দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই বিপুলসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে নিউইয়র্ক অঞ্চলের মসজিদসমূহে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ এপ্রিল সোমবার প্রতিটি মসজিদের ভেতরে দুয়ের অধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ কামনা করা হয়।
ওয়াশিংটন মেট্র, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, লসএঞ্জেলেস, ফিনিক্স, বস্টন, কানেকটিকাট, ওহাইয়ো, শিকাগো থেকে যথাযথ মর্যাদায় ঈদ উদযাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, এলমহার্স্টে মসজিদ আল তৌফিক, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, আল আমান মসজিদ, মসজিদ মারজান, আল আমিন মসজিদ, বেলাল মসজিদ, ব্রুকলীন ইসলামিক সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদে বড় আকারের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বৃষ্টি থাকায় এবার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে সর্ববৃৎ ঈদ জামাত এলাকার খোলা মাঠে করা সম্ভব না হলেও জামাতের প্রস্তুতি লগ্নে বৃষ্টির তাণ্ডব কমলে মসজিদের বাইরের রাস্তাতেও মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।
এদিকে, মুসলিম আমেরিকানসহ সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মুবারক’ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনী ব্লিঙ্কেন ২ এপ্রিল সোমবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ মাসের শেষার্ধে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ঈদ-উৎসবের আয়োজন করা হবে। সেখানে মুসলিম দেশসমূহের সকল কূটনীতিক ছাড়াও মুসলিম আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্বকারি বিশিষ্টজনরাও থাকবেন। উল্লেখ্য, ঈদের দিনই হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদ-উৎসব।
প্রতিটি ঈদ জামাতেই করোনা থেকে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পরম করুণাময়ের দয়া প্রার্থনার পাশাপাশি বিশ্বকে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে মুক্ত থাকার জন্যেও সৃষ্টিকর্তার করুণা কামনা করা হয়। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ঈদ জামাতে মূলধারার নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মুনিরুল ইসলামসহ কম্যুনিটির বিশিষ্টজনের আধিক্য ছিল বলে জানান সাংবাদিক শাহ ফারুক। নতুন প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে ৫ হাজারের অধিক মুসল্লী একত্রে ঈদ জামাতে অংশ নেন। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল