১৯৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণে ক্যাম্বেলটাউন এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠকগণ ঐকমতে পৌঁছেছেন।
গত ১৫ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭ টায় সিডনির মিন্টোস্থ ‘খাদেমস ডাইন’ রেঁস্তোরায় ঐ এলাকায় ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠার জন্য এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযাদ্ধা মিজানুর রহমান তরুন এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভার শুরুতে মো: শফিকুল আলম এই সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। এরপর আব্দুল জলিল ও বিডি হাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খান রতন যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন। সভার শুরুতে স্থপতি মনিরুজ্জামান শিপন তার প্রস্তাবিত মনুমেন্ট প্রকল্পের বিশদ ব্যাখ্যা দেন যা ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলে জমা দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি’র উপর আলোচনা করার জন্য সম্প্রতি একটি সভাও আগামী ২০ জুন আহ্বান করা হয়েছে।
এরপর সভায় উপস্থিত বক্তারা নিজ নিজ অভিমত তুলে ধরেন। সভায় ঐ এলাকার সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাদের মধ্যে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের বর্তমান সভাপতি মশিউর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আশফাকুর রহমান, সহ সভাপতি ফয়সাল খালিদ শুভ, কালচারাল সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ সিদ্দীক, শাহীন, প্রাক্তন সভাপতি শাহ আলম সৈয়দ, কৃষিবিদ আব্দুল জলিল, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার মন্জু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ড: নিজাম আহন্মেদ, ড: রফিকুল ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন, বিডি হাবের সভাপতি আবুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খান রতন, মাল্টিকালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম, নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, বাউ এ্যালামনাইর সভাপতি ড: আনোয়ারুল ইসলাম বকশী, যুগ্ম সম্পাদক ড: আসাদুজ্জামান সেলিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক খন্দকার মালিক শাফী জাকি, ক্যাম্বেলটাউন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি ইকবাল ফারুক, জাবির সংগঠক মাহফুজুল চৌধুরী খসরু, সমাজসেবক এ কে এম হক, মাহি খান, বিশিষ্ট নারী নেত্রী এলিজা টুম্পা, ইব্রাহীম খলিল মাসুদ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আউয়াল খান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ইতোপূর্বে এই স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে বাংলা প্রসার কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আবুল সরকার, ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল, সিডনি বাঙ্গালি কমিউনিটি ইনক এর সংগঠক আবু তারিক, সেলিমা বেগম, ও বাউস এর প্রাক্তন সভাপতি ঈসমাইল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর হোসেনের উদ্যোগকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। ভবিষ্যতে তাদেরকেও এই মহান কাজে সংশ্লিষ্ট রেখেই আগামীদিনের কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে। সভায় একাত্বতা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাবুব চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত সকল বক্তা দৃঢ়ভাবে ঐ এলাকায় সকলের সহযোগিতায় ভাষা শহীদদের স্মরণার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
তারা এও ব্যক্ত করেন সাম্প্রতিক সময়ে স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে যে সভা আহ্বান করা হয়েছে তার তারিখ পুন:নির্ধারণ ও সকলের উপস্থিতিতে একটি বৃহত্তর সভা আয়োজন করতে হবে। তাহলেই আমাদের এই দাবি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ