শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:২০, রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

২১ আগস্ট : বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
২১ আগস্ট : বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা

বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে জন্মেছি, মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করেছি। আর বাবার কাছে যখন নিষ্ঠুর ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে নিষ্পাপ রাসেলসহ সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার কথাগুলো শুনতাম, তখন ভয়ঙ্কর নৃশংস কোনো গল্পের মতো মনে হতো। বুকভাঙা কষ্ট থেকে ঘাতকদের প্রতি জন্মাতো প্রচণ্ড ঘৃণা। যখন বেড়ে উঠলাম তখন জানলাম- বুঝলাম, সে গল্প ছিল বাঙালি জাতির স্বপ্নভঙ্গের, জাতিকে পেছনে টেনে নেওয়ার, জয় বাংলা স্লোগানকে রুদ্ধ করার, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করার আর বাংলাদেশ নামের মানচিত্র, লাল-সবুজের পতাকার জন্মদাতা – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর বিয়োগান্তক ইতিহাস। 

পরবর্তীতে পেলাম কেবল বিকৃত ইতিহাস। পেলাম ইনডেমনিটি নামের এক জঘন্য কালো আইন – ঘাতকেরা খুন করবে আর তাদের বিচার করা যাবে না, খুনিদের পুরস্কৃত করতে বিদেশি দূতাবাসের চাকরি দেওয়া – এ কেমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি? পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থান করে দিয়ে জঙ্গিবাদের বীজ বপন করে দিলেন জেনারেল জিয়া।

বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাসমূহের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা অন্যতম। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ শেষ হওয়ার মুহূর্তে চালানো পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে আহত হয়েছিলেন শতাধিক। অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। সেদিন বিকালে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদের গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের মূল নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে দেশের জন্য তা এক ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনত।

হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান ও গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হত্যা করা। কিন্তু আমরা দেখেছি, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পক্ষ থেকে এমন অবিশ্বাস্য কথাও প্রচার করা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ নিজেরাই জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন পেতে ওই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, গ্রেনেড হামলা এমনভাবে করা হয়েছে যেন শেখ হাসিনা বেঁচে যান এবং জোট সরকারকে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যায়।

২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদেও জোট সরকারের সাংসদেরা ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে ব্যর্থ হয়ে এখন নৈরাজ্যের মাধ্যমে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় যেতে চায়। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়। তখন বিএনপি ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতিও অঙ্গুলি নির্দেশ করেছিল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশবাসীকে এটা বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেছিল যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতায় পলাতক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনায় ১৪ জনের একটি দল এই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। চারদলীয় জোট সরকার ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ওসব মিথ্যা তথ্য জোট সরকারের সমর্থক পত্রপত্রিকায় প্রচারও করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমর্থক লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা সভা-সেমিনারে একই সুরে বক্তব্য দিয়ে, পত্রিকায় কলাম লিখে সেই মিথ্যা প্রচারে সহায়তাও করেছিলেন। কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সত্য প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতৃত্ব চুপ রয়েছে। এ বিষয়ে তারা আর কিছু বলে না। আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে যে জোট সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার তখনকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছিলেন, প্রচার করেছিলেন।

চারদলীয় জোট সরকারের গঠিত এক সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিশনের প্রধান বিচারপতি জয়নুল আবেদীন তার প্রতিবেদনে প্রায় একই কথা বলেছিলেন। মোট ৪০ দিনের অনুসন্ধানে (?) প্রস্তুত তথাকথিত তদন্ত প্রতিবেদনে সেসব মনগড়া তথ্য-ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়েছিল, যা জোট সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা বলেছিলেন। আর তদন্ত কমিশনের কাছে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহীম যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা তো সেই একই কথা, যা বলেছিলেন চারদলীয় নেতা-মন্ত্রীরা। সিআইডি ও পুলিশের ‘জজ মিয়া’ আখ্যান নিয়ে আমরা তখনই সন্দেহ করেছিলাম। জজ মিয়ার কাহিনিকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে উল্লেখ করেছিলাম। এর পরপরই এক সামাজিক অনুষ্ঠানে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আষাঢ়ে গল্প বলছেন, আমরা সত্য প্রকাশ করে প্রমাণ করে দেব, কীভাবে সীমান্তের ওপার থেকে পরিকল্পনা হয়েছে, কীভাবে সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সঙ্গীরা এই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।’ একই কথা তিনি আরও অনেকবারই বলেছিলেন। চারদলীয় জোট সরকার আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে সত্য আর প্রকাশ করতে পারেনি! তত দিনে সবাই সত্য ঘটনা জেনে গেছে। যে সত্যকে তারা লুকিয়ে রেখেছিলেন।

মনে পড়ে, ২১ আগস্টের ঘটনার পরপর তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সে সময়ই হুবহু একই রকম কথা বলেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, এটা আওয়ামী লীগেরই কাজ। এ ঘটনায় তারাই তো লাভবান হবে। তারা সহানুভূতি পাবে। এমনকি ঘটনার আগের মুহূর্তে শেখ হাসিনা আইভি রহমানকে মঞ্চে ডেকে নিতে চেয়েছিলেন। সে কথাও তিনি বলেছিলেন। শেখ হাসিনার জ্ঞাতসারেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে ওই পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেছিলেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর, সশস্ত্র বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের দেড় বছরে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনার নেপথ্যের অনেক তথ্যই বেরিয়ে এসেছিল। এখন এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার জেনেশুনে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনা এবং উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী ও প্রকৃত আসামিদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পরে বলার চেষ্টা করেছেন যে পুলিশ ও সিআইডি তাদের ভুল বুঝিয়েছিল। উদ্দেশ্যপূর্ণ তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করেছিল। পরে যখন সত্য জানতে পারেন, তখন আর তাদের কিছু করার ছিল না। কিন্তু তাদের এসব বক্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের মন্ত্রী-নেতারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ২১ আগস্টের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও ভারতকেই দায়ী করছিলেন। এ কথা তারা প্রচার করেছেন সুপরিকল্পিতভাবে।

২১ আগস্টের ঘটনার পরপরই দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বেগম জিয়াও সেসব কথাই বলেছিলেন নানাভাবে। সর্বশেষ যেসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তৎকালীন জোট সরকারের উচ্চপর্যায়ের পরামর্শেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি ও পুলিশের তখনকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তারা পেশাদার খুনি চক্র, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এবং ভারতের ওপর এই হামলার দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। তৎকালীন সরকারের আহ্বানে বিদেশ থেকে আসা ইন্টারপোল ও এফবিআইয়ের বিশেষজ্ঞদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। অবশ্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আনাটা ছিল লোক দেখানো একটি কৌশলমাত্র।

বিগত সময়কালে অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে সে সময়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে কোনো তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত করতে বলেছিলেন। সে তদন্ত প্রতিবেদন আর কোনো দিন প্রকাশ করা হয়নি। এখন কোথাও তা পাওয়া যায় না।

এসব তথ্যের পটভূমিতে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, তাহলে কি ২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে জোট সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো যোগসাজশ ছিল? সে সময়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে কর্মরত কোনো কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মনেও এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল তখনই। এখনো তারা সে রকমই ভাবেন। ওই হামলার পরপর বিভিন্ন ঘটনা থেকে এমন ধারণাই হয়েছিল তাদের। বর্তমান তদন্তে জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার সরকারি বাসভবনে এই হামলা নিয়ে বৈঠকও হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তারা পিন্টু পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেছেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের আরও কেউ সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখাটা জরুরি ছিল। এই প্রশ্ন ওঠা খুবই প্রাসঙ্গিক, কারণ জোট সরকার এই ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ উল্টোপথে চালিত করেছিল। আর এই কাজে সরকারের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মনোভাবও ছিল একই রকম।

বিগত সময়কালে যখন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে হত্যা করতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো অবিশ্বাস্য ভয়াবহ ঘটনাবলির প্রায় সব তথ্য বের হয়ে এসেছে, তখন এটা সত্যি বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে যে একটি নির্বাচিত সরকার ও নেতৃত্ব কীভাবে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিকে ধ্বংস করতে কী নির্লজ্জভাবে সত্যকে উল্টোপথে পরিচালিত করতে পারে!

২১ আগস্টের মতো ভয়ংকর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের এই ভূমিকাকে দেশের মানুষ কীভাবে গ্রহণ করবে? এ ঘটনা বিএনপির বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই বিবেচিত হবে। এই কলঙ্ক মুছে ফেলা বিএনপির জন্য এক কথায় অসম্ভব।

এ মামলায় ২০১৮ সালে ঘটনার দীর্ঘ ১৪ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন উক্ত ২১ আগস্ট চালানো গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা পৃথক দুই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিমসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে নৃশংস এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচারিক আদালতের কার্যক্রম শেষ হলো।

ঘটনার পরের দিন, অর্থাৎ ২২ আগস্ট, ২০০৪ মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ছিল ৯৭। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। তৎকালীন সরকার ঘটনা তদন্তে ২০০৪ সালের ২২ আগস্ট বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে। এক মাস ১০ দিনের মাথায় ১৬২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ওই কমিশন, যেখানে এ হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি শক্তি জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কোনো বিদেশি শক্তির নাম কমিশন প্রদত্ত প্রতিবেদনে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তৎকালীন সরকার যুক্তরাজ্যের তদন্ত সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকেও তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানায়; কিন্তু ওই তদন্তও সম্পন্ন হয়নি।

ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০০৫ সালের ৯ জুন জজ মিয়া নামের এক যুবককে সিআইডি আটক করে। ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে জজ মিয়ার কাছ থেকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। কিন্তু জজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে শুরু থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে এবং একে সাজানো নাটক বলে বিভিন্ন মহল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত জজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি মর্মে পরবর্তী তদন্তে উল্লেখ করা হয়।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মামলাটির তদন্ত পুনরায় শুরু হয় এবং ওই সময়ের তদন্তে গ্রেনেড হামলার বিষয়ে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং গোপন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয় তদন্তে সামনে আসতে থাকে।

ঘটনার তিন বছর নয় মাস ২১ দিন পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির সিনিয়র এএসপি ফজলুল কবির সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ওই বছরই মামলা দুটির কার্যক্রম দ্রুত বিচার আদালত-১-এ স্থানান্তর করা হয়। বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনক্রমে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এবার মামলাটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রথম অভিযোগপত্রের ২২ জন ছাড়াও তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনের (মোট আসামি ৫২ জন) বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক চার্জশিটের ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ফের বিচার শুরু হয়।

মূলত ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের পর থেকেই এই মামলার কার্যক্রমকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে আসছে বিএনপি।

মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের ৪৯১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিপক্ষে ২০ জন সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় ১৪৪টি আলামত ও ৫৫টি ডেট প্রদর্শন করা হয়েছে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালত রায়ের দিন ঘোষণা করে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় এ রায়ের নানাবিধ প্রভাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যে তারেক রহমানের নাম ও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না হওয়ার পরও শুধু মুফতি হান্নানের একটি জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে তাকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে, তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত না হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী হতাশা দেখিয়েছেন।

এ রকম একটি চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে বিচারহীনতার সংস্কৃতি লাঘব হওয়ার পথ অনেকটা সুগম হবে। তবে উচ্চ আদালতে মামলার আপিল কার্যক্রম সম্পন্ন করে চূড়ান্ত অপরাধীর তালিকা নিশ্চিত হতে হয়তো আরো বেশকিছু সময় লেগে যাবে। সত্যিকারের অপরাধী কিংবা অপরাধীদের চূড়ান্ত বিচারে শাস্তি নিশ্চিত হোক, এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। কারণ, তারা সেদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই এই ঘৃণ্যতম গ্রেনেড হামলা চালায়। জাতি এ কলঙ্কিত অধ্যায়ের সাথে যারাই জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখে দেশকে কলংকমুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমন কোনো হামলা আর কখনোই বাংলাদেশে ঘটবে না, এটাই প্রত্যাশা করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য পিপলস টাইম
সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ
সদস্য, কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পরিচালক, এফবিসিসিআই
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
সর্বশেষ খবর
পঞ্চগড়ে ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, আটক চার
পঞ্চগড়ে ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, আটক চার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

যশোর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
যশোর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নেশার টাকা না পেয়ে বাড়িতে আগুন, পিতার অভিযোগে পুত্রের কারাদণ্ড
নেশার টাকা না পেয়ে বাড়িতে আগুন, পিতার অভিযোগে পুত্রের কারাদণ্ড

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

প্রত্যেক জেলায় জেলা ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা হবে: আসিফ আকবর
প্রত্যেক জেলায় জেলা ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা হবে: আসিফ আকবর

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
গাজীপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রিভলভার হাতে রহস্য ভেদে ফিরছেন কোয়েল
রিভলভার হাতে রহস্য ভেদে ফিরছেন কোয়েল

৩৬ মিনিট আগে | শোবিজ

গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা
গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিরামপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন
বিরামপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

৪২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?

৪৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

টিফিন বক্সে অমিতাভকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন জয়া
টিফিন বক্সে অমিতাভকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন জয়া

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

রুশ গুপ্তচর জাহাজ থেকে ব্রিটিশ পাইলটদের ওপর নজরদারির অভিযোগ
রুশ গুপ্তচর জাহাজ থেকে ব্রিটিশ পাইলটদের ওপর নজরদারির অভিযোগ

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

৫৯ মিনিট আগে | শোবিজ

ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ২৫
ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ২৫

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
কলাপাড়ায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মুশফিক ভাই বলেই সেঞ্চুরি নিয়ে কোনো সংশয় নেই: মুমিনুল
মুশফিক ভাই বলেই সেঞ্চুরি নিয়ে কোনো সংশয় নেই: মুমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল, ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাইট
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল, ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাইট

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন