সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভিয়েনাস্থ বাংলা কমিউনিটির অভিভাবক, সমাজ সেবক শাহ মোহাম্মদ ফরহাদ।
গত শুক্রবার সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে ভিয়েনাস্থ ভিলহেইম হাসপাতালে তিনি পরলোকগমন করেন
তার মৃত্যুতে ভিয়েনাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। শাহ মোহাম্মদ ফরহাদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি এবং শ্বাস প্রশাসেরর জটিলতায় ভুগছিলেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের রাষ্টদুত এম আবু জাফর।
এছাড়াও বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ, অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গভীর শোক জানিয়েছেন।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম বলেন, “ফরহাদ ভাই ছিলেন ভিয়েনাস্থ বাংলা কমিউনিটির প্রধান অভিভাবক। বাঙালিদের সমস্যা সমাধানে তিনি সর্বাত্মকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ফরহাদ ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে আমি অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”
শাহ মোহাম্মদ ফরহাদের মৃত্যুর খবর শুনে অনেকেই ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে ভিয়েনাস্থ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, “ফরহাদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৩০ বছরের বন্ধুত্ব, ভিয়েনার প্রতিটি বাংলাদেশির সাহায্যে সবার আগে ফরহাদ ভাই এগিয়ে আসতেন। আমি আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধুকে হারালাম।”
আয়েবার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক আহমেদ ফিরোজ বলেন, “ফরহাদ ভাই ভিয়েনাস্থ বাঙালিদের জন্য যে কাজ করে গেছেন সেই ঋণ কোনও দিন শোধ করতে পারবো না। ফরহাদ ভাইকে দল মত নির্বিশেষে সকলে মিলে একটি একটি সংবর্ধনা দেওয়া উচিত ছিল যেটি তিনি বেচে থাকতে আমরা দিতে পারিনি। তবে আয়েবা তাকে ১২তম সম্মেলনে সংবর্ধনা দিয়েছিল। ফরহাদ ভাইয়ের মতো লোক একবারই আসে বার বার আসে না।”
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান শাহ মোহাম্মদ ফরহাদ ১৯৮২ সালের দিকে ভিয়েনা আসেন। তিনি দীর্ঘ দিন সৌদি দুতাবাস এবং ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতি প্রতিষ্ঠার পেছনে শাহ মোহাম্মদ ফরহাদ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
বায়তুল মোকারম জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবিদ হোসেন খান তপন জানান, আগামী ১৫ মে ফরহাদ ভাইয়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম