বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাতার কেন্দ্রীয় কমিটির সকল ভেদাভেদ ভুলে বিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নবগঠিত একটি কমিটি গঠন করেছে।
শুক্রবার রাজধানী দোহা নাজমার স্থানীয় একটি হোটেলে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঐক্যবদ্ধ নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।
এতে শফিকুল কাদেরকে সভাপতি, আবুল কাশেমকে সিনিয়র সহ-সভাপতি,ফেরদৌস আলম চৌধুরীকে সহ-সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার আবু রায়হানকে সাধারণ সম্পাদক,বদরুল আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোল্লা রাজিব রাজকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কাতার ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সিসি, জসিম উদ্দিন দুলাল, মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া, সৈয়দ আনা মিয়া, আব্দুল ওদুদ, আহসান বিল্লাহ,আবেদুর রহমান ফারুক,তৌফিক ই চৌধুরী, মহসিন খান, আবু ইউসুফ বাবুল, মাহফুজুর রহমানসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা জামাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আহাদ, জিএস সুমন, মোহাম্মদ রিপন মিয়া, শাহ আলম খান, আহমেদ মালেক, দেলোয়ার হোসেন প্রধানসহ অন্যান্যরা।
পরে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও নবগঠিত কমিটির সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় যুবলীগ, সৈনিক লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে দীর্ঘ দিন পরে হলেও সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের ডাকে আমরা সবাই এক মঞ্চে বসতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশাবাদী খুব শিগগিরই সবাইকে নিয়ে একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারবো।
নবনির্বাচিত সভাপতি শফিকুল কাদের বলেন, সবার সমন্বয়ের কারণে একটি সুন্দর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আশাবাদী কেন্দ্রের যেকোনও কর্মসূচিতে দ্রুত বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর থাকবে কাতার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু রায়হান বলেন, বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অগ্রযাত্রার কারণে তা বাস্তবায়ন করতে সম্ভব হয়েছে। আমরা আশাবাদী কাতার আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে প্রতিটি নেতাকর্মী উদার মনে কাজ করে যাবে।
আর তরুণ প্রজন্মের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ রাজ রাজিব বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতি শুরু করি। বিএনপি জামায়াত জোট আমলে হরতাল, অবরোধ, ককটেল হামলা ও পেট্রোল বোমা হামলা যখন চালায় তখন সক্রিয়ভাবে তাদের প্রতিহত করি। আবার অনেকেই বলে যে প্রবাসে রাজনীতি করে লাভ কি? আমি তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটাই কথা বলবো, প্রবাসীরা যেমন রেমিটেন্স দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করছে ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকাও রাখছে। পাশাপাশি আমি ধন্যবাদ জানাই সকল মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিকদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আজকে সুন্দর একটি সম্বলিত কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম