অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বেশ খানিকটা সময় আগেই। ধন্যবাদ দেওয়ার পালাও শেষ। মঞ্চ থেকে শিল্পী, যন্ত্রীরা নেমে এসেছেন, শুধু শ্রোতারাই যেন কেমন নড়চড়া করছেন না। আসন ছেড়ে দিয়েও হলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছেন। যেনো কিছুক্ষণের মধ্যেই শিল্পী আবার মঞ্চে ওঠে সুর ধরবেন- এমনই এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল গত শনিবার টরন্টো দুর্গাবাড়ীতে, রাগরঙ এর ‘নানা রঙের গানের’ আসর শেষ হয়ে যাওয়ার পরও।টানা কয়েক ঘণ্টা সুরের মুর্ছনায় ডুবে থেকেও যেনো কারোই পিপাসা মিটছিল না।
খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী, শুদ্ধ গানের জন্যই যিনি মূলত সমধিক জনপ্রিয়, শিল্পী রনি প্রেন্সি রয়ের সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রাগ রঙ’ এর গ্রীষ্মকালীন পরিবেশনা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল ব্যতিক্রমী এই গানের সন্ধ্যার।
উপস্থাপক মেরি রাশেদীনের উপস্থাপনায় শুরুতেই সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাগ রঙের শিক্ষার্থী রিদিতা সাহা এবং অভিনন্দিতা দাস।
এর পরে শুরু হয় কলকাতা থেকে আমন্ত্রিত হয়ে আসা শিল্পী দেবর্ষি ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে তবলায় বোল তুলেন আরেক গুণী শিল্পী চিরঞ্জীব মুখার্জী। অনুষ্ঠানের নামের সাথে মিল রেখে আক্ষরিক অর্থেই নানা রঙের গান গেয়েছেন শিল্পী দেবর্ষি। কিংবা বলা যায়, গানের, সুরের যে নানা রঙ আছে- তাই যেনো উল্টেপাল্টে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরছিলেন তিনি।
নিজের বাছাই করা গানের পাশাপাশি শ্রোতাদের অনুরোধেও গান গেয়ে গেছেন দেবর্ষি। শ্রোতারা পিনপতন নিরবতায় নিজেদের আকণ্ঠ ডুবিয়ে রেখেছেন সেই গানের মুর্ছনায়। মাঝখানে কিছু কথা বলার জন্য মঞ্চে ডাকা হয়েছিলো শিল্পী রনি প্রেন্টিস রয়, ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত আর মন্দিরের পক্ষে সুশীতল চৌধুরীকে। শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানানোর মধ্যেই নিজেদের বক্তব্যকে সীমিত করে তারা গানের প্রবাহকেই এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন যেন।
ছিমছাম অনাড়ম্বর আয়োজনের নানা রঙের গানের এই আসরটিকে শিল্পীরাই তাদের পরিবেশনার দক্ষতা দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ করে তুলেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা