আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সারাদিন রোজা রেখে পরিবারের সকলে মিলে এক সঙ্গে ইফতারের আনন্দই আলাদা। কিন্তু যারা পবিবার পরিজনের সুখের খোঁজে নিজ গৃহ ছেড়ে আজ পরবাসী, তাদের ইফতারীতে আনন্দ আগে সুখকর না হলেও বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট গুলোর কারণে মালয়েশিয়া প্রবাসীরাও এখন ইফতারে উপভোগ করেন ভিন্ন রকম আনন্দ।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি দোকানিদের ব্যস্ততা আর বাহারী সব ইফতার আয়োজন দেখে মনে হতে পারে এই দৃশ্য দেশের পুরান ঢাকার চিত্র। পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোতে যেভাবে ঐতিহ্যবাহী ইফতারের পসরা সাজান ব্যবসায়ীরা, তেমনি একইভাবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সব ঐতিহ্যবাহী ইফতার সামগ্রী নিয়েও পসরা সাজান প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন কয়েক লক্ষ বাংলাদেশি। রোজার মাসে প্রতিদিনই কুয়ালালামপুরের কোতারায়া, বুকিত বিনতাং, চৌকিট, ব্রিকফিল্ডসহ মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বসে ইফতারী বাজার। শুধু প্রবাসীরাই নয়, গত বছর কয়েক ধরে বাংলাদেশি দোকানগুলোতে ভিড় জমায় বিদেশীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মালয়েশিয়ানরাও । তাদের কাছে দিনে দিনে পছন্দনীয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশি নানা স্বাদের ইফতার সামগ্রী ।
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি মালিকানাধীন অভিজাত রেস্টুরেন্ট গুলোতে গেলেই দেখা যায় প্রচুর মালয়েশিয়ান গ্রাহকও ইফাতারী নিয়ে বসে আজানের অপেক্ষায়। একসময় নিজেদের দেশীয় স্বাদের ইফতারী বলতে ভাত, মাছ ও মাংসকেই প্রাধান্য দিলেও দিনে দিনে বাংলাদেশি বাহারী ও ঐতিহ্যবাহী সব খাবারের টানে তারাও এখন ছুটে বেড়ান বাংলাদেশি বেশীরভাগ খাবারের দোকানে ।
এসময় বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্ট গুলোতে চলে ইফতারী তৈরী ও কেনা বেচার মহা আয়োজন । ছোট ছোট দলে সকলে ইফতারী সামনে নিয়ে অপেক্ষা করেন আজানের সুমধুর ধ্বনির, দেখে মনে হয় যেন এক একটি পরিবার। আর এই ভেবে আরও ভালো লাগে যে, দিনে দিনে মালয়েশিয়ানদেরও হৃদয় জয় করল বাংলাদেশি ইফতার।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর