কর্মস্থলে যাবার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ বাংলাদেশির নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হলো সোমবার বাদ যোহর নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে অবস্থিত জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে। মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবু জাফর বেগের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জানাযায় শোকার্ত স্বজন এবং সাবেক এমপি এম এম শাহীনসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার নিউইয়র্ক সময় ভোর ৫টার দিকে লং আইল্যান্ড এলাকার নর্দার্ন ষ্টেট পার্কওয়ের এক্সিট ৩১-এ এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদের বহনকারি প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায় বলে টহল পুলিশ জানিয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন এবং অপর দু’জনকে গুরুতর অবস্থায় নিকটস্থ উইনথ্রপ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহতরা হচ্ছেন ঢাকার মাতোয়াইলের শামসুল আলম (৬১), কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আতাউর রহমান দুলাল (৩৫) এবং ময়মনসিংহের নৌমহল এলাকার রায়হান ইসলাম (২৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল আমীনের (৩৬) বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। তার ডান হাত ও পা এবং বুকের পাজরের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে গেছে বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তার স্বজনেরা জানিয়েছেন। এখনও তার জ্ঞান ফিরেনি। তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিহতদের মরদেহ বাংলাদেশে তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হবে। জানাযার পরই মরদেহ তিনটি সোমবার রাতেই আমিরাত এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকালে কফিন ৩টি ঢাকায় পৌঁছাবে।
নিহত ও আহতরা সবাই নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর জ্যামাইকা এলাকায় বসবাস করতেন এবং লং আইল্যান্ডে তাদের কর্মস্থল ‘ইনভাজিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী’তে সকালের শিফটে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সহকর্মী রায়হান ইসলাম ড্রাইভ করছিলেন এবং গাড়িটি তার নিজের।