শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

একজন জালালউদ্দিন রুমি

একজন জালালউদ্দিন রুমি

মাওলানা রুমি সাহিত্যচর্চা করেছেন ফারসিতে। তাঁর স্বাভাবিক প্রবণতা আল্লাহর সঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়ার ব্যাকুলতার স্তর পেরিয়ে তাঁকে ঘিরে বিরাজ করে তীব্র আকাক্সক্ষা। রুমির সব কাব্য ও সংগীত নানারূপে কেবল এ কথাটিই বলে। তিনি ফারসি ভাষায় অনেক জ্ঞানগর্ভ শিক্ষামূলক গ্রন্থ রচনা করেন।  তাঁর আধ্যাত্মিক ও উপদেশমূলক একাধিক প্রবন্ধও আছে।

মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে মুসলিম কবি-সাহিত্যিকের অন্যতম। এখনো তাঁর সাহিত্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। ইরানি সাহিত্যকে তিনি দিয়েছেন বিশ্বজুড়ে সম্মান। কবি মাওলানা জালালউদ্দিন রুমির জন্ম ১২০৫ সালের (মতান্তরে ১২০৭) ২৯ সেপ্টেম্বর, ৬০৪ হিজরি ৬ রবিউল আউয়াল আফগানিস্তানের বালখে। তাঁর প্রকৃত নাম মুহাম্মদ। জালালউদ্দিন ছিল তাঁর উপাধি। সুলতান মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন মাওলানা রুমির পিতা। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ছিলেন মাওলানা রুমির পিতৃকুল থেকে নবম বংশধর এবং মাতৃকুল থেকে ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলির (রা.) বংশধর।

তিনি শুধু কবি ছিলেন না, ছিলেন একজন আধুনিক আধ্যাত্মিক চিন্তাচর্চার সাধক। অন্য মরমি কবি-দার্শনিকের থেকে তিনি ভিন্ন। মরমিয়াবাদী হিসেবে তিনি ছিলেন নীতি-শিক্ষক এবং সংস্কারক। দর্শন ও বিশ্বসাহিত্যের একজন অগাধ পান্ডিত্যপূর্ণ মনীষী।

মাওলানা রুমি সাহিত্যচর্চা করেছেন ফারসিতে। তাঁর স্বাভাবিক প্রবণতা আল্লাহর সঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়ার ব্যাকুলতার স্তর পেরিয়ে তাঁকে ঘিরে বিরাজ করে তীব্র আকাক্সক্ষা। রুমির সব কাব্য ও সংগীত নানারূপে কেবল এ কথাটিই বলে। তিনি ফারসি ভাষায় অনেক জ্ঞানগর্ভ শিক্ষামূলক গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর আধ্যাত্মিক ও উপদেশমূলক একাধিক প্রবন্ধও আছে। তার মধ্যে ‘ফিহি মা ফিহি’ অন্যতম। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উল্লেখযোগ্য কীর্তিমান অমরত্ব পাওয়া গ্রন্থ ‘মসনবি’। মসনবি শুধু ফারসি সাহিত্য ভান্ডারে নয়, এটি বিশ্বসাহিত্য ভান্ডারেরও একটি অমূল্য সম্পদ। এই গ্রন্থে দ্বিপদী ছন্দবদ্ধ কবিতার সংখ্যা ২৫ হাজার। যা ছয় খন্ডে বিভক্ত। মসনবিতে পাঠকপ্রিয় সৃষ্টিকর্তার প্রেমের অপার রহস্য উদঘাটনে তৃপ্তি লাভ করতে পারবেন। মসনবি কেবল ধর্মতত্ত্বের ওপর নয়, সাধারণ দর্শনের একটি আদর্শ গ্রন্থ হিসেবেও পরিচিত। মসনবিকে বলা হয়, একটি ধর্মীয় নীতিশাস্ত্র গ্রন্থ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর