২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৫

অ্যাটর্নি রাজ ভাট্টার চেষ্টায় মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পেলেন নেপালী বুডা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

অ্যাটর্নি রাজ ভাট্টার চেষ্টায় মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পেলেন নেপালী বুডা

অ্যাটর্নি দিল্লী রাজ ভাট্টা

নিরাপদে বসবাস করে উজ্বল ভবিষ্যত রচনার স্বপ্নে আমেরিকার মাটিতে পা রাখার তিন মাসের মাথায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন নেপালী বুডা। গ্রীণকার্ডের আশায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন তিনি। সেটি বিবেচনাধীন থাকাবস্থায়ই দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ মামলায় জিতে বিপুল অর্থের মালিক হবার ক্ষেত্রে আইনগত সহায়তা দিয়েছেন কমিউনিটির সুপরিচিত অ্যাটর্নি দিল্লী রাজ ভাট্টা। ভাট্টার মালিকানাধীন ‘ভাট্টা ল’ অ্যান্ড হারবাট’র পক্ষে এই মামলায় জয়ী হতে যাবতীয় সহায়তা দিয়েছেন এই ফার্মে বাংলাদেশী লিগ্যাল এডভাইজার শামিম শাহেদ। 

শুক্রবার শামিম শাহেদ বলেন, বুডা একজন ফুড ডেলিভারি ম্যান, নেপালি নাগরিক। ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। কিছুদিন নিরুদ্দেশ ঘুরে বেড়ানোর পর যুক্ত হন ফুড ডেলিভারির কাজে। এমনই একদিন খাবার সরবরাহ করার সময় নিউইয়র্কে রাস্তার মধ্যেই তাকে আঘাত করে একটি সেনিটেশন-ট্রাক। আহত হন বুডা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই শরনাপন্ন হন ভাট্টা ল অ্যান্ড হারবার্ট-এর। বিভিন্ন অ্যাক্সিডেন্ট কেসে আহতদের অধিকার আদায়ে কাজ করে ভাট্টা ল’ এবং হারবার্ট। তারপরই ঘটনা পাল্টে যেতে থাকে একে একে। আহত বুডার পক্ষ হয়ে আইনি লড়াই চালাতে থাকে এই ফার্ম। তারা একটি অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড পারসনাল ইনজুরি কেস ফাইল করেন। বুডা-র আহত হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ চান। রিসার্চের কাজটি করতে হয় আমাকেই। নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে অ্যাক্সিডেন্টের শিকার বুডা-র হয়ে কেইস জিতে যান ভাট্টা ’ল অ্যান্ড হারবার্ট। তারপর বুডা-র জন্য পুরো আমেরিকাই যেন এক স্বপ্নপুরি। সময় পেড়িয়ে বুডা বিজয়ী হন এক মিলিয়ন ডলার। 
কেমন লাগছে আপনার-প্রশ্ন করতেই বুডার উত্তর, ‘খুবই ভালো লাগছে। সবচেয়ে ভালো লাগছে এই জন্য যে, আমি এক মিলিয়ন ডলার জিতেছি কিন্তু আমার এক পয়সাও খরচ করতে হয়নি।’

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে ভাট্টা ’ল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস এর কর্ণধার দিল্লী রাজ ভাট্টা বলেন, ‘ সেনিটেশন ট্রাকটি বুডাকে আঘাত করার পর কেস করে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টকে এক মিলিয়ন ডলার আদায় করে দিতে পেরেছি। তার অ্যাসাইলাম আবেদনের কেসটাও আমরা দেখছি। আশাকরি সেটাতেও বুডা বিজয়ী হবেন। অর্থাৎ আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাবেন।’ 

অ্যাক্সিডেন্ট কেসে এই বিজয়ের কারণ কি তা জানতে চাইলে ভাট্টা-র উত্তর, ‘অ্যাক্সিডেন্ট কেসে আমাদের টিম-টা বেশ অভিজ্ঞ। বেশ বড় একদল অ্যাটর্নি আমাদের সাথে যুক্ত। আমরা অনেকগুলো পারসোনাল ইনজুরি কেস নিয়ে কাজ করছি। আমরা নিখুঁত ভাবে কেসের বিভিন্ন দিক যাচাই করি। এবং নিশ্চিত করার চেষ্টা করি যে, সবার প্রতি সুবিচার হয়েছে।’ 

মার্কিন আইন নিয়ে গবেষণারত শামীম শাহেদ বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ আছেন যাদের কোনো লিগ্যাল ডকুমেন্ট নাই অর্থাৎ তারা কাগজপত্রহীন অভিবাসী। কিন্তু তারাও সমান ভাবে তাদের প্রাপ্য বুঝে পেতে পারেন। ফলে কোনো অ্যাক্সিডেন্টে পড়লে লিগ্যাল ডকুমেন্ট আছে কি নাই সেদিকে লক্ষ না করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া জরুরি। বুডার বিজয় সেটা আবারো প্রতিষ্ঠিত করল।’

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর