শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৭ আগস্ট, ২০১৫

প্রবন্ধ

রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

প্রবীর বিকাশ সরকার
প্রিন্ট ভার্সন
রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক কাজুও আজুমা জাপান-বাংলা সাংস্কৃতিক বন্ধনের নবরূপকার এবং মৈত্রীর প্রতীক। রবীন্দ্রনাথের জাপানি ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য। কিন্তু তাদের মধ্যে কাজুও আজুমা যেভাবে গুরুদেবকে অনুধাবন করেছিলেন এমনটি আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না শতবর্ষের ব্যবধানেও। কী পেয়েছিলেন তিনি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে? যার বাড়িতে ১০ হাজার বাংলা গ্রন্থের মধ্যে অধিকাংশই ছিল রবীন্দ্রনাথবিষয়ক। যখনই গিয়েছি দেখেছি টেবিলে মাদাম কেইকো আজুমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কিছু লিখছেন। রবীন্দ্রনাথের বই হাতের কাছে। দুজনেই ছিলেন বাংলা ভাষার অসম্ভব গুণমুগ্ধ ভক্ত। বাংলা ভাষার ছন্দ কাজুও আজুমাকে রবীন্দ্রনাথে আকৃষ্ট হওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছিল।

শুধু কী সুললিত ছন্দের কারণে রবীন্দ্রনাথকে ভালোবেসেছিলেন তিনি? আদৌ তা নয়। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'রবীন্দ্রনাথের জন্য বাংলা ভাষা শিখেছি। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়তাম। অনেকে বলতেন, মূল বাংলা থেকে পড়লে আরও ভালো হয়। Indian Philosophy থেকেই বাংলা ভাষা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের রচনাকে জানার উৎসাহে বাংলা শেখা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে মনে হলো বাংলা ভাষা মধুর ভাষা। ছন্দ চমৎকার। পরে জানতে পারলাম যে, অনেক রকম ছন্দ আছে। মিষ্টি মনে হলো। ব্যাকরণ আরও ভালোভাবে শিখব। আমি সংস্কৃত ভাষা শিখেছি। কলকতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত 'বাংলা ব্যাকরণ' প্রকাশ করেছি। এটি জাপান-ভারত সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।' (প্রসঙ্গ কাজুও আজুমা, স্মারক গ্রন্থ, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ৫৪।)

১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট টোকিওতে জন্ম কাজুও আজুমা কৈশোরেই রবীন্দ্ররচনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখে টোকিওতে সাড়ে তিন ঘণ্টার মার্কিনি যুদ্ধবিমানের চিরুনি আক্রমণে এক লাখ লোক মারা গিয়েছিল। পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছিল অগণিত নিরপরাধ মানুষ। কাজুও আজুমার বিদ্যালয়েও বোমা পড়েছিল। বোমার আগুনে আর ধোঁয়ায় ১২০ জন মারা যায়। তাদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে সৎকারের কাজ করেন কিশোর আজুমা।

যুদ্ধের শেষ প্রায়। চারদিকে আগুন, অঙ্গার আর ধ্বংসস্তূপ! ভাত ছিল না, গম ছিল না, নুন ছিল না! চরম দারিদ্র্যাবস্থায় পর্যবসিত কাজুও আজুমাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ অবস্থায় ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর', 'গীতাঞ্জলি' এবং 'রক্তকরবী' পড়ার সুযোগ হয়। এই রচনাগুলো তাকে অভিভূত করে! বিশেষ করে 'ডাকঘর' তাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। 'ডাকঘর' গল্পের অসুস্থ নায়ক 'অমল' কিশোর আজুমাকে এমনই প্রভাবিত করে যে, শেষ বয়সে এসেও তিনি অমলকে ভুলতে পারেননি! একাধিকবার তার সঙ্গে আলাপকালে অমলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। মনে হয় তিনি নিজেকে অমলের মতোই ভাবতেন। অমল যেমন রাজাকে দেখার জন্য প্রতীক্ষায় ছিল, সেই রাজা ছিল অদৃশ্য ভবিতব্য মৃত্যু কিন্তু কাজুও আজুমা নামক জাপানি অমলের চিন্তার রাজা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই রাজা মানবজীবনে সত্যের সন্ধান এবং আধ্যাত্মিক শান্তির পথ সৃজন করেছিলেন। জাপানে থেকে সেই পথের অন্বেষণ করেছিলেন বড় হয়ে কাজুও আজুমা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি পেয়েছিলেন দুজন শিক্ষাগুরুকে- বিশ্বখ্যাত জাপানি ভারততত্ত্ববিদ রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা আর বহুভাষাবিদ রবীন্দ্রসাহিত্যের বিশিষ্ট প্রবীণ অনুবাদক অধ্যাপক ড. শোওকো ওয়াতানাবেকে। অধ্যাপক ওয়াতানাবেই প্রথম মূল বাংলা ভাষা থেকে 'গীতাঞ্জলি' জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি তাকে বলেন রবীন্দ্রনাথকে জানতে হলে মূল বাংলা ভাষার মাধ্যমে জানতে হবে। শিক্ষাগুরুর কাছে রবীন্দ্রনাথের স্বকণ্ঠে আবৃত্ত 'হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থ জাগোরে ধীরে/এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে...' কবিতার রেকর্ড শুনে তিনি বাংলা ভাষার ছন্দ এবং রবীন্দ্রনাথের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এই শিক্ষাগুরুর কাছেই বাংলা ভাষা শিক্ষার শুরু। আর পড়তে থাকেন ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্ররচনাসমূহ। নিজেও প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের আত্মপরিচয়, চণ্ডালিকা, নটীর পূজা, মুক্তধারা প্রভৃতি বিষয়ে।

রবীন্দ্রসাহিত্যের দর্শনই যে ভারতীয় দর্শনের প্রতিচ্ছায়া, তিনি সেটা অনুধাবন করতে থাকেন। প্রকৃতি, মানব এবং শান্তির আরাধনাই যে চিরকালের ভারতীয় উপমহাদেশের আদর্শগত আধ্যাত্মিক পথ এবং এই পথই যে তাকে আহ্বান করছে এটাও তিনি রবীন্দ্রসাহিত্যের মধ্যদিয়ে গভীরভাবে অনুভব করছিলেন। যুদ্ধপূর্বে বিশিষ্ট জাপানি যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সানি্নধ্যে এসেছিলেন তাদের রচনা, স্মৃতিচারণসমূহে 'শান্তিনিকেতনে'র বিবরণও তিনি পাঠ করে মনে মনে প্রদীপে আলো জ্বালানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। জাপানে শত বছর ধরেই রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতন সমার্থক আর ভারত মানেই যে বাংলা অঞ্চল এই বাস্তবতাও তিনি অনুধাবন করতে পারছিলেন।

পঞ্চাশের দশক। যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান। বেকারত্ব, অভাব, অনটন তীব্রতর। সেই সময় হয়তোবা রবীন্দ্রনাথের প্রভাবেই কাজুও আজুমা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি গ্যেটের (১৭৪৭-১৮৩২) সাহিত্যরচনা পড়া শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ গ্যেটেকে শ্রদ্ধা করতেন। মূল জার্মান ভাষায় গ্যেটেকে বোঝার জন্য তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষা শিখলেন। ১৯৫৭ সালে এই ভাষা বিষয়ে বিএ ডিগ্রি অর্জন করলেন। ১৯৫৯ সালে অর্জন করলেন ভারতীয় দর্শন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি। ১৯৬০ সালে জার্মান সাহিত্য ও ভাষায় এমএ ডিগ্রি নিলেন। একটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ও জার্মানি' নামে।

কর্মজীবনে প্রবেশ করলেন ১৯৬১ সালে য়োকোহামা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার প্রভাষক হিসেবে। ১৯৬৫ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হলে পরে তার জীবনে সুযোগ এলো বিদেশে গিয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার জন্য। জার্মানিতে যখন যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন তখন শিক্ষাগুরু নাকামুরা হাজিমের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার আমন্ত্রণও এলো। তখনকার বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের অধ্যাপক তাৎসুও মোরিমোতোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মূল কারণ রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক শান্তির পথে হাঁটা আর বাংলা ভাষাকে আরও গভীরভাবে জানা। উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে বিশ্বভারতীতে জাপানি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে সপরিবার অধ্যাপক কাজুও আজুমা জাপান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে শান্তিনিকেতনে গেলেন আনন্দচিত্তে।

শান্তিনিকেতন এবং বাংলা অঞ্চল তাকে আর তার পত্নী আরেক রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ মাদাম কেইকো আজুমাকে চিরদিনের জন্য 'গুরুদেব' এমনভাবে আধ্যাত্মিক বন্ধনে বেঁধে ফেললেন যে, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত 'গুরুদেব' ছিলেন কাজুও আজুমার সাহিত্যজীবনের আদর্শই শুধু নয়, তার অন্তরের রাজা বা জীবনদেবতা। ২০১১ সালের ২৮ জুলাই অধ্যাপক আজুমার মহাপ্রয়াণের পর তার মহীয়সী স্ত্রী মাদাম কেইকো আজুমা 'গুরুদেব'কে নিয়ে অক্লান্ত ভেবে চলেছেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বাঁধা পড়েছিলেন দুজনে রবীন্দ্রসাহিত্যের কারণেই। কেইকো আজুমা রবীন্দ্রনাথের 'বলাকা' কাব্যগ্রন্থের ওপর গবেষণালব্ধ অভিসন্দর্ভের বিনিময়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ভারততত্ত্ববিদ, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় দর্শনের অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত তোওহোও গাকুয়েন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার শিক্ষক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখেছেন, তার 'গল্পসল্প' (১৯৪১) অনুবাদ করেছেন এবং রবীন্দ্রসংগীতের চর্চাও করেছেন। কেইকো আজুমা ব্যতিরেকে অধ্যাপক কাজুও আজুমার ইতিহাস অসম্পূর্ণ।

শান্তিনিকেতনের গ্রাম্য পরিবেশ, বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ অধ্যাপক আজুমাকে আমূল পরিবর্তন করে দেয় বললে অত্যুক্তি হবে না। শান্তিনিকেতনে তিনি তার ছেলেবেলাকার গ্রামীণ পরিবেশকে খুঁজে পেয়েছিলেন। স্থানীয় ভাষার জটিলতা, রুক্ষ-রুদ্র আবহাওয়া, মানুষের ঈর্ষাজনিত আচার-আচরণ সবকিছুকেই অধ্যাপক আজুমা আরাধ্য ঈশ্বর রবীন্দ্রনাথের মহানশিক্ষার আলোকে জয় করে গেছেন। শান্তিনিকেতন, তৎসংলগ্ন সাঁওতাল গ্রাম, কলকাতা এবং বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট সর্বত্র তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয় 'আজুমাসান' নামক এক সর্বদা হাস্যরসিক অসাধারণ অমায়িক মানুষ হিসেবে। জীবনের ৪০ বছরের অধিককাল তিনি শান্তিনিকেতন, কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সংস্কৃতি গবেষণায়, সাধনায় নিমগ্ন থেকেছেন। এমন ঘটনা বাস্তবিকই বিরল!

জীবনে একদিনের জন্যও যে তিনি গুরুদেবকে ভুলে থাকতে পারেননি তার প্রমাণ তার বিপুল কর্মযজ্ঞ। ১৯৭১ সালে শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে আসার পর অতিরিক্ত সময় অবস্থানের কারণে য়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাকরিটি হারান। বছরখানেক ব্যয়বহুল জাপানে দুঃখদৈন্যে কাটান। এসময় সমমনা বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন 'একলা চলোরে' নাম একটি সংগঠন গুরুদেবকে স্মরণে রেখেই। অন্তরে যার রবীন্দ্রনাথ নামক রাজেশ্বর বাস করেন তিনি কী কোনো সংকটকে তোয়াক্কা করতে পারেন? গুরুদেবকে কেন্দ্র করে গঠন করেন 'জাপান টেগোর সমিতি'। সভাপতি হন একদা রবীন্দ্রসুহৃদ অধ্যাপক ৎসুশোও বিয়োদোও, উপদেষ্টা হন আজীবন রবীন্দ্রভক্ত ও তার দোভাষী স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক নারীমুক্তি আন্দোলনের নেত্রী মাদাম তোমি কোরা (১৮৯৬-১৯৯৩) আর তিনি হন সাধারণ সম্পাদক। উদ্দেশ্য, রবীন্দ্রনাথের বাণী যুদ্ধবিধ্বস্ত শান্তির অন্বেষক জাপানে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে ১৯০২ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত মনীষী ওকাকুরা তেনশিন (১৮৬৩-১৯১৩) এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তথা জাপান-বাংলা শিক্ষা-সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারাকে অব্যাহত রাখা।

এই সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পূর্ববাংলায় স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। পূর্ববাংলা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের জন্মস্থান, শ্বশুরবাড়ি এবং বহুমূল্যবান স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ভূমি। সুতরাং উদ্যোগী হলেন জাপানে জনসমর্থন এবং ভারতে আশ্রিত লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহে। চাঁদা তুলে পাঠালেন ভারতে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে মর্যাদাসম্পন্ন ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান সফরে এলে তিনি ছিলেন তার সার্বক্ষণিক দোভাষী। তারা হয়ে ওঠেন পরস্পরের গভীর বন্ধু। রবীন্দ্রনাথের পরম ভক্ত শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথের গান 'আমার সোনার বাংলা'কে করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত- এটা ছিল অধ্যাপক আজুমার কাছে অভূতপূর্ব ঘটনা! তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের জাপানি অনুবাদক, অনুবাদক ভারতীয় জাতীয় সংগীতেরও।

কর্মবীর অধ্যাপক আজুমার জীবন নানা গুণে, কর্মে ও লক্ষ্যে অতুলনীয়। পঞ্চাশের দশক থেকে যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখালেখি, গবেষণা এবং অনুবাদের কাজ করছিলেন তার ছেদ পড়েনি ২০০৬ সালে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে গুরুদেবের প্রতি শেষ প্রণতি 'তাগো-রু' বা 'টেগোর' গ্রন্থটি লেখা পর্যন্ত। ইংরেজি, জাপানি এবং বাংলা মিলিয়ে রবীন্দ্রবিষয়ক তার বিস্তর প্রবন্ধ জাপান, ভারত-বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একক আর কোনো জাপানি রবীন্দ্রভক্ত এত লেখা লিখেননি জীবদ্দশায়। রবীন্দ্রনাথবিষয়ক তার কালজয়ী গ্রন্থ তাগো-রু : জিনরুই নো চিতেকি ইসান (টেগোর : মানবজাতির বুদ্ধিতাত্তি্বক সম্পদ, জাপানি, ১৯৮১, টোকিও), গোরা (বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮২, টোকিও), রবীন্দ্রচিত্রকলা : রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা/সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (নাওকি নিশিওকা ও মাসাইউকি উসুদাসহ অনুবাদ বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮৮, টোকিও), ভারত-ভ্রমণ দিনপঞ্জি/কাম্পো আরাই (অনুবাদ জাপানি থেকে বাংলা, ১৯৯৩, কলকাতা), শিকড়ের সন্ধানে/এম এইচ কবীর (বাংলা থেকে জাপানি অনুবাদ, ১৯৯৫, টোকিও), শিতোকু হরির দিনপঞ্জি (জাপানি থেকে বাংলায় অনুবাদ, ১৯৯৬, কলকাতা), উজ্জ্বল সূর্য (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৬), প্রসঙ্গ : রবীন্দ্রনাথ ও জাপান (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৮), জাপান, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র ও অন্যান্য (বাংলা, কলকাতা, ২০০০), জাপান ও রবীন্দ্রনাথ : শতবর্ষের বিনিময় (বাংলা, কলকাতা, ২০০৪), তাগো-রু : শি. শিসোও. শোওগাই (টেগোর : কবিতা, চিন্তা, জীবন; জাপানি, ২০০৬, টোকিও) উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া 'চলন্তিকা'র (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ, 'গীতাঞ্জলি'র ছন্দ, রাজা রামমোহন রায়ের 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' নিয়ে শ্রমলব্ধ গবেষণা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য সপ্তাহ'র প্রবন্ধসমূহের (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ অমূল্য সাহিত্যসম্পদ।

একমাত্র গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের জন্য অধ্যাপক কাজুও আজুমা যেভাবে নিঃস্বার্থ নিরলস কাজ করে গেছেন তার তুলনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার বিপুল কর্মযজ্ঞের দিকে তাকালে মেনে নিতে কষ্ট হয় না যে, তিনি রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও সাহিত্যের দিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আকৃষ্ট এবং গবেষণা করার লক্ষ্যে একাধিক মহৎ কাজের পুণ্যব্রত নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে 'নিপ্পন ভবন' প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গুরুদেবের 'স্বপ্ন'কে পূরণ করেছেন। মূলত তারই উদ্যোগে ১২ খণ্ডে জাপানি ভাষায় রবীন্দ্ররচনাবলি প্রকাশিত হয়েছে, যা এক কথায় অসামান্য কাজ! ২০০৭ সালে কলকাতার সল্টলেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'জাপান-ভারত সংস্কৃতি কেন্দ্র : রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন'। অনুরূপ বাংলাদেশের সিলেট জেলার বড়লেখা উপজেলায় 'বাংলাদেশ-জাপান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' গড়ে তোলার পরিকল্পনাস্বরূপ সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তার এক ঘনিষ্ঠজন দারাদ আহমেদকে কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি, সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাৎ করে পালিয়েছে সেই দুর্বৃত্ত।

জীবনে অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা অর্জন করেছেন রবীন্দ্র অনুরাগী অধ্যাপক কাজুও আজুমা তার অসামান্য কীর্তিকর্মের মূল্যায়নস্বরূপ। ২০০০ সালে বিশ্বভারতী ভূষিত করেছে 'দেশিকোত্তম' সম্মানে, ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদান করেছে 'রবীন্দ্র পুরস্কার', ২০০৮ সালে জাপান সরকার সম্মানিত করেছে রাষ্ট্রীয় পদক 'ক্কোকা কুনশোও' প্রদান করে। এছাড়া রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির লালবাহাদুর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দিয়েছে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি। 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য'রূপে তাকে বরণ করেছে টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি তাকে দিয়েছে রিসার্চ ফেলোশিপ সম্মান।

 

এই বিভাগের আরও খবর
জার্নাল
জার্নাল
পাহাড়
পাহাড়
বুকের ভিতর ময়ূর নাচে
বুকের ভিতর ময়ূর নাচে
শাড়ির আঁচলে বাঁধা জীবন
শাড়ির আঁচলে বাঁধা জীবন
পাশে থাকা
পাশে থাকা
আমাদের কিছুই হলো না
আমাদের কিছুই হলো না
অন্তর্দৃষ্টি
অন্তর্দৃষ্টি
একটি বেদনার গল্প
একটি বেদনার গল্প
প্রস্থানবিন্দু
প্রস্থানবিন্দু
আকাল
আকাল
এবং দিনাজপুর
এবং দিনাজপুর
আকাশবাদ
আকাশবাদ
সর্বশেষ খবর
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
বোয়ালমারীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোলিংয়ে রাবেয়া-ফাহিমার উন্নতি, ব্যাটিংয়ে মোস্তারির
বোলিংয়ে রাবেয়া-ফাহিমার উন্নতি, ব্যাটিংয়ে মোস্তারির

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কক্সবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালক গ্রেফতার
কক্সবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে ১১ জেলেকে লাখ টাকা জরিমানা
বরিশালে ১১ জেলেকে লাখ টাকা জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেক্সিকোর অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
মেক্সিকোর অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিদিন অতিরিক্ত হাঁটা কি বিপজ্জনক?
প্রতিদিন অতিরিক্ত হাঁটা কি বিপজ্জনক?

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বৃদ্ধার আত্মহত্যা
পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বৃদ্ধার আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজার সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের
গাজার সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১০ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

২২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

২১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক