যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেন প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ কন্স্যুলেট ভবন খোঁজা হচ্ছে এবং সেই ভবনকেই ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’, যেখানে থাকবে কম্যুনিটি সেন্টার, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র-লাইব্রেরী, সোনালী এক্সচেঞ্জ, বিমান অফিসসহ প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় অফিস। থাকবে মিডিয়া সেন্টার।
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারির নেতৃত্বে ৭ মুক্তিযোদ্ধা নতুন কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসাকে স্বাগত জানানোর সময় এই দাবি পেশ করেন। অপর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক লাবলু আনসার, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু এবং মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক।
পঞ্চদশতম কন্সাল জেনারেল হিসেবে ১ জুন যোগদান করেছেন পেশাদার কূটনীতিক সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। তিনি হলেন এই কন্স্যুলেট জেনারেলে প্রথম নারী কন্সাল জেনারেল। নিউজার্সি, কানেকটিকাট, নিউ হ্যামশায়ার, ম্যাসেচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, মেইন ভারমন্ট এবং নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৪ লক্ষাধিক বাংলাদেশির দেখভালের দায়িত্ব হচ্ছে এই কন্স্যুলেটের।
স্বাগত জানানোর সময় তাঁকে অবহিত করা হয় যে, গত ৭ বছর যাবৎ একটি বাড়ি খোঁজা হচ্ছে এবং সেটি হবে বাংলাদেশের স্থায়ী কন্স্যুলেট জেনারেলের অফিস। এমন একটি ভবন ক্রয় করতে হবে যেখানে সবকিছু থাকবে এবং ভবনের ওপরে পতপত করে উড়বে বাংলাদেশের পতাকা। সামনে অথবা ওপরে লেখা থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন।’
এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া বলেন, এমন প্রত্যাশা আমারও। সে লক্ষ্যে আমরাও কাজ করছি। এ সময় তার পাশে থাকা ডেপুটি কন্সাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, এমন একটি জায়গায় আমরা স্থায়ী অফিস স্থাপন করতে চাই, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ থাকবে। তেমন স্থান মাঝেমধ্যে খুঁজে পেলেও ঢাকা কর্তৃপক্ষের সাথে আনুষ্ঠানিকতা করার মধ্যেই সেই বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। আমাদের আন্তরিকতায় কোনই ঘাটতি নেই।
কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক আগ্রহ রয়েছে এবং আমরা সে অনুযায়ী চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ সমুদ্র বিজয়ের পর মহাকাশও বিজয় করলো। সুতরাং বিশ্বের রাজধানী এই নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ভবনের প্রত্যাশা অবশ্যই পূরণ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিজয় দিবস এবং বৈশাখী উৎসব ভাতা প্রবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারা। এ অভিনন্দন বার্তা তাঁদেরকে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয় কন্সাল জেনারেলকে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় কন্স্যুলেটের হেড অব চ্যান্সেরি চৌধুরী সুলতানা পারভিনও সেখানে ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুন, ২০১৮/মাহবুব