যথাযথ মর্যাদায় সৌদি আরবে উদযাপিত হয়েছে ৪৭তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস, রিয়াদ বাংলা ও ইংলিশ স্কুল, জেদ্দা বাংলা ও ইংলিশ স্কুল, দাম্মাম ইংলিশ স্কুল, মদীনা বাংলা স্কুল, আল কাছিম বাংলা স্কুল আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১ মিনিটে শুদ্ধস্বরে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শুনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এরপর বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি সকল প্রবাসী নাগরিককে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভুমিকা রাখার আহবান জানান।
এদিকে জেদ্দা কনস্যুলেটে ভোর ৫টা ১ মিনিটে বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বড় পর্দায় দেখানো হয় ঢাকা জেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশের সরাসরি সম্প্রচার।
ভোর ৬টা ২২ মিনিটে কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন কতৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় স্বাধীতনতা দিবসের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানমালায় ছিলো পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, বাণী পাঠ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, একজন মুক্তিযোদ্ধার অনুভূতি প্রকাশ, কনসাল জেনারেলের বক্তব্য, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেদ্দায় বসবাসরত ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয় জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস। সংবর্ধনা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, মমতাজ হোসেন চৌধুরী, মঈন উদ্দিন ভুঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আমিন এবং শাহাবউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেন মমতাজ হোসেন চৌধুরী। এসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়ায় কনস্যুলেটকে ধন্যবাদ জানান।
কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিমান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/২৬ মার্চ ২০১৮/হিমেল