শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

সীমান্ত

সিফাত উদ্দিন
প্রিন্ট ভার্সন
সীমান্ত

শীতের মধ্যরাত। এমনি এক রাতে পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তিক গৃহে উচাটন মনে বিছানাতে শুয়ে কেবল এপাশ-ওপাশ ফিরছে এক তরুণ। কম্বলের ভাগাভাগিতে ঠান্ডা আর উষ্ণতার লুকোচুরি খেলা চলছে। মুখ ঢাকলে পায়ের পাতা জমে যায়। পা ঢাকতে গেলে ঠান্ডায় মুখে দাঁতের পাটি কিড়মিড় করে। শ্যাম রাখি না কূল রাখি! মুখ আর পায়ের যখন টানাহ্যাঁচড়া চলছে তখন সিঁদেল চোরের মতো হিমেল তাপ কম্বলের ফাঁকা আর ফুটো হয়ে যাওয়া পথে প্রবেশ করছে। সে এক নিদারুণ পরিস্থিতি! তবে এটা বেশিক্ষণ চালানোও যাবে না। হাতে আর সময় বেশি নেই। শার্টের ওপর চাদর জড়িয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। ঘরের কাউকে না জানিয়ে, নির্বিঘ্ন স্বপ্নে অথবা ঘুমে ডুবিয়ে রেখে নিঃশব্দে প্রস্থান করতে হবে।

দেহ আর মনের এমনি এক পরিস্থিতির মাঝে দ্বারের বাইরে পা বাড়াল হাসান। স্কুলের পেছনে রাজন অপেক্ষা করবে। সেখান থেকে নিয়ে শেকু মামা রওনা হবেন। তরুণ হাসানের মনের মধ্যে রোমাঞ্চ-ভয়-আনন্দ আর দ্বিধা জট পাকিয়েছে। ভয়টা বেশি কাজ করছে। নাকি রোমাঞ্চ সে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হতে পারে! গতকালই শেকু মামা বলেছিলেন যে, রথ দেখা আর কলা বেচা এক সঙ্গেই হবে। শেকু মামা হাসানের বন্ধু রাজনের মামা, গরু ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী মানে সীমানার ওপার থেকে গরু নিয়ে আসেন। গরুপ্রতি পাঁচশ থেকে ১ হাজার টাকা। ঝুঁকির মাত্রার সঙ্গে টাকার পরিমাণের সমানুপাতিক সম্পর্ক এখানেও। সপ্তাহে দুই-একদিন গরু নিয়ে এসে মামা বাকি দিন খেয়ে আর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। মামা খুব একটা পড়াশোনা করেছে বলে রাজনের জানা নেই। শেকু মামাই রাজনের হিরো। রাজন তার মামার গল্প করতে করতে বলত স্কুলের পড়া শেষ করে সেও মামার মতো হবে। মামার গল্পে গল্পে কতদিন যে স্কুল থেকে বাড়ি চলে এসেছে ইয়ত্তা নেই। এলাকার সব গরু ব্যবসায়ীর কীর্তিগাথা শুনতে শুনতে রাজনও সফল গরু ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখে।

বাড়ির চৌহদ্দি পেরিয়ে হাসান এখন রাস্তায়। তেলবিহীন ধূসর চুলের মতো আঁধার নেমেছে চারদিকে। রাতের আঁধারে কুয়াশা নেমেছে দলছুট মেঘের মতো। কোথাও হাঁটতে হাঁটতে পেজা তুলোর মতো কুয়াশা আলতো স্পর্শে জড়িয়ে ধরে গা। আবার খানিক পরে মিলিয়ে যায়। এমনই মায়াময় রাতে কৈশরিক স্থিরহীন চিত্তের অনির্বচনীয় অনুভূতি নিয়ে হাসান এগিয়ে যাচ্ছে। শীতের হিম তার রোমাঞ্চের উত্তাপের কাছে হার মেনেছে। বিন্দু বিন্দু ঘামছে হাসান। হাসানের গৃহকোণের দারিদ্র্য আর বয়সের কৌহূহলকে সীমান্তপারের হাতছানি উসকে দিয়েছে। কেবল নতুনের আবাহন ধ্বনিত হচ্ছে তার কানে। আজ চলতে চলতে যে রাস্তার ধারের কবরস্থানকে ও ভয় পাচ্ছে। তার মনে হচ্ছে যেন মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর; মৃত্যুর চেয়েও রোমাঞ্চকর অথবা তার চেয়েও সুন্দর কোনো মুহূর্তকে সে উন্মোচন করতে চলেছে।

ভাবতে ভাবতে বাজার চলে এসেছে সামনে। বাজার পেরুলেই স্কুল। হঠাৎ করে শরীরটা ভয়ে জমে গেল হাসানের। একি ভুতুড়ে জায়গা দিয়ে হাঁটছে ও! এই কি বাজার? নাকি শত বছরের পুরনো পরিত্যক্ত শহর? একটি আলো ফুটে উঠলেই যে জায়গাটা ফেরিওয়ালা-দোকানি আর ক্রেতাদের হাঁকডাক আর দরদামের চেঁচামেচিতে সরগরম থাকে, এখন সেই একই জায়গায় কেমন কবরের সুনসান নীরবতা। হাসান দ্রুতলয়ে জায়গাটা ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় স্কুলের মাঠে ঢুকে পড়ে। কিন্তু মাঠের মাঝ দিয়ে পেরুতে গিয়ে হাসানের নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ বোধ হলো। মনে হলো যেন অন্ধকার রাত্রিরে সুবিশাল আকাশের নিচে বৃহৎ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে সে একা। পৃথিবীর শ্বাপদসংকুলতার সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে চলেছে। খুব একা! নিঃসঙ্গ। নিঃসঙ্গতা সর্বস্ব দার্শনিক অনির্বচনীয় বোধ জাগছে ওর মনে। সহসা অন্য এক হাসানের সত্তাকে অনুভব করছে ও। গত ষোল-সতের বছর যে মানুষগুলোর সঙ্গে বাস, আজ এক রাতেই তাদের অন্ধকারে রেখে কেমন স্বার্থপরের মতো বেরিয়ে চলে এল! স্কুলের পেছনে পৌঁছে রাজনের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগ মুহূর্তে ঠিক এ বোধটা হাসানকে পোড়াচ্ছিল। শীতের অন্ধকারে রাজনের আবছা অবয়ব দেখে হাসানের অব্যবহিত আগের সব আতঙ্ক-অস্থিরতা প্রশমিত হতে শুরু করল। এতক্ষণ হাসান ভীতসন্ত্রস্ত ছিল, তা কিন্তু নয়। তবুও রাজনকে দেখামাত্র অনেকটা নির্ভার অনুভব করল সে।

কীরে তুই ভয় পাইছিল মনে কয়। বলে হাসতে লাগল রাজন। রাজনের গায়ে কোনো চাদর নেই। কেবল একটা শার্টের উপরে সে আরেকটা পরে চলে এসেছে। কেমন নির্ভার। হাসান আশ্বস্ত হলো রাজনের কথায়।

আরে নাহ ভয় না। বারির কাউরে না কইয়ে আইসি। তাই মনডা কেরাম কেরাম কইত্তিছে। হাসান বলল।

ধুর বাড়া! ভয় পালি অয়? মামা আছে না। সে কি সরল আত্মবিশ্বাসের হাসি রাজনের কণ্ঠে। আমার এরাম সমস্যা নেই। আমি কইয়ে আইসি যে মামার সঙ্গে বর্ডারের ঐ পারে যাব। গরু আনব। বলতে থাকে রাজন। রাজনের আপাত মর্জি হলো হাসানকে নিয়ে দ্রুত যাত্রা শুরু করা। শেকু মামা বলেছেন তিনি স্কুলের পেছনে আসবেন না। তাতে পথ বেশি ঘোরা হয়ে যাবে। বরঞ্চ রাজনরাই মামার নির্ধারিত স্থানে চলে যাবে। সোনাই নদীর ধারে অপেক্ষা করবে। লোকালয় যেখানে শেষ, সেখানেই নদীর পাড়ের শুরু। পাড় ভাঙতে ভাঙতে মানুষের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে সোনাই নদী। নদী পার হলেই ভিন দেশ। এই সোনাই নদীই এখন দুই দেশের সীমারেখা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে নদী আজীবন কেবল যুক্ত করে গেছে নিকটদূর, মানুষে মানুষে, আজ সেই নদীই বিভেদের সীমারেখা! কিন্তু সবইতো মানুষের কল্পনা। তবে মানুষের কল্পনাপ্রসূত নতুন নামকরণভাবনা নদীর শাশ্বত ধারা পাল্টাতে পারে না। নদী বহমান থাকে। প্রাণবন্ত নদী পৃথিবীর বুকে, আর মৃত নদী বয়ে চলে মানুষের স্মৃতিতে-কল্পনায়।

ভোর হতে ঢের বাকি। রাতের হিমেল আঁধার কেটে দ্রুতলয়ে পা ফেলছে হাসান আর রাজন। নিঃসীম আকাশে একাকী চাঁদের নিঃসঙ্গতা অজস্র তারার অস্ফুট উপস্থিতিতে ঘুচে গেছে।

রাজন যেতে যেতে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। হাসান থেকে থেকে হু-হাঁ বলে দায়সারা সাড়া দিচ্ছে। সংশয় কাটছে না হাসানের। নিজের ভিতরে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে। কী ঘটতে পারে না পারে। কী হলে কী করবে? ইত্যকার নানা প্রশ্ন। তবে নিজেকে কিছু প্রশ্নের জবাব গোঁজামিলভাবে দেওয়া গেলেও কিছু প্রশ্ন উত্তরহীন রয়েই গেল।

সোনাই নদীর ধার থেকে তখনো একটু দূরে থাকতেই বসে থাকা চারটি কালো মূর্তি দেখতে পেল। মূর্তিবৎ বসে থাকা এ মানুষগুলোর একজনের ঠোঁটে সিগারেটের আগুন। আরেকটু কাছে যেতেই দেখা গেল ধূমপায়ী লোকটা আর কেউ নয়, রাজনের মামা। ধূমপায়ী লোকটার তৈলাক্ত চুলের সিঁথির ভাঁজ চাদের পেলব আলোয় আবছা দেখা যাচ্ছে। মামার পাশে গিয়ে বসল রাজন। তার পাশেরজন তখনো গামছা মাথায় পেঁচিয়ে দুই হাঁটুর ওপর মুখ গুঁজে ঝিমুচ্ছে। অপর দুইজন চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে। তখনো মূর্তিবৎ বসে থাকা দুটি মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটেনি। এ দুইজন হাসান-রাজনদের মতো শেকু মামার মক্কেল নাতো? হাসান তাদের দিকে বেশ মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে চেনার চেষ্টা করল।

রাজন মামাকে হাসানের কথা বলতেই মামা যেন তার গল্পের ঝুলি খুলে বসলেন।

আরে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, তোর বয়সে আমিও ঐ পার গিছি। তন কাঁটা তারের বেড়া ছিল না। গুঁড়া দুধ থেকে শুরু করি গরম মসলা, ডাইল, গরুর পাল কি না আনিছি। এবছর গরু আনতে গেলে এটু সমস্যা হসসে। হুর! কোন ব্যাপার? গুলি ওরা করেই। কোনবার কইয়ে, কোনবার না কইয়েই করে। তায় এসময়টাই বালা। কি কইস তোরা? বলেই হাসলেন শেকু মামা।

রাজনের পাশেরজন হাসির কিংবা কথার শব্দে অথবা কাকতালীয়ভাবে ঘুম ভেঙে চোখ খুললেন। আমাদের দেখে বললেন, চলে আইসে ওরা?

হ্যাঁ! এই আমার বাইগনে। আর ওইডে ওর দোস্ত।

আমাদের দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন।

একবার এক লাইনে বেয়াল্লিশটা গরু নিয়ে আইলাম। তোর মনে আছে শেকুবাই। শ’এ শ’এ গুরা দুধের প্যাকেট নি আসতাম। দুধের গায়ে খালি লিখা রাখত শাবানা-ববিতা! নাম কইলেই বুঝতাম দুধ!

বলেই হাসি আর সঙ্গে কাশি।

মামার পাশের লোকটা নেশার ঘোরে কিংবা ঘুমের ঘোরে কোত্থেকে বলা শুরু করে দিল। কণ্ঠ জড়িয়ে যাচ্ছিল। এ পার কোশ, ও পার কোশ, ওরে! টাহা দিলি সবগুলি ঠান্ডা। তয় এহন এটু চাপাচাপি বেশি। দেহা মাত্তর গুলির নির্দেশ।

এ কথা শুনে হাসানের বুকের ভিতরটা ধক করে ওঠে। ও একবার রাজনের দিকে আরেকবার শেকু মামার দিকে তাকায়। কিন্তু অবাক কান্ড! কারও কোনো বিকার নেই! বিকার যে নেই তা ঢের টের পাওয়া যাচ্ছে। মামা বলছেন হাসানদের বয়েসে ওপার গিয়েছে আবার অন্যজন বলছে এত অল্প বয়েসে যাননি। কথার সত্যতা যাচাইয়ের বাসনা বা ফুরসত কোনোটাই হাসানের নেই।

আরে ট্যাকা দেখলে যে কেউ হাত বাড়ায়, শুনিছ নাই?

বলেই কটাক্ষের হাসি হেসে উঠলেন লোকটা। ট্যাকা বারায়া দিলি গুল্লিও বারোয়না।

শেকুবাই তোর মনে আছে? আমরা যখন পয়লাবার ওইপার গিলাম, তহন আমাগির বয়স কতইবা ছিল? উনিশ-কুড়ি। আর ইগিরতো বালই উঠেনি। তায় এরা আবার ওপার যাতি চাসসে।

শেকু মামা মাথা নাড়ে আর বিড়িতে টান দেয়। দুজন দুরকম বলছে। একজন বলল হাসানদের বয়েসে গিয়েছে, আরেকজন বলে উনিশ-কুড়ি বছর বয়েসের কথা। খাপছাড়া কথার আলাপ শুনে হাসান আরও ভড়কে গেল।

ওপার যাআর কি নিশা দেখ। কতজন কত কারণেই না যাই। কারণ না থাকলে বিনা কারণে যাই।

রইচ তোর মনে আছে? বাদনাতলার রামের বাই সংকর সে কি ফুটবল খেলত! স্বপ্ন দ্যাখতো ফুটবলার হবি। গরম-বাদলার কোনো মানামানি নেই। সেই দুপুর থিকি খেলা শুরু করছে মাগরিবের আজান পড়ছে। সেদিকে ওর খেয়ালও নেই। খেলি যাসসে তো যাসসে। ভালো কোনো দলে ঢোকতি পাল্ল না। এক সময় ওর মনে অলো ও আর ফুটবলার হতি পারবি না। সেই দুঃখে সেও সীমানার ওপারে চলি গ্যাল। ওই যাওয়াই শ্যাষ। আর আসল না।

হাসান বুঝল নেশা কিংবা ঘুমের ঘোরে যে বক্তা এর আগে কথা বলছিলেন তিনি রইচ।

আরেকবার জয়নাল খুড়ার সঙ্গে দেখা বাজারে। শেকু মামা এবার বলতে শুরু করলেন। আমারেই দেখিই কইল, ‘সপ্নলি গেল, আমার তো কেউ নিল না।’ ওরে জিজ্ঞিস কললাম, জয়নাল খুড়া তুমি যায়ে কি করবা। তুমি চিকিৎসাও করাবা না গরু ও আনবানা। তালি কি যাবা মত্তি? একবার স্টোক করে তার বাম হাত বাম পাসহ শরীরের বাম দিক প্রায় অচল হই গেছিল। আমারে কলেন।’ শেকুরে খালি বাইচা থাকা আর টাহা কামানোই কি জীবন। মাইনষের মনডা চায় বর্ডার পারায়ে যাইতে। কেউ যায় নতুন জীবনের লাগি, কেউ যায় পেটের দায়ে, আর কেউ মনে কর যায় আরেকটা নতুন মানুষ দেহার জন্যি। বর্ডার ডেংগাইতে তার কোন কারণ লাগে না রে।’ আমি খুড়ার কথা থিকি যা বুঝতি পালাম তা অল ঐ পার যাতি তার মন টানতিছিল। ওপারে তারও যাওয়ার বন্দোবস্ত কললাম। সঙ্গে একজন হেলপার দিলাম। ঘুইরা আসার কিছু দিন পর মারা গিলেন জয়নাল খুড়া।

এভাবে গল্প বলিয়েদের সীমান্ত গল্প চার শ্রোতা শুনতে লাগল মন দিয়ে। আর সোনাই নদীর পাড়ে প্রহর বাড়তে লাগল। নদীর জল শান্ত। এই শান্ত জলে বসে স্থির চাঁদও যেন এই মানবিক গল্পের শ্রোতা। এতক্ষণে কুয়াশার কুহকী খেলা বন্ধ হয়ে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েছে।

চল আগাই। সময় হইল। সবাইকে তাড়া দিলেন শেকু মামা।

হাসানও ওঠে দাঁড়াল অন্যদের সঙ্গে সঙ্গে। এতক্ষণ গল্পে গল্পে আর শীতের হিম টের পাচ্ছিল না। ওঠে দাঁড়াতেই মনে হলো পৌষ তার সব হিম ঢেলে দিল গায়ে। দাঁড়াতেই চারপাশ থেকে ঘিরে ধরল ঠান্ডা। উপায়ান্তর না দেখে দুই হাত বগলে চেপে হাঁটতে শুরু করল হাসান।

বাইগনে বুঝলি! ঐ পারের মানুষ এ পারের মাইনষেরে চেনার লাইগা কতা কতি অয়না বুজলি। দূর থেকে দেখলেই চিনতি পারে। ক্যামনে জানোস?

ক্যামনে? রাজন জিজ্ঞেস করে। চুলের কাটিং ফিটিং, হাঁটনের ছিরি। এগুলান দেখলেই কতি পারে। বলেই আরেক পশলা হেসে নিলেন রইছ মামা। আর উপায় নাই। ঐ পারে গেলেই ধরা। হাসানের স্বগোতুক্তি। ততক্ষণে সবাই শেকু মামাকে সামনে রখে নদীর পাড় ঘেঁষে উত্তর দিকে রওনা দিল। উত্তরের দিকে খানিক এগিয়ে যেতেই দেখা গেল এই অংশের নদীর পানি অনেকটা শুকিয়ে গেছে। ওপারে আখখেতের লম্বা সারি। আর এ পারে স্বল্প ঘন জঙ্গল। জঙ্গল দিয়ে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ বসে রইল সবাই। হাসান অন্ধকারে কিছুই দেখতে পায়না তবু ও এদিক ও দিক তাকায়। ভয় হয়, এই বুঝি সব আতঙ্ক বাস্তব রূপ নিল। খানিক পর এক আগন্তুক হঠাৎ উদিত হলো। এক নতুন খবর নিয়ে।

শেকু ভাই, লাইন ক্লিয়ার ওইতে মনে লয় ম্যালা দেরি ওইব।

শেকু মামার ঠোঁটে তখন সিগারেটের শেষ অংশটুকু জ্বলছিল। শেষ টান দিয়ে সিগারেট ফেলে দিলেন।

ক্যান!

খুব স্বাভাবিক অভিব্যক্তি নিয়ে শেকু মামা জিজ্ঞেস করলেন।

অহনও হেই পার থেকে কোনো সেগনাল আয় নাই। বলেই লুঙ্গিতে একটু ভাঁজ মেরে নিচে বসে পড়ল আগুন্তুক। অহনও উচ্চের বাত্তিইতো জ্বালায় নাই। হারামি গুলান ঘুমাইতাসে মনে অয়!

ঘুমাক! তোর এত টেনশন ক্যান। আইজ না-ইলে কাইল জামু!

‘না না! আজ রাতেই! এত্ত শীতে আর টেকা যাচ্ছে না।’ ভাবতে ভাবতে ঠান্ডা কাঁপুনি লাগল শরীরে যেন হাসানের। দাঁত কিড়মিড় করে উঠল। চেকপোস্ট দিয়ে সীমানা পার হওয়ার সময় পাসপোর্ট-ভিসা-টিকেট-বিদেশি টাকা আরও কত কি লাগে শুনেছে হাসান। এভাবে এদিক দিয়ে যেতে তার চেয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না! ঝুঁকির ঝক্কি! হয়তো সেটা কেবল হাসানেরই লাগছে! বাকিদের এ নিয়ে অবশ্য মুখে কোনো রা নেই। তাদের কাছে কেবল এই মরা নদীটাই! পার হতে পারলেই নতুন দেশ! বর্ষাকাল হলে ডিঙি নৌকায় আর শুকনাকালে পায়ে হেঁটে। পার তারা হবেই! নৌকায় গেলে এক সঙ্গে দশ বারোজন নদী পাড়ি দিত। এখন নদীতে পানি কম। নদীর বালুচর পেরিয়ে কোমর জলে নামতে হবে। তাও ছ’ কদমের বেশি না। তারপর ওপারে আবার বালুচর। বালুচর থেকে ওপরে উঠতে গেলে পড়বে আখের খেত। এটুকুন জায়গাই পেরুনো নিয়ে কত ফন্দি-ফিকির। জানা গেল ওপারেও এরকম একদল অপেক্ষায় আছে এপারে আসার জন্য। ওপার থেকে সিগন্যাল মিললে তবেই এপার থেকে লোক রওনা দেবে। সিগন্যাল থেকে সিগন্যালে এপার থেকে ওপার। ওপার থেকে টর্চের আলো আর এপার থেকে আগুন। এই দুই সিগন্যাল একসঙ্গে মিলে গেলেই হাসানরা রওনা দেবে। ওপার থেকেও আসা শুরু হবে। গরু আসবে। আসবে শাড়ি লুঙ্গি আরও কত কি!

বসে থাকতে থাকতে খিদা লেগে গেল হাসানের। মনে পড়ল আজ সন্ধ্যায় তার খাওয়া হয়নি। এক ঝি ঝি পোকার নিরবচ্ছিন্ন ডাকাডাকি ছাড়া চারপাশে কোনো আওয়াজ নেই। এই নৈশব্দের জগতে ক্ষুদাটাই যেন বেশি কানে বাজতে লাগল। ক্ষুধার্ত সময় এই জীবনে নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়। তবে এমন চোখ জ্বালাধরা পূর্ণিমার রাতে প্রবল ঠান্ডায় অনিশ্চিত গন্তব্যের অপেক্ষায় থেকে ক্ষুধার্ত হওয়ার অনুভূতি এই প্রথম। পেটের ভিতর পেরেকের আঁচড় টেনে টেনে কেউ যেন বিপ্লবের চিকা আঁকছে!

এই ছেলে! কী যেন নাম?

রাজন হাসান দুইজনই মুখ আগিয়ে দিল প্রশ্ন উত্থাপনকারীর দিকে। হাসানের দিকে মুখ ফিরে প্রশ্ন করায় রাজন মনে করিয়ে দিল হাসানের নাম। হ! হাসান তোমার গা থেইকে এই সাদা চাদরখান খুইলে রাও! যাওন সময় নাইলে চান্দের আলোয় ফকফকা দেখা যাইব দূর থেইকে।

হাসানের মুখটা আরো শুকিয়ে গেল। নাহ! সে বাড়ি ফিরে যাবে। তার আর সীমানা পেরুনো হবে না। এত কষ্ট করে সে যেতে পারবে।

চোখটা যেন এখুনি ভিজে আসবে তার।

সিগনাল মিলছে শেকু বাই! চলো চলো! যেন মুরগি ঘরে তোলার মতো করে তাড়া দিলেন রইছ সবাইকে।

শেকু মামাও দাঁড়ালেন ওঠে কালক্ষেপণ না করে। বোঝা গেল আসলেই একটা তাড়ার বিষয় ঘটেছে।

চল সবাই। রইচ তুই সবার পিছে পিছে আইবি।

প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে শেকু মামা এগিয়ে যেতে লাগলেন।

বাবার পুরনো হয়ে যাওয়া ধূসর সাদা চাদরটা হাসান নিয়ে ছিল। না বলেই। রাজনের ছোট্ট একটা পুঁটলিতে সেটা রাখতে বলল। কিন্তু তাতে এর জায়গা হয় না। এদিকে সময় ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে। শেষমেশ চাদরটা পুঁটলির মতো বেঁধে হাসানই রওনা দিল।

এর পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ কাক্সিক্ষত কিংবা অনাহুত কিনা জানি না। তবে ভাগ্য বিধাতা তার নামের প্রতি সুবিচার করেছিলেন। রাজনরইছরা যখন সীমানা পেরিয়ে ওপারে পৌঁছে যাচ্ছিল তখনই হঠাৎ প্রচ- সার্চ লাইটের আলো আর বাঁশির ভীতকর আওয়াজ যেন যমদূতের মতো হাজির হলো। ওপারের সীমান্তরক্ষীদের সরব উপস্থিতি, সাতজনের সারিবদ্ধ একটি ছোট দলকে ছত্রভঙ্গ করে দিল। তবুও শেষমেশ ওপারে পৌঁছেছিলেন অনেকেই। কিন্তু শেকু মামা দেখলেন সীমান্ত স্বাপ্নিক এক তরুণ আর তাদের সঙ্গে নেই। এর কিছুদিন পর নিজ দেশে ফিরে রাজন তার বন্ধুকে কোথাও দেখতে পায়নি। তার বাড়ি খোঁজ নিয়ে জানতে পারল, সেই রাতের পর হাসান আর বাড়িও ফেরেনি।

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
টান
টান
মৎস্যকুমারী জলাধারে
মৎস্যকুমারী জলাধারে
বৃষ্টি যখন এসেছিল
বৃষ্টি যখন এসেছিল
ওটুকু আকাশ আমার
ওটুকু আকাশ আমার
ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরি
ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরি
মাইন্ডসেট
মাইন্ডসেট
লক্ষ্মীপুরের সাহিত্য - সাংস্কৃতি
লক্ষ্মীপুরের সাহিত্য - সাংস্কৃতি
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও জরুরি তথ্য
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও জরুরি তথ্য
সুখের খোঁজে
সুখের খোঁজে
ভিজে থাকা স্মৃতি
ভিজে থাকা স্মৃতি
ধুলোর নিচে আড়াআড়ি
ধুলোর নিচে আড়াআড়ি
অপার
অপার
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম

কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া
কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া

দেশগ্রাম

দুর্ভোগ
দুর্ভোগ

নগর জীবন

সোশ্যাল মিডিয়া-ইউটিউবে সরব তারকারা
সোশ্যাল মিডিয়া-ইউটিউবে সরব তারকারা

শোবিজ

একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

সম্পাদকীয়