আমার এক প্রতিবেশী বললেন, আজকাল অফিস, বাজারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে রাস্তা। আমি বললাম, রাস্তা জিনিসটা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তো হঠাৎ এ কথা কেন? প্রতিবেশী বললেন, রাস্তাকে গুরুত্বপূর্ণ বলার কারণ হচ্ছে, অফিস, হাটবাজার কখন বন্ধ থাকবে, সেটা আগে থেকে জানা যায়। কিন্তু কোন রাস্তা কখন বন্ধ থাকবে, সেটা কারও পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। এই দেখলেন অমুক রাস্তাটা দিয়ে জোরসে গাড়িঘোড়া চলছে, একটু পরেই দেখবেন বন্ধ। খোঁড়াখুঁড়ি চলছে নাকি মিটিং-মিছিল কে জানে। আমি বললাম, এই দুরবস্থা থেকে বাঁচার উপায় কী? প্রতিবেশী বললেন, বাঁচার একটাই উপায়, স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক, সবার সম্পর্ক যদি এমন হয়, তাহলে উপায় নেই। জ্যামে বসে থাকতে থাকতে জান তামা তামা হয়ে যাবে। আমি বললাম, আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না। প্রতিবেশী বললেন, আমার স্ত্রীর জন্য আমি বাসায় এক ঘণ্টাও টিকতে পারি না। খালি কথা শোনায়। বাধ্য হয়েই আমাকে রাস্তায় বের হতে হয়। এমতাবস্থায় যদি রাস্তা বন্ধ থাকে আর জ্যামে পড়ি, বুঝতেই পারছেন অবস্থাটা কী দাঁড়ায়। অথচ স্ত্রীর সঙ্গে যদি সুসম্পর্কটা থাকত, সারা দিন ঘরে বসে ফুসুরফাসুর করতে পারতাম না? খুব প্রয়োজন না হলে রাস্তায় বের হতে হতো? আমি আমতা আমতা করে বললাম, না, ঠিক আছে আপনার কথা। কিন্তু এটা তো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। বিভিন্ন কাজে রাস্তায় তো আমাদের বের হতেই হবে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা যদি এমন থাকে... প্রতিবেশী আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, রাস্তা বন্ধ বিষয়টা একটু পজিটিভলি চিন্তা করেন। যেহেতু আমার দাবি পূরণ হয়নি, অতএব রাস্তা বন্ধ থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। আমি তো মনে করি রাস্তা বন্ধ থাকাটা জরুরিও বটে। আমি বললাম, আপনার দাবি মানে? আপনি আবার কীসের দাবি দাওয়া পেশ করলেন? কবে পেশ করলেন? প্রতিবেশী বললেন, পেশ তো করেছি আরও ম্যালাদিন আগেই। দাবিটা হচ্ছে বেল্টের দাবি। আমি বললাম, বেল্টের জন্যও দাবি জানাতে হয়? একটা বেল্ট কতই বা? কিনে দিলেই পারেন। ২০০ টাকা লাগবে। তবে ২০০ টাকাও যদি আপনার কাছে বেশি মনে হয়, প্যান্টের পরিবর্তে পায়জামা পরতে পারেন। পায়জামা পরলে বেল্ট লাগে না। প্রতিবেশী এবার খেঁকিয়ে উঠলেন। বললেন, কথা না বুঝে কথা বলেন কেন? আমি কি প্যান্টের বেল্টের কথা বলেছি? আমি বলেছি রিকশার বেল্টের কথা। গাড়িতে যেমন বেল্ট সিস্টেম থাকে, রিকশায়ও থাকতে হবে, এমন একটা দাবি জানিয়ে রেখেছিলাম। পূরণ হয়নি। আমি বললাম, এই হাস্যকর দাবি পূরণ হবে, এই আশা আপনি কীভাবে করেন? প্রতিবেশী বললেন, হাস্যকর দাবি না ভাই। রিকশায় উঠলেই আমার ঘুম আসে। চলন্ত রিকশায় ঘুমালে কী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বুঝতেই পারছেন। এই জন্য বেল্টটা হলে নিরাপদ আরকি। আমি বললাম, সব ঠিক আছে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ নিয়ে যেখানে কথা হচ্ছে, সেখানে ওই বেল্টের প্রসঙ্গ কেন টেনে আনলেন? প্রতিবেশী বললেন, না, মানে রাস্তা বন্ধের কারণে রিকশায় নিরাপদে ঘুম দেওয়া যায়। বেল্ট না থাকলেও পড়ে যাওয়ার ভয়টা থাকে না। আমি বললাম, এগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা। প্রাসঙ্গিক কথা বলুন। প্রতিবেশী বললেন, প্রাসঙ্গিক কথা হচ্ছে, রাস্তা বন্ধ থাকলে পায়ে হাঁটার অভ্যাস করুন।
শিরোনাম
- ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
- বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার চেষ্টা, শাহজালালে একজন আটক
- রাজধানীতে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে জখম, ভিডিও ভাইরাল
- তেজগাঁওয়ে পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল দিনমজুরের
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ মে)
- হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেল লখনৌ
- এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনা খরচে হজের আমন্ত্রণ সৌদির
- বাংলাদেশকে হারিয়ে আরব আমিরাতের ইতিহাস
- বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার মামলার আপিল করলেন ফয়জুল করিম
- টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস
- তামিম-হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের রানের পাহাড়
- ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি
- যে কারণে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেই সেঞ্চুরিয়ান ইমন
- নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারগুলো গুরুত্ব দিচ্ছি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ
- ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে: মীর হেলাল
- অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি : ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
- পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই : হাসনাত
- আজকালের মধ্যে ইশরাকের শপথ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করতে হতে পারে : সালাহউদ্দিন
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই সেঞ্চুরিয়ান ইমন