স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৫টায় মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্য সতর্কতা গ্রহণ করে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এ সময় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তাহসিনা আফরিন শারমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও ১৫ আগস্টের ভয়াল কালো রাতে শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার, মিশন উপপ্রধান হারুণ আল রাশিদ, প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম। দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রেদোয়ান আহমেদ শেখ কামালের জীবনী নিয়ে ‘শেখ কামাল : স্বাধীন বাংলার সমাজ পরিবর্তনের হারিয়ে যাওয়া নায়ক’ শীর্ষক সংকলন পাঠ করেন।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্ষণজন্মা তরুণ শেখ কামাল সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের জনক শেখ কামাল দেশের ফুটবলে রীতিমত বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলেন। দূরদর্শিতা আর আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয়ে ফুটবলে তিনি রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন গোটা উপমহাদেশে।
শেখ কামালকে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের একজন আইকন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন একটা দেশে তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যা যা করার দরকার, শেখ কামাল তার সবই করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ‘স্পন্দন’ নামে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি ব্যান্ডদল গঠন করেছিলেন। বাংলাদেশে আধুনিক সঙ্গীতের সূচনাও তিনি করেছিলেন। তিনি ছিলেন সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল অসাধারণ মানুষ। বিনয় দিয়ে যেকোনো বৈরী পরিবেশকে যে স্বাভাবিক করা যায়, সেটা শেখ কামাল সব সময় দেখিয়েছেন।
আলোচনা শেষে শহীদ শেখ কামালের কর্ম ও জীবনী নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও ১৫ আগস্টের ভয়াল কালো রাতে শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই