্জা ফখরুল ক্ষমতাহীনতাজনিত হতাশা রোগে আক্রান্ত।

আওয়ামী লীগ টানা ১৩ বছরের বেশি দেশ পরিচালনা করছে। আওয়ামী লীগের সাফল্য আছে, ব্যর্থতাও আছে। অর্জন আছে বিসর্জনও আছে। অনেক ভালো কাজের জন্য আওয়ামী লীগ প্রশংসিত। আবার অনেক কাজের জন্য নিন্দিত। কিন্তু গত ১৩ বছরে বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে কী করেছে? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পায় না। এ ব্যাপারে কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর হতাশার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বিএনপি মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া বেশ মজার। তিনি বললেন, ‘অচিরেই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ হবে। শক্তিশালী বিরোধী দল তিনি দেখতে পাবেন।’ মির্জা ফখরুল কি তাহলে বিরোধী দলেই থাকতে চান? এখন তিনি দুর্বল বিরোধী দল। শিগগিরই তিনি বিএনপিকে শক্তিশালী বিরোধী দল বানিয়ে ফেলবেন। রাজনৈতিক দলে তাহলে গরু-ছাগলের মতো মোটাতাজাকরণের পদ্ধতি আছে! যে পদ্ধতি মির্জা ফখরুল বিএনপিতে প্রয়োগ করবেন। বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোরবানির আগে গরুকে যেমন রাতারাতি মোটা বানানো হয়, তেমনি কি বিএনপি মহাসচিব নিমেষেই বিএনপিকে শক্তিশালী বানিয়ে ফেলবেন? মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি ক্ষমতার গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি এত দিন ক্ষমতার বাইরে থেকে মৃতপ্রায়। আর মৃতপ্রায় দলটির মরিয়া মহাসচিব তাই রাজনীতির মৌলিক ব্যাকরণ ভুলে গেছেন। একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণ হলো কর্মী, সংগঠন এবং কমিটি। এসব এক দিনে সম্ভব না। ধাপে ধাপে গড়ে ওঠে। কিন্তু অস্থির মির্জা ফখরুল রাতারাতি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চান। তাঁর কাছেও কি ট্রাম্পকার্ড আছে? আবদুল জলিল থেকে মির্জা ফখরুল। ২০০৪ থেকে ২০২২। দুজনই অস্থির। ভুল পথের যাত্রী। রাজনীতি হলো সবচেয়ে অনিশ্চয়তার বাস্তবতা। আবদুল জলিল যেমন এক মাসের বিশেষ ডোজ (ট্রাম্পকার্ড) প্রয়োগ করে বিএনপিকে কিছুই করতে পারেননি। কেবল নিজে খেলো হয়েছেন। তেমনি মির্জা ফখরুলের ‘ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলন’ এখন এমন একটা তামাশার বাণীতে পরিণত হয়েছে, যে বাণী সম্ভবত তিনি নিজেও বিশ্বাস করেন না।

আমরা প্রায়ই বলি, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। আওয়ামী লীগ তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। তার মানে এই নয় যে চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে। এটা যেমন সত্য। তেমনি এও সত্য, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি সরকারকে হটানোর কোনো শর্টকার্ট পথ নেই। বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করলেই একটা সরকারের পতন হয় না। সমালোচনার শব্দ দিয়ে সরকারের পতন হয় না। দূরদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে সরকারের পতন হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসিত মিথ্যাচার করলেও সরকারকে ফেলে দেওয়া যায় না। বিএনপি এবং বিরোধীরা প্রায়ই বলেন, জনগণের ওপর এ সরকারের কোনো আস্থা নেই। এ সরকার জনগণের নয়। বুধবার বিএনপি মহাসচিব বললেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকার’। ভালো কথা। বিএনপি বা বিরোধী দল কি জনগণের ওপর আস্থাশীল? তারা কি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী? জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী বিরোধী দল তো কখনো ষড়যন্ত্র করবে না। বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেবে না। অন্য দেশে নালিশ করবে না। তারা জনগণের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করবে। জনগণকে সংগঠিত করবে। জনগণের কাছে বিচার দেবে। ভোটের মাধ্যমেই জনগণ তার রায় দেবে। বিরোধী দলও কি জনবিচ্ছিন্ন নয়? রাজনীতির জন্য এটা কি একটা অশনিসংকেত নয়? এ সরকার জনগণের নয় যাঁরা বলছেন, তাঁরা কি একবার ভেবে দেখবেন এই বিরোধী দল কতটুকু জনগণের?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
সর্বশেষ খবর
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়
বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব
ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব

শোবিজ

কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি
কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি

নগর জীবন

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা