শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৭ আগস্ট, ২০১৫

প্রবন্ধ

রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

প্রবীর বিকাশ সরকার
প্রিন্ট ভার্সন
রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক কাজুও আজুমা জাপান-বাংলা সাংস্কৃতিক বন্ধনের নবরূপকার এবং মৈত্রীর প্রতীক। রবীন্দ্রনাথের জাপানি ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য। কিন্তু তাদের মধ্যে কাজুও আজুমা যেভাবে গুরুদেবকে অনুধাবন করেছিলেন এমনটি আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না শতবর্ষের ব্যবধানেও। কী পেয়েছিলেন তিনি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে? যার বাড়িতে ১০ হাজার বাংলা গ্রন্থের মধ্যে অধিকাংশই ছিল রবীন্দ্রনাথবিষয়ক। যখনই গিয়েছি দেখেছি টেবিলে মাদাম কেইকো আজুমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কিছু লিখছেন। রবীন্দ্রনাথের বই হাতের কাছে। দুজনেই ছিলেন বাংলা ভাষার অসম্ভব গুণমুগ্ধ ভক্ত। বাংলা ভাষার ছন্দ কাজুও আজুমাকে রবীন্দ্রনাথে আকৃষ্ট হওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছিল।

শুধু কী সুললিত ছন্দের কারণে রবীন্দ্রনাথকে ভালোবেসেছিলেন তিনি? আদৌ তা নয়। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'রবীন্দ্রনাথের জন্য বাংলা ভাষা শিখেছি। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়তাম। অনেকে বলতেন, মূল বাংলা থেকে পড়লে আরও ভালো হয়। Indian Philosophy থেকেই বাংলা ভাষা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের রচনাকে জানার উৎসাহে বাংলা শেখা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে মনে হলো বাংলা ভাষা মধুর ভাষা। ছন্দ চমৎকার। পরে জানতে পারলাম যে, অনেক রকম ছন্দ আছে। মিষ্টি মনে হলো। ব্যাকরণ আরও ভালোভাবে শিখব। আমি সংস্কৃত ভাষা শিখেছি। কলকতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত 'বাংলা ব্যাকরণ' প্রকাশ করেছি। এটি জাপান-ভারত সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।' (প্রসঙ্গ কাজুও আজুমা, স্মারক গ্রন্থ, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ৫৪।)

১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট টোকিওতে জন্ম কাজুও আজুমা কৈশোরেই রবীন্দ্ররচনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখে টোকিওতে সাড়ে তিন ঘণ্টার মার্কিনি যুদ্ধবিমানের চিরুনি আক্রমণে এক লাখ লোক মারা গিয়েছিল। পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছিল অগণিত নিরপরাধ মানুষ। কাজুও আজুমার বিদ্যালয়েও বোমা পড়েছিল। বোমার আগুনে আর ধোঁয়ায় ১২০ জন মারা যায়। তাদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে সৎকারের কাজ করেন কিশোর আজুমা।

যুদ্ধের শেষ প্রায়। চারদিকে আগুন, অঙ্গার আর ধ্বংসস্তূপ! ভাত ছিল না, গম ছিল না, নুন ছিল না! চরম দারিদ্র্যাবস্থায় পর্যবসিত কাজুও আজুমাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ অবস্থায় ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর', 'গীতাঞ্জলি' এবং 'রক্তকরবী' পড়ার সুযোগ হয়। এই রচনাগুলো তাকে অভিভূত করে! বিশেষ করে 'ডাকঘর' তাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। 'ডাকঘর' গল্পের অসুস্থ নায়ক 'অমল' কিশোর আজুমাকে এমনই প্রভাবিত করে যে, শেষ বয়সে এসেও তিনি অমলকে ভুলতে পারেননি! একাধিকবার তার সঙ্গে আলাপকালে অমলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। মনে হয় তিনি নিজেকে অমলের মতোই ভাবতেন। অমল যেমন রাজাকে দেখার জন্য প্রতীক্ষায় ছিল, সেই রাজা ছিল অদৃশ্য ভবিতব্য মৃত্যু কিন্তু কাজুও আজুমা নামক জাপানি অমলের চিন্তার রাজা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই রাজা মানবজীবনে সত্যের সন্ধান এবং আধ্যাত্মিক শান্তির পথ সৃজন করেছিলেন। জাপানে থেকে সেই পথের অন্বেষণ করেছিলেন বড় হয়ে কাজুও আজুমা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি পেয়েছিলেন দুজন শিক্ষাগুরুকে- বিশ্বখ্যাত জাপানি ভারততত্ত্ববিদ রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা আর বহুভাষাবিদ রবীন্দ্রসাহিত্যের বিশিষ্ট প্রবীণ অনুবাদক অধ্যাপক ড. শোওকো ওয়াতানাবেকে। অধ্যাপক ওয়াতানাবেই প্রথম মূল বাংলা ভাষা থেকে 'গীতাঞ্জলি' জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি তাকে বলেন রবীন্দ্রনাথকে জানতে হলে মূল বাংলা ভাষার মাধ্যমে জানতে হবে। শিক্ষাগুরুর কাছে রবীন্দ্রনাথের স্বকণ্ঠে আবৃত্ত 'হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থ জাগোরে ধীরে/এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে...' কবিতার রেকর্ড শুনে তিনি বাংলা ভাষার ছন্দ এবং রবীন্দ্রনাথের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এই শিক্ষাগুরুর কাছেই বাংলা ভাষা শিক্ষার শুরু। আর পড়তে থাকেন ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্ররচনাসমূহ। নিজেও প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের আত্মপরিচয়, চণ্ডালিকা, নটীর পূজা, মুক্তধারা প্রভৃতি বিষয়ে।

রবীন্দ্রসাহিত্যের দর্শনই যে ভারতীয় দর্শনের প্রতিচ্ছায়া, তিনি সেটা অনুধাবন করতে থাকেন। প্রকৃতি, মানব এবং শান্তির আরাধনাই যে চিরকালের ভারতীয় উপমহাদেশের আদর্শগত আধ্যাত্মিক পথ এবং এই পথই যে তাকে আহ্বান করছে এটাও তিনি রবীন্দ্রসাহিত্যের মধ্যদিয়ে গভীরভাবে অনুভব করছিলেন। যুদ্ধপূর্বে বিশিষ্ট জাপানি যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সানি্নধ্যে এসেছিলেন তাদের রচনা, স্মৃতিচারণসমূহে 'শান্তিনিকেতনে'র বিবরণও তিনি পাঠ করে মনে মনে প্রদীপে আলো জ্বালানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। জাপানে শত বছর ধরেই রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতন সমার্থক আর ভারত মানেই যে বাংলা অঞ্চল এই বাস্তবতাও তিনি অনুধাবন করতে পারছিলেন।

পঞ্চাশের দশক। যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান। বেকারত্ব, অভাব, অনটন তীব্রতর। সেই সময় হয়তোবা রবীন্দ্রনাথের প্রভাবেই কাজুও আজুমা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি গ্যেটের (১৭৪৭-১৮৩২) সাহিত্যরচনা পড়া শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ গ্যেটেকে শ্রদ্ধা করতেন। মূল জার্মান ভাষায় গ্যেটেকে বোঝার জন্য তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষা শিখলেন। ১৯৫৭ সালে এই ভাষা বিষয়ে বিএ ডিগ্রি অর্জন করলেন। ১৯৫৯ সালে অর্জন করলেন ভারতীয় দর্শন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি। ১৯৬০ সালে জার্মান সাহিত্য ও ভাষায় এমএ ডিগ্রি নিলেন। একটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ও জার্মানি' নামে।

কর্মজীবনে প্রবেশ করলেন ১৯৬১ সালে য়োকোহামা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার প্রভাষক হিসেবে। ১৯৬৫ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হলে পরে তার জীবনে সুযোগ এলো বিদেশে গিয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার জন্য। জার্মানিতে যখন যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন তখন শিক্ষাগুরু নাকামুরা হাজিমের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার আমন্ত্রণও এলো। তখনকার বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের অধ্যাপক তাৎসুও মোরিমোতোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মূল কারণ রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক শান্তির পথে হাঁটা আর বাংলা ভাষাকে আরও গভীরভাবে জানা। উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে বিশ্বভারতীতে জাপানি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে সপরিবার অধ্যাপক কাজুও আজুমা জাপান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে শান্তিনিকেতনে গেলেন আনন্দচিত্তে।

শান্তিনিকেতন এবং বাংলা অঞ্চল তাকে আর তার পত্নী আরেক রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ মাদাম কেইকো আজুমাকে চিরদিনের জন্য 'গুরুদেব' এমনভাবে আধ্যাত্মিক বন্ধনে বেঁধে ফেললেন যে, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত 'গুরুদেব' ছিলেন কাজুও আজুমার সাহিত্যজীবনের আদর্শই শুধু নয়, তার অন্তরের রাজা বা জীবনদেবতা। ২০১১ সালের ২৮ জুলাই অধ্যাপক আজুমার মহাপ্রয়াণের পর তার মহীয়সী স্ত্রী মাদাম কেইকো আজুমা 'গুরুদেব'কে নিয়ে অক্লান্ত ভেবে চলেছেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বাঁধা পড়েছিলেন দুজনে রবীন্দ্রসাহিত্যের কারণেই। কেইকো আজুমা রবীন্দ্রনাথের 'বলাকা' কাব্যগ্রন্থের ওপর গবেষণালব্ধ অভিসন্দর্ভের বিনিময়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ভারততত্ত্ববিদ, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় দর্শনের অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত তোওহোও গাকুয়েন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার শিক্ষক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখেছেন, তার 'গল্পসল্প' (১৯৪১) অনুবাদ করেছেন এবং রবীন্দ্রসংগীতের চর্চাও করেছেন। কেইকো আজুমা ব্যতিরেকে অধ্যাপক কাজুও আজুমার ইতিহাস অসম্পূর্ণ।

শান্তিনিকেতনের গ্রাম্য পরিবেশ, বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ অধ্যাপক আজুমাকে আমূল পরিবর্তন করে দেয় বললে অত্যুক্তি হবে না। শান্তিনিকেতনে তিনি তার ছেলেবেলাকার গ্রামীণ পরিবেশকে খুঁজে পেয়েছিলেন। স্থানীয় ভাষার জটিলতা, রুক্ষ-রুদ্র আবহাওয়া, মানুষের ঈর্ষাজনিত আচার-আচরণ সবকিছুকেই অধ্যাপক আজুমা আরাধ্য ঈশ্বর রবীন্দ্রনাথের মহানশিক্ষার আলোকে জয় করে গেছেন। শান্তিনিকেতন, তৎসংলগ্ন সাঁওতাল গ্রাম, কলকাতা এবং বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট সর্বত্র তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয় 'আজুমাসান' নামক এক সর্বদা হাস্যরসিক অসাধারণ অমায়িক মানুষ হিসেবে। জীবনের ৪০ বছরের অধিককাল তিনি শান্তিনিকেতন, কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সংস্কৃতি গবেষণায়, সাধনায় নিমগ্ন থেকেছেন। এমন ঘটনা বাস্তবিকই বিরল!

জীবনে একদিনের জন্যও যে তিনি গুরুদেবকে ভুলে থাকতে পারেননি তার প্রমাণ তার বিপুল কর্মযজ্ঞ। ১৯৭১ সালে শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে আসার পর অতিরিক্ত সময় অবস্থানের কারণে য়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাকরিটি হারান। বছরখানেক ব্যয়বহুল জাপানে দুঃখদৈন্যে কাটান। এসময় সমমনা বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন 'একলা চলোরে' নাম একটি সংগঠন গুরুদেবকে স্মরণে রেখেই। অন্তরে যার রবীন্দ্রনাথ নামক রাজেশ্বর বাস করেন তিনি কী কোনো সংকটকে তোয়াক্কা করতে পারেন? গুরুদেবকে কেন্দ্র করে গঠন করেন 'জাপান টেগোর সমিতি'। সভাপতি হন একদা রবীন্দ্রসুহৃদ অধ্যাপক ৎসুশোও বিয়োদোও, উপদেষ্টা হন আজীবন রবীন্দ্রভক্ত ও তার দোভাষী স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক নারীমুক্তি আন্দোলনের নেত্রী মাদাম তোমি কোরা (১৮৯৬-১৯৯৩) আর তিনি হন সাধারণ সম্পাদক। উদ্দেশ্য, রবীন্দ্রনাথের বাণী যুদ্ধবিধ্বস্ত শান্তির অন্বেষক জাপানে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে ১৯০২ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত মনীষী ওকাকুরা তেনশিন (১৮৬৩-১৯১৩) এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তথা জাপান-বাংলা শিক্ষা-সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারাকে অব্যাহত রাখা।

এই সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পূর্ববাংলায় স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। পূর্ববাংলা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের জন্মস্থান, শ্বশুরবাড়ি এবং বহুমূল্যবান স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ভূমি। সুতরাং উদ্যোগী হলেন জাপানে জনসমর্থন এবং ভারতে আশ্রিত লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহে। চাঁদা তুলে পাঠালেন ভারতে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে মর্যাদাসম্পন্ন ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান সফরে এলে তিনি ছিলেন তার সার্বক্ষণিক দোভাষী। তারা হয়ে ওঠেন পরস্পরের গভীর বন্ধু। রবীন্দ্রনাথের পরম ভক্ত শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথের গান 'আমার সোনার বাংলা'কে করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত- এটা ছিল অধ্যাপক আজুমার কাছে অভূতপূর্ব ঘটনা! তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের জাপানি অনুবাদক, অনুবাদক ভারতীয় জাতীয় সংগীতেরও।

কর্মবীর অধ্যাপক আজুমার জীবন নানা গুণে, কর্মে ও লক্ষ্যে অতুলনীয়। পঞ্চাশের দশক থেকে যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখালেখি, গবেষণা এবং অনুবাদের কাজ করছিলেন তার ছেদ পড়েনি ২০০৬ সালে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে গুরুদেবের প্রতি শেষ প্রণতি 'তাগো-রু' বা 'টেগোর' গ্রন্থটি লেখা পর্যন্ত। ইংরেজি, জাপানি এবং বাংলা মিলিয়ে রবীন্দ্রবিষয়ক তার বিস্তর প্রবন্ধ জাপান, ভারত-বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একক আর কোনো জাপানি রবীন্দ্রভক্ত এত লেখা লিখেননি জীবদ্দশায়। রবীন্দ্রনাথবিষয়ক তার কালজয়ী গ্রন্থ তাগো-রু : জিনরুই নো চিতেকি ইসান (টেগোর : মানবজাতির বুদ্ধিতাত্তি্বক সম্পদ, জাপানি, ১৯৮১, টোকিও), গোরা (বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮২, টোকিও), রবীন্দ্রচিত্রকলা : রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা/সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (নাওকি নিশিওকা ও মাসাইউকি উসুদাসহ অনুবাদ বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮৮, টোকিও), ভারত-ভ্রমণ দিনপঞ্জি/কাম্পো আরাই (অনুবাদ জাপানি থেকে বাংলা, ১৯৯৩, কলকাতা), শিকড়ের সন্ধানে/এম এইচ কবীর (বাংলা থেকে জাপানি অনুবাদ, ১৯৯৫, টোকিও), শিতোকু হরির দিনপঞ্জি (জাপানি থেকে বাংলায় অনুবাদ, ১৯৯৬, কলকাতা), উজ্জ্বল সূর্য (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৬), প্রসঙ্গ : রবীন্দ্রনাথ ও জাপান (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৮), জাপান, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র ও অন্যান্য (বাংলা, কলকাতা, ২০০০), জাপান ও রবীন্দ্রনাথ : শতবর্ষের বিনিময় (বাংলা, কলকাতা, ২০০৪), তাগো-রু : শি. শিসোও. শোওগাই (টেগোর : কবিতা, চিন্তা, জীবন; জাপানি, ২০০৬, টোকিও) উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া 'চলন্তিকা'র (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ, 'গীতাঞ্জলি'র ছন্দ, রাজা রামমোহন রায়ের 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' নিয়ে শ্রমলব্ধ গবেষণা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য সপ্তাহ'র প্রবন্ধসমূহের (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ অমূল্য সাহিত্যসম্পদ।

একমাত্র গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের জন্য অধ্যাপক কাজুও আজুমা যেভাবে নিঃস্বার্থ নিরলস কাজ করে গেছেন তার তুলনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার বিপুল কর্মযজ্ঞের দিকে তাকালে মেনে নিতে কষ্ট হয় না যে, তিনি রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও সাহিত্যের দিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আকৃষ্ট এবং গবেষণা করার লক্ষ্যে একাধিক মহৎ কাজের পুণ্যব্রত নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে 'নিপ্পন ভবন' প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গুরুদেবের 'স্বপ্ন'কে পূরণ করেছেন। মূলত তারই উদ্যোগে ১২ খণ্ডে জাপানি ভাষায় রবীন্দ্ররচনাবলি প্রকাশিত হয়েছে, যা এক কথায় অসামান্য কাজ! ২০০৭ সালে কলকাতার সল্টলেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'জাপান-ভারত সংস্কৃতি কেন্দ্র : রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন'। অনুরূপ বাংলাদেশের সিলেট জেলার বড়লেখা উপজেলায় 'বাংলাদেশ-জাপান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' গড়ে তোলার পরিকল্পনাস্বরূপ সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তার এক ঘনিষ্ঠজন দারাদ আহমেদকে কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি, সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাৎ করে পালিয়েছে সেই দুর্বৃত্ত।

জীবনে অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা অর্জন করেছেন রবীন্দ্র অনুরাগী অধ্যাপক কাজুও আজুমা তার অসামান্য কীর্তিকর্মের মূল্যায়নস্বরূপ। ২০০০ সালে বিশ্বভারতী ভূষিত করেছে 'দেশিকোত্তম' সম্মানে, ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদান করেছে 'রবীন্দ্র পুরস্কার', ২০০৮ সালে জাপান সরকার সম্মানিত করেছে রাষ্ট্রীয় পদক 'ক্কোকা কুনশোও' প্রদান করে। এছাড়া রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির লালবাহাদুর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দিয়েছে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি। 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য'রূপে তাকে বরণ করেছে টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি তাকে দিয়েছে রিসার্চ ফেলোশিপ সম্মান।

 

এই বিভাগের আরও খবর
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
অব্যক্ত আলাপ
অব্যক্ত আলাপ
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
সর্বশেষ খবর
শিবচরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
শিবচরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে, নির্বাচন হবেই : গয়েশ্বর
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে, নির্বাচন হবেই : গয়েশ্বর

৩৪ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

সবজি বাজার থেকে সিংড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির গ্রেফতার
সবজি বাজার থেকে সিংড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির গ্রেফতার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেফতার
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেফতার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনালের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষী
ট্রাইব্যুনালের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষী

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও তত বাড়ছে: দুলু
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও তত বাড়ছে: দুলু

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নেপাল–ভারত ম্যাচ খেলতে কাল দুপুরে আসছেন হামজা
নেপাল–ভারত ম্যাচ খেলতে কাল দুপুরে আসছেন হামজা

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি

১৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজধানীতে ৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার দুই
রাজধানীতে ৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার দুই

২০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে ধানের শীষের প্রচারণায় মহিলা সমাবেশ
সিরাজগঞ্জে ধানের শীষের প্রচারণায় মহিলা সমাবেশ

২৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে জনগণ প্রতিশোধ নেবে’
‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে জনগণ প্রতিশোধ নেবে’

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ধানের শীষে ভোট চেয়ে বরিশালে রিকশার‍্যালি
ধানের শীষে ভোট চেয়ে বরিশালে রিকশার‍্যালি

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নেতা-কর্মী গ্রেফতার ও বন্দর ইজারার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ
নেতা-কর্মী গ্রেফতার ও বন্দর ইজারার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চার কর্মকর্তাকে ওএসডি করল বিসিবি
চার কর্মকর্তাকে ওএসডি করল বিসিবি

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: ইসরাফিল খসরু
নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: ইসরাফিল খসরু

৩৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

শ্রীপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ
সোনারগাঁয়ে স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একা দাঁড়িয়ে ৪০ মিটার ব্রিজ, নেই এপ্রোচ সড়ক
একা দাঁড়িয়ে ৪০ মিটার ব্রিজ, নেই এপ্রোচ সড়ক

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নিরাপদ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলবে : প্রিন্স
বিএনপি নিরাপদ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলবে : প্রিন্স

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

গোয়ালন্দে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
গোয়ালন্দে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
সিদ্ধিরগঞ্জে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু
বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির তিন মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ
শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির তিন মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়ের জন্মকে স্মরণীয় রাখতে ২০০ পরিবারে ফলজ চারা উপহার
মেয়ের জন্মকে স্মরণীয় রাখতে ২০০ পরিবারে ফলজ চারা উপহার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অপসো স্যালাইনের ছাঁটাই শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত
বরিশালে অপসো স্যালাইনের ছাঁটাই শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপির সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না: মফিকুল হাসান তৃপ্তি
বিএনপির সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না: মফিকুল হাসান তৃপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের অর্থনীতির গতি বেড়েছে অক্টোবরে
দেশের অর্থনীতির গতি বেড়েছে অক্টোবরে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইজভান্ডারে মনোবৈজ্ঞানিক সেমিনার
মাইজভান্ডারে মনোবৈজ্ঞানিক সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা
জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন
বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন

প্রথম পৃষ্ঠা